জামিন পেয়েছেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
অবশেষে নানান নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় রংপুর মেট্রোপালিটান ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মোছাম্মৎ মারজিয়া খাতুন তার জামিন মজ্ঞুর করেন।
তার স্ত্রী মাসুবা হাসান মুন বড় ছেলে মাইমুন মেহেরান কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারা তাকে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্সে করে তার বাসায় নিয়ে যায়। জামিনে মুক্তি পাবার বিষয়ে শিক্ষক মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুবা হাসান মুন জানান তার স্বামীকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানতে পেরে আমরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার মুক্তির জন্য অনেক আন্দোলন করেছে। তিনি বলেন পুরো বিষয় তার স্বামী বিস্তারিত জানাবে।
অন্যদিকে শিক্ষক মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানোর সাথে জড়িত হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল আল মামুনকে রংপুর মেট্রোপলিটান ডিবিও ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশ নার মজিদ আলী জানান, ওসিকে বদলি করা হয়েছে প্রশাসনিক নির্দ্দেশে। এর সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজিবী শামীম আল মামুন এ্যাডভোকেট।
তিনি বলেন আদালত তার আদেশে চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন দেয়া হলো বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আইনজিবী শামীম আল মামুন বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছি মামলায় শিক্ষক মাহমুদুল হককে রংপুর নগরীর নজিরের হাট রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায় মুদী দোকানী সমেছ উদ্দিনকে গত ২ আগষ্ট পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিওেয় যাওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এ ঘটনার ১০ মাস পর পুলিশ মৃত সমেস উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগমকে থানায় ডেকে এনে তাকে জুলাই বিপ্লবের জাতীয় বীর বানিয়ে হত্যা মামলা করিয়ে গত বৃহসপতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আদালতকে জানান হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে জাতীয় বীর বানানো প্রতারনা ছাড়া আর কিছু নয়। শুধু তাই নয় মামলার বাদী আমেনা বেগম ও তার ছেলে আশিকুর রহমান নিজেরাও স্বীকার করেছে তাদের থানায় ডেকে নিয়ে এই মামলা করেছে। মামলায় মাহমুদুল হককে ৫৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তিনি জুলাইা বিপ্লবে সরাসরি ভুমিকা রেখেছেন। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আগামী ২৪ জুন মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
এদিকে আমরা জানতে পারি শিক্ষক মাহমুদুল হক কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে আমরা রংপুর মেট্রোপলিটান দায়রা জজ আদালতে মিস কেস ফাইল করি। সেখানে বিকেলে শুনানীর পর শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন মজ্ঞুর করেছেন।
এর আগে রোববার বেলা ১১ টায় সময় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তার মুক্তির দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
জামিন পেয়েছেন বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল হক
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
অবশেষে নানান নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৫টায় রংপুর মেট্রোপালিটান ভারপ্রাপ্ত দায়রা জজ মোছাম্মৎ মারজিয়া খাতুন তার জামিন মজ্ঞুর করেন।
তার স্ত্রী মাসুবা হাসান মুন বড় ছেলে মাইমুন মেহেরান কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তারা তাকে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্সে করে তার বাসায় নিয়ে যায়। জামিনে মুক্তি পাবার বিষয়ে শিক্ষক মাহমুদুল হকের স্ত্রী মাসুবা হাসান মুন জানান তার স্বামীকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানতে পেরে আমরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তার মুক্তির জন্য অনেক আন্দোলন করেছে। তিনি বলেন পুরো বিষয় তার স্বামী বিস্তারিত জানাবে।
অন্যদিকে শিক্ষক মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানোর সাথে জড়িত হাজিরহাট থানার ওসি আব্দুল আল মামুনকে রংপুর মেট্রোপলিটান ডিবিও ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশ নার মজিদ আলী জানান, ওসিকে বদলি করা হয়েছে প্রশাসনিক নির্দ্দেশে। এর সাথে মামলার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক মাহমুদুল হকের আইনজিবী শামীম আল মামুন এ্যাডভোকেট।
তিনি বলেন আদালত তার আদেশে চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন দেয়া হলো বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন।
আইনজিবী শামীম আল মামুন বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছি মামলায় শিক্ষক মাহমুদুল হককে রংপুর নগরীর নজিরের হাট রাধাকৃষ্ণপুর এলাকায় মুদী দোকানী সমেছ উদ্দিনকে গত ২ আগষ্ট পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিওেয় যাওয়ার সময় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এ ঘটনার ১০ মাস পর পুলিশ মৃত সমেস উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগমকে থানায় ডেকে এনে তাকে জুলাই বিপ্লবের জাতীয় বীর বানিয়ে হত্যা মামলা করিয়ে গত বৃহসপতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আদালতকে জানান হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে জাতীয় বীর বানানো প্রতারনা ছাড়া আর কিছু নয়। শুধু তাই নয় মামলার বাদী আমেনা বেগম ও তার ছেলে আশিকুর রহমান নিজেরাও স্বীকার করেছে তাদের থানায় ডেকে নিয়ে এই মামলা করেছে। মামলায় মাহমুদুল হককে ৫৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তিনি জুলাইা বিপ্লবে সরাসরি ভুমিকা রেখেছেন। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক আগামী ২৪ জুন মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
এদিকে আমরা জানতে পারি শিক্ষক মাহমুদুল হক কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে আমরা রংপুর মেট্রোপলিটান দায়রা জজ আদালতে মিস কেস ফাইল করি। সেখানে বিকেলে শুনানীর পর শিক্ষক মাহমুদুল হকের জামিন মজ্ঞুর করেছেন।
এর আগে রোববার বেলা ১১ টায় সময় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তার মুক্তির দাবিতে রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।