প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের দিনে ঢাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধর ঘটনায় ৯ মাস পরে দায়ের কৃত একটি মামলায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদের সহ ২২০ আসামির মধ্যে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ২৯ বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা করায় মাগুরায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগিরা। গতকাল রোববার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা ওই মামলায় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে মুক্তির দাবি জানান। ঢাকার ঘটনায় মাগুরার প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের আসামি করায় বিষয়টিকে আঞ্চলিক রাজনীতি, পারিবারিক প্রতিহিংসা ও চাঁদাবাজির উপলক্ষ হিসেবে দাবি করেছেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার আসামি ভূক্তভোগি শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মন্ডল, নাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল হোসেন টোটোন, শ্রীপুর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার অধিকারীসহ অন্যরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে হয়রানি থেকে মুক্তির দাবি জানান । সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আশরাফ হোসেন জোয়ার্দার, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিনসহ অন্যরা। মামলার বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিনে দুপুর দুইটার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগ ও পুলিশের ছোড়া নির্বিচার গুলিতে পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে সোহেল রানা (৩৮)। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পরে গত ২৪/০৫/২০২৫ তারিখে সোহেল রানা বাদী হয়ে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ এর কাছে মামলার বাদি সোহেল রানা দাবি করেন, তিনি নিজের অসুস্থতার কারণে মামলা করতে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার এর সহায়তা নেন। মামলায় ২২০ জন আসামির মধ্যে শ্রীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি’র ২৯ জন নেতাকর্মীসহ বেশ কিছু সাধারণ মানুষের নাম থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে বাদী সোহেল রানা দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য মাসুদ মজুমদারকে তাই করলে সম্প্রতি মাগুরা জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মাসুদ মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার এর আদেশ দেয় জেলা বিএনপি। ভূক্তভোগিরা জানান, যে মামলায় আমাদের আসামী করা হয়েছে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মহম্মদপুরে। আমরা সেসময় মাগুরায় অবস্থান করছিলাম। প্রধান শিক্ষক উত্তম অধিকারী জানান, আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার নানা কারণে টাকা দাবি করে আসছিলো। আমি তাকে টাকা না দেয়ায় আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার ১২৪ নম্বর আসামি নাকোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জয়নাল হোসেন টোটন দাবি করেন স্থানীয় বিএনপি’র ভেতরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার ১২২ নম্বর আসামি নাকোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মন্ডল দাবি করেন তিনিসহ তার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতি করলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে কোণঠাসা করতে এ মামলার আসামি করেছে। অপর ভূক্তভোগি শ্রীপুর সদরের পরিমল ডাক্তার জানান, আমরা চারজন মিলে শ্রীপুরে সার্জিকাল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করে। আমি তার অযৌক্তিক দাবি না মানলে মাসুদ মজুমদার তার পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে । সেই টাকা না দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী সোহেল রানা জানান, মূলত তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলাটি করেছিলেন। সেখানে ভুলবশত কিছু বিএনপি’র লোকের নাম যুক্ত হয়েছে। এজন্য তিনি অনুতপ্ত। এ ব্যাপারে বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ করণীয় নির্ধারণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। এ বিষয় অভিযুক্ত শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার বলেন, ওই মামলার সঙ্গে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই। এমনকি মামলার বাদীকে আমি চিনিও না। এটি এলাকায় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে তার অবস্থান তিনি জেলা কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন।
প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের দিনে ঢাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধর ঘটনায় ৯ মাস পরে দায়ের কৃত একটি মামলায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদের সহ ২২০ আসামির মধ্যে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ২৯ বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত করে মামলা করায় মাগুরায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগিরা। গতকাল রোববার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা ওই মামলায় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে মুক্তির দাবি জানান। ঢাকার ঘটনায় মাগুরার প্রত্যন্ত গ্রামের সাধারণ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের আসামি করায় বিষয়টিকে আঞ্চলিক রাজনীতি, পারিবারিক প্রতিহিংসা ও চাঁদাবাজির উপলক্ষ হিসেবে দাবি করেছেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার আসামি ভূক্তভোগি শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মন্ডল, নাকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল হোসেন টোটোন, শ্রীপুর গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার অধিকারীসহ অন্যরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে হয়রানি থেকে মুক্তির দাবি জানান । সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. আশরাফ হোসেন জোয়ার্দার, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিনসহ অন্যরা। মামলার বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, গত বছর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের দিনে দুপুর দুইটার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-শ্রমিক লীগ ও পুলিশের ছোড়া নির্বিচার গুলিতে পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে সোহেল রানা (৩৮)। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়ার পরে গত ২৪/০৫/২০২৫ তারিখে সোহেল রানা বাদী হয়ে ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদ এর কাছে মামলার বাদি সোহেল রানা দাবি করেন, তিনি নিজের অসুস্থতার কারণে মামলা করতে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার এর সহায়তা নেন। মামলায় ২২০ জন আসামির মধ্যে শ্রীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি’র ২৯ জন নেতাকর্মীসহ বেশ কিছু সাধারণ মানুষের নাম থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে বাদী সোহেল রানা দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার জন্য মাসুদ মজুমদারকে তাই করলে সম্প্রতি মাগুরা জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মাসুদ মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার এর আদেশ দেয় জেলা বিএনপি। ভূক্তভোগিরা জানান, যে মামলায় আমাদের আসামী করা হয়েছে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মহম্মদপুরে। আমরা সেসময় মাগুরায় অবস্থান করছিলাম। প্রধান শিক্ষক উত্তম অধিকারী জানান, আমার কাছে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার নানা কারণে টাকা দাবি করে আসছিলো। আমি তাকে টাকা না দেয়ায় আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার ১২৪ নম্বর আসামি নাকোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জয়নাল হোসেন টোটন দাবি করেন স্থানীয় বিএনপি’র ভেতরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার ১২২ নম্বর আসামি নাকোল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মন্ডল দাবি করেন তিনিসহ তার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতি করলেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে কোণঠাসা করতে এ মামলার আসামি করেছে। অপর ভূক্তভোগি শ্রীপুর সদরের পরিমল ডাক্তার জানান, আমরা চারজন মিলে শ্রীপুরে সার্জিকাল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করে। আমি তার অযৌক্তিক দাবি না মানলে মাসুদ মজুমদার তার পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে । সেই টাকা না দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বাদী সোহেল রানা জানান, মূলত তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলাটি করেছিলেন। সেখানে ভুলবশত কিছু বিএনপি’র লোকের নাম যুক্ত হয়েছে। এজন্য তিনি অনুতপ্ত। এ ব্যাপারে বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ করণীয় নির্ধারণ করবেন বলে তিনি আশা করেন। এ বিষয় অভিযুক্ত শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার বলেন, ওই মামলার সঙ্গে আমি কোন ভাবেই জড়িত নই। এমনকি মামলার বাদীকে আমি চিনিও না। এটি এলাকায় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে তার অবস্থান তিনি জেলা কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন।