নীলফামারীর ডোমারে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে ৪১টি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রমতে, এই উপজেলায় বেসরকারী ১৪টি ক্লিনিক/হাসপাতাল ও ২৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান চলছে লাইসেন্সবিহীন ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। যাদের লাইসেন্স আছে, নেই নবায়ন। তাছাড়াও কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবেদন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নেই অভিজ্ঞ কোন ডাক্তার ও ডিপ্লোমাধারী নার্স। বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যে কয়েকজন নিজস্ব ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্সসহ জনবল থাকার কথা কিন্তু তা দু-একটা ক্লিনিক বাদে কোনটিতেই নেই। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর যেসব পরিক্ষা নীরিক্ষা করা হয় তা অধিকাংশে ভুল রিপোর্টে ভরা। রিপোর্টের কাগজগুলোতে ডাক্তারের নাম ও সিল ব্যবহার করে রিপোর্ট প্রদান করে কম্পিউটার অপারেটর। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নেই প্যাথলজিস্ট, নেই অভিজ্ঞ কোন টেকনিশিয়ান ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। এতে করে প্রতি নিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। মান সম্মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটার অপরিচ্ছন্ন। নেই নিজস্ব কোন ডাক্তার। ভাড়া করা ডাক্তার দিয়ে করছে বড় ও কঠিন ধরনের অপারেশন।
বেশীভাগ ক্লিনিক ডাক্তার ছাড়াও ওটি বয় দিয়ে চালিয়ে যায় অপারেশন। ক্লিনিক গুলোর মুল ব্যবসা হচ্ছে সিজার। প্রসূতি রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমে কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে বলে রিপোর্টগুলো করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রিপোর্ট দেখে বলে প্রসূতির দ্রুত সিজার না করালে বাচ্চাকে বাঁচানো যাবে না। ভয়ে নিরুপায় হয়ে স্বজনরা তড়িঘড়ি করে রোগীকে সিজার করায়। এটি ক্লিনিক গুলোর সিজার করানোর সুত্র বলে অভিযোগ করেন সচেতনমহল।
গত কয়েক বছরে ভুল চিকিৎসার কারণে ডোমারের পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১জন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। সেভেন স্টার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১জন এবং গত ১৪ জুন জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্টে ১২বছরের এক শিশুকে গর্ভবতী দেখায়। ক্রমেই ক্লিনিকগুলোতে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। নেওয়া হচ্ছে না আইনগত কোন পদক্ষেপ। নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে দু-একটি ক্লিনিক সিলগালা করলেও দুদিন পরে ক্লিনিক খুলে কার্য পরিচালনা করছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
বছর দুএক আগে অব্যবস্থাপনা ও সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকায় পালর্স ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি তৎকালীন ইউএনও ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ক্লিনিকটির কার্যক্রম বন্ধ ও সিলগালা করে দেন। তার কয়েক দিন পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিক খুলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডা. রায়হান বারী’র কাছে জানতে চাইলে বলেন ক্লিনিক খুলোর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা । এবিষয়ে নীলফামারী সিভিল সার্জন স্যার বলতে পারবেন বলে জানান।
অ্যানেস্তেসিয়া ডা. নিহার রঞ্জনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধীক অভিযোগ। সদ্য জনতা ক্লিনিকে বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতি ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার পিছনে ডা. নিহার রঞ্জনকে দায়ী করে স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন ডা. নাজমুস সাকিব। তিনি আরো অভিযোগ করে লিখেন ডাক্তারকে না জানিয়ে ডা. নিহার রঞ্জন সাহা সেদিন ওই রোগীকে অ্যানেস্তেসিয়া প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: রায়হান বারী বলেন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নাই, সেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আইনী ভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
নীলফামারীর ডোমারে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে ৪১টি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রমতে, এই উপজেলায় বেসরকারী ১৪টি ক্লিনিক/হাসপাতাল ও ২৭টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান চলছে লাইসেন্সবিহীন ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই। যাদের লাইসেন্স আছে, নেই নবায়ন। তাছাড়াও কিছু ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবেদন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নেই অভিজ্ঞ কোন ডাক্তার ও ডিপ্লোমাধারী নার্স। বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যে কয়েকজন নিজস্ব ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্সসহ জনবল থাকার কথা কিন্তু তা দু-একটা ক্লিনিক বাদে কোনটিতেই নেই। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর যেসব পরিক্ষা নীরিক্ষা করা হয় তা অধিকাংশে ভুল রিপোর্টে ভরা। রিপোর্টের কাগজগুলোতে ডাক্তারের নাম ও সিল ব্যবহার করে রিপোর্ট প্রদান করে কম্পিউটার অপারেটর। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নেই প্যাথলজিস্ট, নেই অভিজ্ঞ কোন টেকনিশিয়ান ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। এতে করে প্রতি নিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। মান সম্মত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটার অপরিচ্ছন্ন। নেই নিজস্ব কোন ডাক্তার। ভাড়া করা ডাক্তার দিয়ে করছে বড় ও কঠিন ধরনের অপারেশন।
বেশীভাগ ক্লিনিক ডাক্তার ছাড়াও ওটি বয় দিয়ে চালিয়ে যায় অপারেশন। ক্লিনিক গুলোর মুল ব্যবসা হচ্ছে সিজার। প্রসূতি রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমে কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে বলে রিপোর্টগুলো করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে রিপোর্ট দেখে বলে প্রসূতির দ্রুত সিজার না করালে বাচ্চাকে বাঁচানো যাবে না। ভয়ে নিরুপায় হয়ে স্বজনরা তড়িঘড়ি করে রোগীকে সিজার করায়। এটি ক্লিনিক গুলোর সিজার করানোর সুত্র বলে অভিযোগ করেন সচেতনমহল।
গত কয়েক বছরে ভুল চিকিৎসার কারণে ডোমারের পদ্মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১জন প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। সেভেন স্টার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১জন এবং গত ১৪ জুন জনতা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্টে ১২বছরের এক শিশুকে গর্ভবতী দেখায়। ক্রমেই ক্লিনিকগুলোতে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। নেওয়া হচ্ছে না আইনগত কোন পদক্ষেপ। নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে দু-একটি ক্লিনিক সিলগালা করলেও দুদিন পরে ক্লিনিক খুলে কার্য পরিচালনা করছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
বছর দুএক আগে অব্যবস্থাপনা ও সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকায় পালর্স ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি তৎকালীন ইউএনও ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. রায়হান বারী ক্লিনিকটির কার্যক্রম বন্ধ ও সিলগালা করে দেন। তার কয়েক দিন পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ক্লিনিক খুলে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডা. রায়হান বারী’র কাছে জানতে চাইলে বলেন ক্লিনিক খুলোর বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা । এবিষয়ে নীলফামারী সিভিল সার্জন স্যার বলতে পারবেন বলে জানান।
অ্যানেস্তেসিয়া ডা. নিহার রঞ্জনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধীক অভিযোগ। সদ্য জনতা ক্লিনিকে বেবী আক্তার নামে এক প্রসূতি ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার পিছনে ডা. নিহার রঞ্জনকে দায়ী করে স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করেন ডা. নাজমুস সাকিব। তিনি আরো অভিযোগ করে লিখেন ডাক্তারকে না জানিয়ে ডা. নিহার রঞ্জন সাহা সেদিন ওই রোগীকে অ্যানেস্তেসিয়া প্রদান করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: রায়হান বারী বলেন, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। যেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নাই, সেসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আইনী ভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।