কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জনবল সংকটের কারণে ভূমিমালিকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা না থাকায় প্রায় চার মাস যাবত সেখানকার মানুষ ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন না। এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) সহ আরও প্রায় ৩২টি পদ শূন্য রয়েছে। ভূমি সেবা-সংক্রান্ত ভোগান্তি দূর করতে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি কর্মকর্তাসহ উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে। প্রায় চার মাস আগে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তারপর থেকে ওই ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের মানুষ জমির নামজারি, খাজনা দেয়া, খারিজ করা ও খতিয়ান সংগ্রহ সহ জমি কেনা-বেচা করতে পাচ্ছেন না।
ভোগান্তির শিকার ভূমি মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, বেশ কিছু দিন আগে জমি খারিজ করতে দিয়েছি। তিন মাস পার হয়ে গেছে খারিজের কাগজ পাইনি। আল্লাহই জানে খারিজের কাগজ কবে পাবো। ভূমি অফিসে যাই আর ফিরে আসি।
লোকমান আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভূমি অফিসে কর্মকর্তা না থাকায় আমাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই অফিসে কাজ না হওয়ায় উপজেলা অফিসে যাই। সেখানে গিয়েও কাজ না হওয়ায় ফিরে আসতে হয়।
আবু বক্কর নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মানুষ ভূমি অফিসে খাজনা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছে, খারিজ করাতে এসে ফিরে যাচ্ছে। রোজার ঈদের আগে থেকে এই অবস্থা চলছে। দ্রুত এখানে কর্মকর্তা দেয়া হোক।
চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন বলেন, ভূমি অফিসে তালা ঝুলছে। ইউনিয়নের মানুষ খাজনা দিতে পাচ্ছেনা, খারিজ করাতে পাচ্ছেনা, এমনকি জমি কেনা-বেচা করতে পাচ্ছেন না। তারা প্রতিনিয়ত আমার কাছে অভিযোগ করছেন। ইউনিয়নবাসী অনেক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন।
ভূমি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জনবল সংকটের কারণে ভূমিমালিকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা না থাকায় প্রায় চার মাস যাবত সেখানকার মানুষ ভূমি-সংক্রান্ত সেবা পাচ্ছেন না। এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) সহ আরও প্রায় ৩২টি পদ শূন্য রয়েছে। ভূমি সেবা-সংক্রান্ত ভোগান্তি দূর করতে চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি কর্মকর্তাসহ উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যান্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ খালি রয়েছে। প্রায় চার মাস আগে ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। তারপর থেকে ওই ভূমি অফিসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের মানুষ জমির নামজারি, খাজনা দেয়া, খারিজ করা ও খতিয়ান সংগ্রহ সহ জমি কেনা-বেচা করতে পাচ্ছেন না।
ভোগান্তির শিকার ভূমি মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, বেশ কিছু দিন আগে জমি খারিজ করতে দিয়েছি। তিন মাস পার হয়ে গেছে খারিজের কাগজ পাইনি। আল্লাহই জানে খারিজের কাগজ কবে পাবো। ভূমি অফিসে যাই আর ফিরে আসি।
লোকমান আলী নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভূমি অফিসে কর্মকর্তা না থাকায় আমাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই অফিসে কাজ না হওয়ায় উপজেলা অফিসে যাই। সেখানে গিয়েও কাজ না হওয়ায় ফিরে আসতে হয়।
আবু বক্কর নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মানুষ ভূমি অফিসে খাজনা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছে, খারিজ করাতে এসে ফিরে যাচ্ছে। রোজার ঈদের আগে থেকে এই অবস্থা চলছে। দ্রুত এখানে কর্মকর্তা দেয়া হোক।
চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন বলেন, ভূমি অফিসে তালা ঝুলছে। ইউনিয়নের মানুষ খাজনা দিতে পাচ্ছেনা, খারিজ করাতে পাচ্ছেনা, এমনকি জমি কেনা-বেচা করতে পাচ্ছেন না। তারা প্রতিনিয়ত আমার কাছে অভিযোগ করছেন। ইউনিয়নবাসী অনেক অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন।
ভূমি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।