মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ -সংবাদ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কুয়ারদাহ-নেহালপুর গ্রামে ৩শ বিঘা ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের করছেন এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অর্ধশত গ্রামবাসী গণস্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত দুই দিন ধরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রখেছে। সাধারণ কৃষক ও ভুক্তভোগী ৩ শতাধিক জমির মালিক অভিযোগ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামে ৩শ বিঘার এ ফসলি মাঠে কখনও মৎস্য ঘের হয়নি। এ বছর প্রভাবশালী সাদিক শিকদারের নেতৃত্বে আসলাম শেখ, কামরুজ্জামান মুকুলসহ একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ জমির মালিকদের ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার পাঁয়তারা করছে। পানি চলাচলের ছোট ছোট খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে যে কারণে ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়েছে।
এ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক কৃষক আমন বোরো মৌসুমে রবিশষ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিটি পরিবারের এ মাঠে ৩-৪ বিঘা, ৫০ বিঘা জমিও রয়েছে। অনেকে খাল ও নালায় মাছ ধরে সংসার চালায়। মাছের ঘের করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত করার পাঁয়তারা করছে প্রভাবশালী মহলটি। সাধারণ কৃষকরা তাদের জমিতে শান্তিপ্রিয়ভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারে সেজন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মানববন্ধনে এ সময় বক্তৃতা করেন আবুয়াল সরদার, মোশারেফ মাতুব্বর, জালাল উদ্দিন, নেছার মাতুব্বর রজ্জব আলী শেখ, মোসা. রাবেয়া বেগম, দুলাল খান, খলিলুর রহমান সহ একাধিক কৃষক।
এ বিষয়ে সাদিক শিকদার বলেন, তিনি শতাধিক জমির মালিকের লিখিত অনুমতি নিয়েই মৎস্য ঘের করছেন। তবে, জোরপূর্বক নয়, ওই মাঠে তার ১০ বিঘাসহ তাদের বংশের ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। ২-৩ জন ব্যক্তিকে ঘেরে শেয়ার না রাখার কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামের জমি মালিকদের একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকরে কোন প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ -সংবাদ
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কুয়ারদাহ-নেহালপুর গ্রামে ৩শ বিঘা ফসলি জমিতে জোরপূর্বক মাছের ঘের করছেন এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অর্ধশত গ্রামবাসী গণস্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত দুই দিন ধরে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রখেছে। সাধারণ কৃষক ও ভুক্তভোগী ৩ শতাধিক জমির মালিক অভিযোগ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকেই বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামে ৩শ বিঘার এ ফসলি মাঠে কখনও মৎস্য ঘের হয়নি। এ বছর প্রভাবশালী সাদিক শিকদারের নেতৃত্বে আসলাম শেখ, কামরুজ্জামান মুকুলসহ একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ জমির মালিকদের ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার পাঁয়তারা করছে। পানি চলাচলের ছোট ছোট খালের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে যে কারণে ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পড়েছে।
এ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক কৃষক আমন বোরো মৌসুমে রবিশষ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিটি পরিবারের এ মাঠে ৩-৪ বিঘা, ৫০ বিঘা জমিও রয়েছে। অনেকে খাল ও নালায় মাছ ধরে সংসার চালায়। মাছের ঘের করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত করার পাঁয়তারা করছে প্রভাবশালী মহলটি। সাধারণ কৃষকরা তাদের জমিতে শান্তিপ্রিয়ভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারে সেজন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
মানববন্ধনে এ সময় বক্তৃতা করেন আবুয়াল সরদার, মোশারেফ মাতুব্বর, জালাল উদ্দিন, নেছার মাতুব্বর রজ্জব আলী শেখ, মোসা. রাবেয়া বেগম, দুলাল খান, খলিলুর রহমান সহ একাধিক কৃষক।
এ বিষয়ে সাদিক শিকদার বলেন, তিনি শতাধিক জমির মালিকের লিখিত অনুমতি নিয়েই মৎস্য ঘের করছেন। তবে, জোরপূর্বক নয়, ওই মাঠে তার ১০ বিঘাসহ তাদের বংশের ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। ২-৩ জন ব্যক্তিকে ঘেরে শেয়ার না রাখার কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, কুয়ারদাহ-নেখালপুর গ্রামের জমি মালিকদের একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকরে কোন প্রকার ব্যাঘাত সৃষ্টি করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।