নওগাঁ : আত্রাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় -সংবাদ
নওগাঁর আত্রাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি সম্পদ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয় অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক। ক্ষতিয়ে দেখার আশা কর্মকর্তার।
জানা যায়, শিমুলিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রায় সাত বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭-৮ বিঘা সম্পদ দীর্ঘদিন ধরে লিজ দিয়ে তার অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, গত তিন বছরে স্কুলে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। সেই টাকারো কোন কাজ? হয়নি বলছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে পড়ছে। প্রতিটা রুমের জরাজীর্ণ অবস্থা, উল্লেখ্য যে প্রাকপ্রাথমিকের রুম সু-সজ্জিত করার কথা। কিন্তু সেখানে নেই তেমন কোন ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে রং করা হয়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। দেখে যেন মনে হয় একটি ঝুপড়ি ঘর। টয়লেটের প্যান্ট (কমোড) ভাঙ্গা, টয়লেটে যেতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। সঠিক টাইমে স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, স্কুলের নামে বিভিন্ন দাগে পুকুর এবং ফসলি জমি মিলে প্রায় ৮ বিঘা জমি রয়েছে। এ সব সরকারি সম্পদ বাৎসরিকভাবে লিজ দিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে স্কুলের প্রধান। শিমুলিয়া গ্রামের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, স্কুলের নামে থাকা ফসলি জমি ও পুকুর প্রতি বছর লিজ দিয়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা আয় হয়, কিন্তু সে টাকার হিসাব প্রধান আর কমিটির লোক ছাড়া তারা কাউকেই দেয় না। অনেকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়?।
স্কুলের সম্পদ লিজ নেয়া ক্যাপাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতেই আমার লিজ নেয়া দুই বিঘা ফসলের জমির টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য স্বাধীন বলেন, আমরা স্কুলের সম্পত্তি প্রতি বছর লিজ দিয়ে যে অর্থ আসে তা আমরা স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করি। তার সব কাগজপত্র স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে আছে। তবে তিনি স্কুলের কি উন্নয়নমূলক কাজে অর্থ ব্যয় করেছেন এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি। কমিটির আরও এক সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, লিজ দেয়া যে টাকা আয় করেছি, এবং কি কি খাতে ব্যয় করেছি তার সবকিছুই প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়েই করেছি। এখন বর্তমানে আমি কমিটিতে নেই, যদি কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় আপনারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। সব অর্থের হিসাব প্রধান জানে।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যতোটুকু সম্পদের কাগজ আমি পেয়েছি তার হিসাব আমার কাছে রয়েছে। তাছাড়াও স্কুলের নামে যে আরও সম্পদ রয়েছে তার কাগজ আমার কাছে নেই। এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সেলিম এবং স্বাধীন তারাই বলতে পারবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাযহারুল ইসলাম বলেন, স্কুলের সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে স্কুলের নামে এতগুলো সম্পদ রয়েছে, এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কখনো আমাদের জানায়নি।
জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না, আমি আপনার মাধ্যম দিয়ে জানলাম পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমি ক্ষতিয়ে দেখব।
নওগাঁ : আত্রাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় -সংবাদ
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
নওগাঁর আত্রাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি সম্পদ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে স্কুল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয় অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক। ক্ষতিয়ে দেখার আশা কর্মকর্তার।
জানা যায়, শিমুলিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রায় সাত বছর ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭-৮ বিঘা সম্পদ দীর্ঘদিন ধরে লিজ দিয়ে তার অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, গত তিন বছরে স্কুলে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। সেই টাকারো কোন কাজ? হয়নি বলছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে পড়ছে। প্রতিটা রুমের জরাজীর্ণ অবস্থা, উল্লেখ্য যে প্রাকপ্রাথমিকের রুম সু-সজ্জিত করার কথা। কিন্তু সেখানে নেই তেমন কোন ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে রং করা হয়নি প্রতিষ্ঠানটিতে। দেখে যেন মনে হয় একটি ঝুপড়ি ঘর। টয়লেটের প্যান্ট (কমোড) ভাঙ্গা, টয়লেটে যেতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। সঠিক টাইমে স্কুলে আসেন না শিক্ষকরা বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরও জানান, স্কুলের নামে বিভিন্ন দাগে পুকুর এবং ফসলি জমি মিলে প্রায় ৮ বিঘা জমি রয়েছে। এ সব সরকারি সম্পদ বাৎসরিকভাবে লিজ দিয়ে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে স্কুলের প্রধান। শিমুলিয়া গ্রামের নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, স্কুলের নামে থাকা ফসলি জমি ও পুকুর প্রতি বছর লিজ দিয়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা আয় হয়, কিন্তু সে টাকার হিসাব প্রধান আর কমিটির লোক ছাড়া তারা কাউকেই দেয় না। অনেকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়?।
স্কুলের সম্পদ লিজ নেয়া ক্যাপাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের উপস্থিতিতেই আমার লিজ নেয়া দুই বিঘা ফসলের জমির টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য স্বাধীন বলেন, আমরা স্কুলের সম্পত্তি প্রতি বছর লিজ দিয়ে যে অর্থ আসে তা আমরা স্কুলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করি। তার সব কাগজপত্র স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে আছে। তবে তিনি স্কুলের কি উন্নয়নমূলক কাজে অর্থ ব্যয় করেছেন এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেননি। কমিটির আরও এক সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, লিজ দেয়া যে টাকা আয় করেছি, এবং কি কি খাতে ব্যয় করেছি তার সবকিছুই প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়েই করেছি। এখন বর্তমানে আমি কমিটিতে নেই, যদি কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় আপনারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। সব অর্থের হিসাব প্রধান জানে।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুলে যতোটুকু সম্পদের কাগজ আমি পেয়েছি তার হিসাব আমার কাছে রয়েছে। তাছাড়াও স্কুলের নামে যে আরও সম্পদ রয়েছে তার কাগজ আমার কাছে নেই। এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সেলিম এবং স্বাধীন তারাই বলতে পারবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাযহারুল ইসলাম বলেন, স্কুলের সরকারি সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে লিজ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে স্কুলের নামে এতগুলো সম্পদ রয়েছে, এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কখনো আমাদের জানায়নি।
জেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না, আমি আপনার মাধ্যম দিয়ে জানলাম পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমি ক্ষতিয়ে দেখব।