বেশির ভাগ সময় তিনি চাষিদের ফোনকল রিসিভ করেন না। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বরাদ্দকৃত সার ও বীজ প্রকৃত চাষিদের না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দেন
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে চাষিদের আনা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গঠিত হয় একের পর এক কমিটি। কিন্তু কোন কাজ হয় না। আর এ সুযোগে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম কখনোই মাঠে যাননা। ফোন করে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ চাইলে তিনি নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যান। এমনকি বেশিরভাগ সময়ই তিনি চাষিদের ফোনকল রিসিভ করেন না। তিনি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনামূল্যের সার ও বীজ প্রকৃত চাষিদের না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে সরবরাহ করেন। চাষি নির্বাচনেও তিনি নানা ধরনের চাতুরির আশ্রয় নেন। তিনি দীর্ঘদিন একই এলাকায় কর্মরত থাকার কারণে চাষিদের সঙ্গে সব সময়ই অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ফলে চাষিদের সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলাকার চাষিরা তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু দায়সারা তদন্তের কারণে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একটি তদন্ত দল এলাকা ঘুরে গেছেন। কিন্তু তারা অভিযোগকারী চাষিদের সঙ্গে কথা না বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের মনোনীত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কাজ শেষ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওসমান গডু বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে একবার তদন্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবারো তদন্ত হবে।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ বলেন, অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্ত কাজ সম্পন্ন হবে। তবে পূর্বে কে বা কারা তদন্ত করেছেন এবং কার নির্দেশে তদন্ত হয়েছে সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ফেরদৌস নামে এক চাষির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশি বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
বেশির ভাগ সময় তিনি চাষিদের ফোনকল রিসিভ করেন না। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বরাদ্দকৃত সার ও বীজ প্রকৃত চাষিদের না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের দেন
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে চাষিদের আনা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গঠিত হয় একের পর এক কমিটি। কিন্তু কোন কাজ হয় না। আর এ সুযোগে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম কখনোই মাঠে যাননা। ফোন করে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ চাইলে তিনি নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যান। এমনকি বেশিরভাগ সময়ই তিনি চাষিদের ফোনকল রিসিভ করেন না। তিনি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য বরাদ্দকৃত বিনামূল্যের সার ও বীজ প্রকৃত চাষিদের না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে সরবরাহ করেন। চাষি নির্বাচনেও তিনি নানা ধরনের চাতুরির আশ্রয় নেন। তিনি দীর্ঘদিন একই এলাকায় কর্মরত থাকার কারণে চাষিদের সঙ্গে সব সময়ই অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ফলে চাষিদের সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলাকার চাষিরা তার এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু দায়সারা তদন্তের কারণে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একটি তদন্ত দল এলাকা ঘুরে গেছেন। কিন্তু তারা অভিযোগকারী চাষিদের সঙ্গে কথা না বলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের মনোনীত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কাজ শেষ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ওসমান গডু বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে একবার তদন্ত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবারো তদন্ত হবে।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ বলেন, অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই তদন্ত কাজ সম্পন্ন হবে। তবে পূর্বে কে বা কারা তদন্ত করেছেন এবং কার নির্দেশে তদন্ত হয়েছে সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ফেরদৌস নামে এক চাষির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশি বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।