আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাবক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত ম্যুরাল কুমিল্লায় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, নগরীর রাজবাড়ি এলাকায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে স্থাপিত রফিকুল ইসলামের ম্যুরালটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেছেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ম্যুরাল পুনঃস্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলামের পরিবারের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ম্যুরালটি উদ্বোধন করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বুলি ইসলাম।
ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় হতাশা জানিয়ে কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. নূরে আলম ভূঁইয়া বলেন, “বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা দেওয়ার পেছনে রফিকুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর স্মৃতিচিহ্ন ভাঙার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। অবিলম্বে এর পুনঃস্থাপন চাই।”
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় স্কুলের কেউ কথা বলতে চাননি। আশপাশের বাসিন্দারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
রফিকুল ইসলাম ১৯৯৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে চিঠি দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানান। পরে তাঁর নেতৃত্বে ‘মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ গঠিত হয়, যার প্রচেষ্টায় ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়।
এই অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর কানাডার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এ ভাষা সংগ্রামী।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তাবক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মরণে নির্মিত ম্যুরাল কুমিল্লায় ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, নগরীর রাজবাড়ি এলাকায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে স্থাপিত রফিকুল ইসলামের ম্যুরালটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেছেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে ম্যুরাল পুনঃস্থাপনসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রফিকুল ইসলামের পরিবারের উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ম্যুরালটি উদ্বোধন করা হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল এবং রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বুলি ইসলাম।
ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় হতাশা জানিয়ে কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মো. নূরে আলম ভূঁইয়া বলেন, “বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা দেওয়ার পেছনে রফিকুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর স্মৃতিচিহ্ন ভাঙার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। অবিলম্বে এর পুনঃস্থাপন চাই।”
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় স্কুলের কেউ কথা বলতে চাননি। আশপাশের বাসিন্দারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
রফিকুল ইসলাম ১৯৯৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানকে চিঠি দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানান। পরে তাঁর নেতৃত্বে ‘মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ গঠিত হয়, যার প্রচেষ্টায় ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়।
এই অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর কানাডার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এ ভাষা সংগ্রামী।