উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ডেঙ্গুজ্বর ব্যাপক আকার ধারণ করছে। সেখানে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুকিপূর্ণের চেয়েও ৮ গুন বেশি। মহাখালী রোগতত্বব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের এক অনুসন্ধানী জরিপে এ সব তথ্য জানা গেছে।
বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রামসহ বিভিন্ন পাত্রে ধরে রাখা হয়। পাত্রগুলো ঠিক মত পরিস্কারও করা হয় না। দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখায় সেগুলোকে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে
জরিপে দেখা গেছে, জেলা শহরের চেয়ে পৌর এলাকায় কিছুটা কম, তবে দ্বিগুনের বেশি। কারন হিসেবে পানির সংকটে থাকা জেলাবাসী ড্রামে ও বিভিন্ন পাত্রে দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রামের ডাকনা বন্ধ রাখার পাশাপাশি এলাকা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মহাখালীতে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহামিনা শিরিন। বরগুনার এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে গত ১৬ থেকে ২২ জুন এ জরিপ করা হয়েছে। আইইডিসিআরের জরিপ টিম পৌর এলাকায় ১৩৮টি এবং সদর উপজেলার ৪৬টি বাড়ি পরিদর্শন করেন।
জরিপে দেখা গেছে, পৌর এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার দ্বিগুনের বেশি। আর বরগুনা সদর এলাকায় তা আটগুনের বেশি। কোনও এলাকার এডিস মশার উপস্থিতিরে পরিমাপের একক হল ব্রুটো ইনডেক্স । আর ব্রুটো ইনডেক্সর ২০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝূকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে দরে নেয়া হবে।
ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার বেশি এই জেলায়। এতে আক্রান্ত রোগীও বেশি। দেশজুড়ে যত রোগী আছে তার চেয়ে এক চর্তুথাংশের বেশি বরগুনায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালে ভর্তিকৃত বেশি রোগীই বরগুনা সদর উপজেলার। এছাড়াও পাথরঘাটা, বামনা উপজেলার রোগীর সংখ্যা বেশি। গত এপ্রিল মাস থেকে সেখানে রোগী বাড়তে থাকে। জুন মাসে রোগী বেশি পাওয়া গেছে।
ডা. তাহমিনা বৃহস্পতিবার(২৬-৬-২০২৫) উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, বরগুনায় এলাকায় খাওয়ার পানি সংকট রয়েছে।
এই কারনে বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রামসহ বিভিন্ন পাত্রে ধরে রাখা হয়। পাত্রগুলো ঠিক মত পরিস্কারও করা হয় না।
দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখায় সেগুলোকে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন পাত্রে মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বদনাও রয়েছে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পাত্রে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়। সেখানে লার্ভা হচ্ছে। এই কারনে ড্রামের মুখটা বন্ধ করে রাখলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আবার বাসার মধ্যে মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ কারনে জনসচেতনতা বেশি দরকার।
বরগুনা শহরে এডিস ইজিপ্টি এবং শহরের বাইরে এডিস আ্যালবোপিক্টাস মশার উপস্থিতি বেশি। ঢাকার বাইরে এবারের মতো মশা আগে জানতাম না।
এখন যেহেতু জেনেছি সেই ভাবে স্ট্যাটেজি ডেভেলপ করতে হবে। বরগুনায় আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশের ডেঙ্গুর ধরন ডেন-৩ এ আক্রান্ত। আর ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী ডেন-২ এ আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ১৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে উভয় ধরনেই।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ডেঙ্গুজ্বর ব্যাপক আকার ধারণ করছে। সেখানে এডিস মশার উপস্থিতি ঝুকিপূর্ণের চেয়েও ৮ গুন বেশি। মহাখালী রোগতত্বব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের এক অনুসন্ধানী জরিপে এ সব তথ্য জানা গেছে।
বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রামসহ বিভিন্ন পাত্রে ধরে রাখা হয়। পাত্রগুলো ঠিক মত পরিস্কারও করা হয় না। দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখায় সেগুলোকে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে
জরিপে দেখা গেছে, জেলা শহরের চেয়ে পৌর এলাকায় কিছুটা কম, তবে দ্বিগুনের বেশি। কারন হিসেবে পানির সংকটে থাকা জেলাবাসী ড্রামে ও বিভিন্ন পাত্রে দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রামের ডাকনা বন্ধ রাখার পাশাপাশি এলাকা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মহাখালীতে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে জরিপের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহামিনা শিরিন। বরগুনার এডিস মশার উপস্থিতি নিয়ে গত ১৬ থেকে ২২ জুন এ জরিপ করা হয়েছে। আইইডিসিআরের জরিপ টিম পৌর এলাকায় ১৩৮টি এবং সদর উপজেলার ৪৬টি বাড়ি পরিদর্শন করেন।
জরিপে দেখা গেছে, পৌর এলাকায় এডিস মশার উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার দ্বিগুনের বেশি। আর বরগুনা সদর এলাকায় তা আটগুনের বেশি। কোনও এলাকার এডিস মশার উপস্থিতিরে পরিমাপের একক হল ব্রুটো ইনডেক্স । আর ব্রুটো ইনডেক্সর ২০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝূকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে দরে নেয়া হবে।
ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার বিস্তার বেশি এই জেলায়। এতে আক্রান্ত রোগীও বেশি। দেশজুড়ে যত রোগী আছে তার চেয়ে এক চর্তুথাংশের বেশি বরগুনায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাসপাতালে ভর্তিকৃত বেশি রোগীই বরগুনা সদর উপজেলার। এছাড়াও পাথরঘাটা, বামনা উপজেলার রোগীর সংখ্যা বেশি। গত এপ্রিল মাস থেকে সেখানে রোগী বাড়তে থাকে। জুন মাসে রোগী বেশি পাওয়া গেছে।
ডা. তাহমিনা বৃহস্পতিবার(২৬-৬-২০২৫) উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, বরগুনায় এলাকায় খাওয়ার পানি সংকট রয়েছে।
এই কারনে বিভিন্ন বাড়িতে বৃষ্টির পানি ড্রামসহ বিভিন্ন পাত্রে ধরে রাখা হয়। পাত্রগুলো ঠিক মত পরিস্কারও করা হয় না।
দীর্ঘদিন পানি জমিয়ে রাখায় সেগুলোকে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন পাত্রে মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বদনাও রয়েছে।
এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পাত্রে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়। সেখানে লার্ভা হচ্ছে। এই কারনে ড্রামের মুখটা বন্ধ করে রাখলে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। আবার বাসার মধ্যে মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ কারনে জনসচেতনতা বেশি দরকার।
বরগুনা শহরে এডিস ইজিপ্টি এবং শহরের বাইরে এডিস আ্যালবোপিক্টাস মশার উপস্থিতি বেশি। ঢাকার বাইরে এবারের মতো মশা আগে জানতাম না।
এখন যেহেতু জেনেছি সেই ভাবে স্ট্যাটেজি ডেভেলপ করতে হবে। বরগুনায় আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশের ডেঙ্গুর ধরন ডেন-৩ এ আক্রান্ত। আর ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ রোগী ডেন-২ এ আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ১৪ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে উভয় ধরনেই।