বান্দরবান : মাইন বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া -সংবাদ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের বাম পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জারুলিয়া ছড়ি বিওপির ৪৬,৪৭ পিলারের ৪শ’ মিটার দূরে মায়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওমর মিয়া কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা এলাকার বাসিন্দা সাবের মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১১ বিজিবির অধীনস্থ জারুলিয়াছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিওপি-৪৬-৪৭ পিলারের আনুমানিক ৪০০ মিটার মায়ানমার অভ্যন্তরে অংথ্রাবে ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিজিবি সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি কর্তৃক পুঁতে রাখা একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া পায়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে কক্সবাজার হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মি ও সামরিক জান্তার চলমান সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় মাইন পুঁতে রেখেছে আরাকান আর্মি।
এদিকে গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চাকমার কাটা নামক সীমান্ত এলাকায় ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে ওপার থেকে বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা জন্য আসার পথে মাইন বিস্ফোরণে মায়ানমারের রাখাইন যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আহত রাখাইন এলাকার ওই ব্যক্তির নাম ওলিমং তংচঙ্গ্যা (৩৫), তিনি মেদাই গ্রামের চাবংর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মায়ানমারের রাখাইন এই যুবক সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য অনুপ্রবেশ করার সময়ে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত রোববার একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম প্রকাশ বাদল নামে এক বাংলাদেশি তরুণের বাম পায়ের নিচের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরাফাতুল ইসলাম সদর ইউনিয়নের জামছড়ি গ্রামের খুইল্লা মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, জামছড়ি সাপমারা ঝিরি সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে চোরাই পণ্য আনতে গিয়েছিল চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় মায়ানমারের আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয়ে এক বাংলাদেশি তরুণের বাম পায়ের নিচের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা সীমান্তে গেলে আহত আরাফাতকে দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তারা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী শুনেছি মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া নামের বাংলাদেশি এক যুবকের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ জুন নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গেল এক বছরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের অধিক মানুষের পা বিচ্ছিন্নসহ গুরুতর আহত হয়েছে।
বান্দরবান : মাইন বিস্ফোরণে আহত এক ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের বাম পায়ের গোড়ালির নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জারুলিয়া ছড়ি বিওপির ৪৬,৪৭ পিলারের ৪শ’ মিটার দূরে মায়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওমর মিয়া কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৌলভীকাটা এলাকার বাসিন্দা সাবের মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ১১ বিজিবির অধীনস্থ জারুলিয়াছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিওপি-৪৬-৪৭ পিলারের আনুমানিক ৪০০ মিটার মায়ানমার অভ্যন্তরে অংথ্রাবে ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় এ বিস্ফোরণ ঘটে। বিজিবি সূত্র জানায়, আরাকান আর্মি কর্তৃক পুঁতে রাখা একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া পায়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে কক্সবাজার হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মি ও সামরিক জান্তার চলমান সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় মাইন পুঁতে রেখেছে আরাকান আর্মি।
এদিকে গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের চাকমার কাটা নামক সীমান্ত এলাকায় ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে ওপার থেকে বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা জন্য আসার পথে মাইন বিস্ফোরণে মায়ানমারের রাখাইন যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আহত রাখাইন এলাকার ওই ব্যক্তির নাম ওলিমং তংচঙ্গ্যা (৩৫), তিনি মেদাই গ্রামের চাবংর ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মায়ানমারের রাখাইন এই যুবক সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য অনুপ্রবেশ করার সময়ে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, গত রোববার একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আরাফাতুল ইসলাম প্রকাশ বাদল নামে এক বাংলাদেশি তরুণের বাম পায়ের নিচের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরাফাতুল ইসলাম সদর ইউনিয়নের জামছড়ি গ্রামের খুইল্লা মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, জামছড়ি সাপমারা ঝিরি সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে চোরাই পণ্য আনতে গিয়েছিল চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা। এ সময় সীমান্তের শূন্যরেখায় মায়ানমারের আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরিত হয়ে এক বাংলাদেশি তরুণের বাম পায়ের নিচের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা সীমান্তে গেলে আহত আরাফাতকে দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তারা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী শুনেছি মাইন বিস্ফোরণে ওমর মিয়া নামের বাংলাদেশি এক যুবকের পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ জুন নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে গেল এক বছরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনের অধিক মানুষের পা বিচ্ছিন্নসহ গুরুতর আহত হয়েছে।