একসময় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আড়িয়ল বাজার ছিল প্রাণবন্ত লঞ্চঘাট। নৌকা আসত-যেত, খালজুড়ে চলত হাট-বাজার। সেই খাল এখন মৃতপ্রায় পরিণত হয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার ভাগাড়ে। আগাছা ও আবর্জনায় ভরা খালটি এখন রোগের উৎস।
একসময় পদ্মা ও ইছামতি নদী থেকে ডহরী-তালতলা হয়ে বাতাসি বাড়ির পাশ দিয়ে এই খাল প্রবাহিত হতো বালিগাঁও, কলমা, ডুলিহাটা ও মোকামখোলা হয়ে মিরকাদিমের ধলেশ্বরীতে। আজ সেই পথ দখল, ময়লা আর অবহেলায় মৃত।
আড়িয়ল বাজারের সাধারণ সম্পাদক আ. আলী নান্টু মাদবর বলেন, আড়িয়ল বাজারটি এক সময়ের ব্যস্ততম ও ঐতিহ্যবাহী হাট ছিল। খালপথে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চে করে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসত। এখন খালে পানি নেই, তার উপর যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে করে লঞ্চঘাটের অস্তিত্বই বিলীন হওয়ার পথে।
স্থানীয় সমাজ সেবক মিরাজ শেখ রানা বলেন, এই খাল ছিল আমাদের শৈশবের আনন্দ, কৃষির জীবনরস। আজ সেখানে দুর্গন্ধ আর পচা পানি। কৃষকরাও বলছেন, খালের পানি না থাকায় সেচ ব্যয় বেড়েছে, ফসল কমছে।
মাহফুজুর রহমান সুজন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গারুর গাঁ, পাঁচগাঁও, চিত্রকরা, রাজাবাড়ি, দিঘীর পাড় সব জায়গায় খালের মুখ বন্ধ। আড়িয়ল, বালিগাঁও, কলমা, ডুলিহাটা, টঙ্গীবাড়ী এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্ট খুললেই আবার পানি চলাচল সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খাল পুনঃখননের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ চলছে।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে শুধু তালিকা আর আশ্বাসই কেন? খাল প্রকাশ্যে দখল হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার কেন?
খালের মৃত্যু মানে শুধু পানির মৃত্যু নয়, এটা একটি জনপদের আত্মপরিচয়ের অপমৃত্যু। তাই সময় এখনই, উঠে দাঁড়াতে হবে, জবাব চাইতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাল রক্ষা করতে হবে। জলধারার মৃত্যু মানে জীবনের মৃত্যু। রুখে দাঁড়াও।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
একসময় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর আড়িয়ল বাজার ছিল প্রাণবন্ত লঞ্চঘাট। নৌকা আসত-যেত, খালজুড়ে চলত হাট-বাজার। সেই খাল এখন মৃতপ্রায় পরিণত হয়েছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার ভাগাড়ে। আগাছা ও আবর্জনায় ভরা খালটি এখন রোগের উৎস।
একসময় পদ্মা ও ইছামতি নদী থেকে ডহরী-তালতলা হয়ে বাতাসি বাড়ির পাশ দিয়ে এই খাল প্রবাহিত হতো বালিগাঁও, কলমা, ডুলিহাটা ও মোকামখোলা হয়ে মিরকাদিমের ধলেশ্বরীতে। আজ সেই পথ দখল, ময়লা আর অবহেলায় মৃত।
আড়িয়ল বাজারের সাধারণ সম্পাদক আ. আলী নান্টু মাদবর বলেন, আড়িয়ল বাজারটি এক সময়ের ব্যস্ততম ও ঐতিহ্যবাহী হাট ছিল। খালপথে নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চে করে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসত। এখন খালে পানি নেই, তার উপর যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে করে লঞ্চঘাটের অস্তিত্বই বিলীন হওয়ার পথে।
স্থানীয় সমাজ সেবক মিরাজ শেখ রানা বলেন, এই খাল ছিল আমাদের শৈশবের আনন্দ, কৃষির জীবনরস। আজ সেখানে দুর্গন্ধ আর পচা পানি। কৃষকরাও বলছেন, খালের পানি না থাকায় সেচ ব্যয় বেড়েছে, ফসল কমছে।
মাহফুজুর রহমান সুজন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গারুর গাঁ, পাঁচগাঁও, চিত্রকরা, রাজাবাড়ি, দিঘীর পাড় সব জায়গায় খালের মুখ বন্ধ। আড়িয়ল, বালিগাঁও, কলমা, ডুলিহাটা, টঙ্গীবাড়ী এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্ট খুললেই আবার পানি চলাচল সম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খাল পুনঃখননের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ চলছে।
তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, দীর্ঘদিন ধরে শুধু তালিকা আর আশ্বাসই কেন? খাল প্রকাশ্যে দখল হচ্ছে, অথচ প্রশাসন নির্বিকার কেন?
খালের মৃত্যু মানে শুধু পানির মৃত্যু নয়, এটা একটি জনপদের আত্মপরিচয়ের অপমৃত্যু। তাই সময় এখনই, উঠে দাঁড়াতে হবে, জবাব চাইতে হবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খাল রক্ষা করতে হবে। জলধারার মৃত্যু মানে জীবনের মৃত্যু। রুখে দাঁড়াও।