পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসা. হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের (৪৫) দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে আমেনা।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামি মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী আমেনা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মসজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন মজিদ হাওলাদার।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজুপূর্বক তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় মোসা. হালিমা বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের আসামির নিজ বসতঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি ওই গ্রামের আবুল বাশারের স্ত্রী। ভুক্তভোগী একই গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের (৪৫) দায়ের করা কাউন্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ রামপুর গ্রামের মৃত জহরুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে আমেনা।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় আসামি মজিদ তার বসতঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের কোনো সত্যতা না পেয়ে অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু বাদী আমেনা বেগম প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি করলে মামলাটি আরো গভীর তদন্তের জন্য সিআইডি পটুয়াখালীতে প্রেরণ করা হয়। সিআইডি গভীর তদন্ত করে ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।
সেখানেও মামলার অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৩৩ নং আদেশের মাধ্যমে মসজিদ হাওলাদারকে নির্দোষ ঘোষণা করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ফলে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় গত ১৯ জুন মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন মজিদ হাওলাদার।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর নির্দেশ দিলে, রুজুপূর্বক তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।