গাজীপুরের চঁাদপুর ইউনিয়নের ধরপাড়া গ্রামে গতকাল বুধবার সকালে ভাতিজার হাতে চাচি খুন হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক নাজমুল সরকারের (২৭) পিতা জাকির হোসেন সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শী আতিকুর রহমান জানান, ধরপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন ও তার ভাই আওলাদ হোসেনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলমান ছিল। প্রায় তিন মাস আগে জাকির হোসেনের ছেলে নাজমুল প্রায় সাত-আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার আওলাদ হোসেনের ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্বজনরা একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও কোনো সমাধান করতে পারেন নি। গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে নাজমুলের ছেলে নীরব সরকারকে (০৬) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে নাজমুল তাকে জানায়। পরে রাত সাড়ে এগারটার পর নীরব বাড়ি ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আওলাদের ছেলে শামীমের ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছে বলে জানায়। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে উভয়ের বাড়ির মাঝখানের রাস্তায় একটি শালিস বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই তারা ঝগড়া বিবাদে জরিয়ে পড়ে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমুল ছুরি দিয়ে তার চাচি নারগিস আক্তারকে (৪০) বুকে আঘাত করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হলে আওলাদ হোসেন (৫০) ও তার ছেলে শামীম হোসেন (২৮) গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নারগিস আক্তার মারা যায়। পরে আওলাদ হোসেন ও শামীম হোসেনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় নাজমুলের পিতা জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
গাজীপুরের চঁাদপুর ইউনিয়নের ধরপাড়া গ্রামে গতকাল বুধবার সকালে ভাতিজার হাতে চাচি খুন হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক নাজমুল সরকারের (২৭) পিতা জাকির হোসেন সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শী আতিকুর রহমান জানান, ধরপাড়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন ও তার ভাই আওলাদ হোসেনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলমান ছিল। প্রায় তিন মাস আগে জাকির হোসেনের ছেলে নাজমুল প্রায় সাত-আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার আওলাদ হোসেনের ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্বজনরা একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও কোনো সমাধান করতে পারেন নি। গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে নাজমুলের ছেলে নীরব সরকারকে (০৬) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে নাজমুল তাকে জানায়। পরে রাত সাড়ে এগারটার পর নীরব বাড়ি ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আওলাদের ছেলে শামীমের ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছে বলে জানায়। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে উভয়ের বাড়ির মাঝখানের রাস্তায় একটি শালিস বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই তারা ঝগড়া বিবাদে জরিয়ে পড়ে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাজমুল ছুরি দিয়ে তার চাচি নারগিস আক্তারকে (৪০) বুকে আঘাত করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হলে আওলাদ হোসেন (৫০) ও তার ছেলে শামীম হোসেন (২৮) গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নারগিস আক্তার মারা যায়। পরে আওলাদ হোসেন ও শামীম হোসেনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় নাজমুলের পিতা জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।