কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে আজ সনাতন ধর্মের প্রথম পর্বের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩টায়। ৯ দিনব্যাপী এই উৎসব উল্টো রথের মাধ্যমে শেষ হয়ে ৫ জুলাই শনিবার। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা গোপীনাথ জীউর বিশেষ বাহন রথে চড়ে তার বোন, সুভদ্রা দেবী স্বামীর বাড়ি থেকে পিত্রালয়ে নাইয়র নিয়ে যাওয়ার জন্য সুভদ্রার ভাই বলরাম, গোপীনাথ জিউর বাড়িতে আসেন। ৯ দিন পর উল্টোরথে চড়ে সুভদ্রাকে নিয়ে আসবেন তার স্বামীর বাড়িতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বিশ্বাস থেকেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৫শ’ বছর যাবত পালিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব। কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে ঈশাখাঁ ও রাজা নবরঙ্গ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত ৫ শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী গোপিনাথ জিউর মন্দির।

কথিত আছে গোপীনাথ জিউর রথের গোড়াপত্তন হয় রাজা নব রঙ্গ রায়ের আমলে। পরবর্তীতে এই মন্দিরে ২ শত একর জমি দান করেন ঈসাখাঁ। তবে মন্দিরের গোড়াপত্তন কে করেছিলে এ ব্যাপারে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। রথযাত্রা উপলক্ষে কটিয়াদী গোপীনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গনে হাজার হাজার ভক্ত ও ধর্মপ্রাণ লোকের মিলন মেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দিরের আশপাশ এলাকা। মন্দির এলাকায় লোকজ মেলা, ফলমূল ও বিভিন্ন জাতের পাখির পসরা বসে।

পূজা উৎসব কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার সাহা বলেন, রথ যাত্রার এই উৎসব মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান হলেও এলাকায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ রথযাত্রা উপভোগ করেন। প্রায় পাঁচশত বছরের পুরনো এই রথযাত্রা কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীর কাছে বরাবরই সার্বজনীন উৎসব হয়ে ওঠে। কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচাজ তরিকুল ইসলাম বলেন, এ রথযাত্রা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক- সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।