alt

সারাদেশ

খেলার ছলে শিশুদের বাস্তব জীবনের ছোঁয়া

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান -সংবাদ

ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে নব্বইয়ের দশকে এমন দৃশ্য ছিল খুবই পরিচিত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ছেলেমেয়েদের হাত ধরে তৈরি হতো ছোট ছোট দোকান। বাঁশের কঞ্চি, শুকনো পাতার ছাউনি, পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান।

খেলার ছলে দোকান সাজিয়ে বসত তারা। কেউ হতেন দোকানদার, কেউবা খরিদ্দার। বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া পুরনো খালি বোতল, কাগজের খালি প্যাকেট, কিছু শাকসবজি কিংবা গাছের কাঁচা ফল দিয়েই জমে উঠত তাদের ব্যবসা। মাটির উঠোনে বসে চলত কেনাবেচার অভিনয়। ঠিক যেমনটি দেখা গেল মহেশপুরের এক গ্রামের মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের পিছনে। ছেলেমেয়েরা মিলে বানিয়েছে অস্থায়ী দোকান। চারদিকে কাঠি পুঁতে তার ওপর শুকনো পাতা বিছিয়ে ছাউনি তৈরি। প্লাস্টিকের পুরনো বোতলে সফট ড্রিংকস, পাশে রাখা রয়েছে কয়েকটা কাঁচা লেবু, প্যাকেটের খোসা, এমনকি কথিত জুসের বোতলও।

খেলতেই তারা বাস্তবের অনুকরণ করছে। বয়সে ছোট হলেও ভাব ভঙ্গিতে তারা যেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। কেউ হিসেব কষছে, কেউ খরিদ্দার সাজে দরদাম করছে। এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি মনোযোগ দিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছে, হয়তো সে এখনই ‘কাস্টমার’ হবে। স্থানীয় প্রবীণরা বলছেন, প্রযুক্তির ছোঁয়া না থাকায় নব্বই দশকে এমন খেলাই ছিল তাদের সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। আজও কোনো কোনো গ্রামে সেই ঐতিহ্যের দেখা মেলে, যা শিশুদের কল্পনার শক্তি আর বাস্তব জীবনের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মঞ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা যখন খেলার ছলে দোকান সাজায় বা ‘বিক্রি-বাট্টা’ করে, সেটি তাদের সামাজিক দক্ষতা গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোটদের এধরনের খেলা শুধু বিনোদনই নয়, বরং জীবনের ছোট ছোট বাস্তবতাকে শেখার এক চমৎকার সুযোগ। এখন অনেক গ্রামেই মোবাইল ফোন, টিভি, ইউটিউবের প্রভাব বাড়লেও মহেশপুরের এ দৃশ্য প্রমাণ করে, শিশুর মনোজগতে এখনও আছে সরলতা আর সৃষ্টিশীলতার জায়গা।

এই হাছিনা, সেই হাসিনা নয়—স্কুলের নাম পরিবর্তনে স্থানীয়দের ক্ষোভ

ছবি

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ‘সেলফি কাণ্ড’, ছাত্রদল নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি

নান্দাইলে সাবেক মন্ত্রীর কন্যা, সাবেক এমপি,চেয়ারম্যানসহ ১৩৭ জনের নামে কোর্টে অভিযোগ

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৫

ফরিদপুরে মাদকসহ আটক ১৫

ছবি

দশমিনায় নদীর মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে

ছবি

বেশি পরিমাণ জমি চাষ ও ফলনে মুরাদনগরে সেরা ৬ কৃষককে সম্মাননা

দৌলতপুরে বিনামূল্যে নলকূপ বিতরণ

সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আদনান

ছবি

শ্রীমঙ্গলে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

ছবি

কেশবপুরে সৌদি খেজুর উৎপাদনে সফল নারী উদ্যোক্তা লিজা

রাজবাড়ীতে ভোক্তার এডির ওপর হামলায় বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

ছবি

ধনবাড়িতে এখনো দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় দৃষ্টিনন্দন মাটির ঘর

ছবি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অজগরের ডিমে ফুটল ৩৩টি বাচ্চা

চবিতে মাদক সেবনকালে ৯ ছাত্রছাত্রী আটক

ছবি

র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে গোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ

দুমকিতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেসবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

শিশুর মাথা মুখমণ্ডল ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা

কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ

রুমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ১, আহত ২

যুবদল নেতার অস্ত্র মামলা হুমকির কলরেকর্ড ভাইরাল

খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ছবি

প্যাকেটসহ ওজনে মিষ্টি বিক্রি করায় ৫ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, ২ গৃহবধূ আহত

ছবি

যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেলপথ

ফরিদগঞ্জে নার্সারি থেকে গাঁজা গাছ জব্দ

টঙ্গীতে ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, গুলি

ছবি

মাদারীপুরে খাল খনন শুরু

মোরেলগঞ্জেভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

ছিনতাইকারীর হাতে নিহত ১

নাইক্ষ্যংছড়িতে ফের মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

কুয়াকাটায় সন্ত্রাসীর লাঠির আঘাতে জেলে নিহত

কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষক কারাগারে

পাথরঘাটায় কৃষকরা পেলেন বীজধান

মাদকাসক্ত ছেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিলেন মা

বোয়ালখালীতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

tab

সারাদেশ

খেলার ছলে শিশুদের বাস্তব জীবনের ছোঁয়া

প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান -সংবাদ

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে নব্বইয়ের দশকে এমন দৃশ্য ছিল খুবই পরিচিত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ছেলেমেয়েদের হাত ধরে তৈরি হতো ছোট ছোট দোকান। বাঁশের কঞ্চি, শুকনো পাতার ছাউনি, পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান।

খেলার ছলে দোকান সাজিয়ে বসত তারা। কেউ হতেন দোকানদার, কেউবা খরিদ্দার। বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া পুরনো খালি বোতল, কাগজের খালি প্যাকেট, কিছু শাকসবজি কিংবা গাছের কাঁচা ফল দিয়েই জমে উঠত তাদের ব্যবসা। মাটির উঠোনে বসে চলত কেনাবেচার অভিনয়। ঠিক যেমনটি দেখা গেল মহেশপুরের এক গ্রামের মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের পিছনে। ছেলেমেয়েরা মিলে বানিয়েছে অস্থায়ী দোকান। চারদিকে কাঠি পুঁতে তার ওপর শুকনো পাতা বিছিয়ে ছাউনি তৈরি। প্লাস্টিকের পুরনো বোতলে সফট ড্রিংকস, পাশে রাখা রয়েছে কয়েকটা কাঁচা লেবু, প্যাকেটের খোসা, এমনকি কথিত জুসের বোতলও।

খেলতেই তারা বাস্তবের অনুকরণ করছে। বয়সে ছোট হলেও ভাব ভঙ্গিতে তারা যেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। কেউ হিসেব কষছে, কেউ খরিদ্দার সাজে দরদাম করছে। এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি মনোযোগ দিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছে, হয়তো সে এখনই ‘কাস্টমার’ হবে। স্থানীয় প্রবীণরা বলছেন, প্রযুক্তির ছোঁয়া না থাকায় নব্বই দশকে এমন খেলাই ছিল তাদের সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। আজও কোনো কোনো গ্রামে সেই ঐতিহ্যের দেখা মেলে, যা শিশুদের কল্পনার শক্তি আর বাস্তব জীবনের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মঞ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা যখন খেলার ছলে দোকান সাজায় বা ‘বিক্রি-বাট্টা’ করে, সেটি তাদের সামাজিক দক্ষতা গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোটদের এধরনের খেলা শুধু বিনোদনই নয়, বরং জীবনের ছোট ছোট বাস্তবতাকে শেখার এক চমৎকার সুযোগ। এখন অনেক গ্রামেই মোবাইল ফোন, টিভি, ইউটিউবের প্রভাব বাড়লেও মহেশপুরের এ দৃশ্য প্রমাণ করে, শিশুর মনোজগতে এখনও আছে সরলতা আর সৃষ্টিশীলতার জায়গা।

back to top