মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান -সংবাদ
ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে নব্বইয়ের দশকে এমন দৃশ্য ছিল খুবই পরিচিত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ছেলেমেয়েদের হাত ধরে তৈরি হতো ছোট ছোট দোকান। বাঁশের কঞ্চি, শুকনো পাতার ছাউনি, পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান।
খেলার ছলে দোকান সাজিয়ে বসত তারা। কেউ হতেন দোকানদার, কেউবা খরিদ্দার। বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া পুরনো খালি বোতল, কাগজের খালি প্যাকেট, কিছু শাকসবজি কিংবা গাছের কাঁচা ফল দিয়েই জমে উঠত তাদের ব্যবসা। মাটির উঠোনে বসে চলত কেনাবেচার অভিনয়। ঠিক যেমনটি দেখা গেল মহেশপুরের এক গ্রামের মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের পিছনে। ছেলেমেয়েরা মিলে বানিয়েছে অস্থায়ী দোকান। চারদিকে কাঠি পুঁতে তার ওপর শুকনো পাতা বিছিয়ে ছাউনি তৈরি। প্লাস্টিকের পুরনো বোতলে সফট ড্রিংকস, পাশে রাখা রয়েছে কয়েকটা কাঁচা লেবু, প্যাকেটের খোসা, এমনকি কথিত জুসের বোতলও।
খেলতেই তারা বাস্তবের অনুকরণ করছে। বয়সে ছোট হলেও ভাব ভঙ্গিতে তারা যেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। কেউ হিসেব কষছে, কেউ খরিদ্দার সাজে দরদাম করছে। এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি মনোযোগ দিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছে, হয়তো সে এখনই ‘কাস্টমার’ হবে। স্থানীয় প্রবীণরা বলছেন, প্রযুক্তির ছোঁয়া না থাকায় নব্বই দশকে এমন খেলাই ছিল তাদের সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। আজও কোনো কোনো গ্রামে সেই ঐতিহ্যের দেখা মেলে, যা শিশুদের কল্পনার শক্তি আর বাস্তব জীবনের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মঞ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা যখন খেলার ছলে দোকান সাজায় বা ‘বিক্রি-বাট্টা’ করে, সেটি তাদের সামাজিক দক্ষতা গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোটদের এধরনের খেলা শুধু বিনোদনই নয়, বরং জীবনের ছোট ছোট বাস্তবতাকে শেখার এক চমৎকার সুযোগ। এখন অনেক গ্রামেই মোবাইল ফোন, টিভি, ইউটিউবের প্রভাব বাড়লেও মহেশপুরের এ দৃশ্য প্রমাণ করে, শিশুর মনোজগতে এখনও আছে সরলতা আর সৃষ্টিশীলতার জায়গা।
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) : পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান -সংবাদ
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
ঝিনাইদহের গ্রামাঞ্চলে নব্বইয়ের দশকে এমন দৃশ্য ছিল খুবই পরিচিত। গ্রামের আনাচে-কানাচে ছেলেমেয়েদের হাত ধরে তৈরি হতো ছোট ছোট দোকান। বাঁশের কঞ্চি, শুকনো পাতার ছাউনি, পুরনো চট কিংবা কাগজের পাটাতন সব মিলিয়ে ছোটদের স্বপ্নের দোকান।
খেলার ছলে দোকান সাজিয়ে বসত তারা। কেউ হতেন দোকানদার, কেউবা খরিদ্দার। বাজারে কুড়িয়ে পাওয়া পুরনো খালি বোতল, কাগজের খালি প্যাকেট, কিছু শাকসবজি কিংবা গাছের কাঁচা ফল দিয়েই জমে উঠত তাদের ব্যবসা। মাটির উঠোনে বসে চলত কেনাবেচার অভিনয়। ঠিক যেমনটি দেখা গেল মহেশপুরের এক গ্রামের মাটির দেয়ালঘেরা ঘরের পিছনে। ছেলেমেয়েরা মিলে বানিয়েছে অস্থায়ী দোকান। চারদিকে কাঠি পুঁতে তার ওপর শুকনো পাতা বিছিয়ে ছাউনি তৈরি। প্লাস্টিকের পুরনো বোতলে সফট ড্রিংকস, পাশে রাখা রয়েছে কয়েকটা কাঁচা লেবু, প্যাকেটের খোসা, এমনকি কথিত জুসের বোতলও।
খেলতেই তারা বাস্তবের অনুকরণ করছে। বয়সে ছোট হলেও ভাব ভঙ্গিতে তারা যেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। কেউ হিসেব কষছে, কেউ খরিদ্দার সাজে দরদাম করছে। এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি মনোযোগ দিয়ে সব পর্যবেক্ষণ করছে, হয়তো সে এখনই ‘কাস্টমার’ হবে। স্থানীয় প্রবীণরা বলছেন, প্রযুক্তির ছোঁয়া না থাকায় নব্বই দশকে এমন খেলাই ছিল তাদের সময় কাটানোর বড় মাধ্যম। আজও কোনো কোনো গ্রামে সেই ঐতিহ্যের দেখা মেলে, যা শিশুদের কল্পনার শক্তি আর বাস্তব জীবনের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের মঞ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা যখন খেলার ছলে দোকান সাজায় বা ‘বিক্রি-বাট্টা’ করে, সেটি তাদের সামাজিক দক্ষতা গঠনে ভূমিকা রাখে। ছোটদের এধরনের খেলা শুধু বিনোদনই নয়, বরং জীবনের ছোট ছোট বাস্তবতাকে শেখার এক চমৎকার সুযোগ। এখন অনেক গ্রামেই মোবাইল ফোন, টিভি, ইউটিউবের প্রভাব বাড়লেও মহেশপুরের এ দৃশ্য প্রমাণ করে, শিশুর মনোজগতে এখনও আছে সরলতা আর সৃষ্টিশীলতার জায়গা।