খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বাড়ি ভাঙচুর মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জুলফিকার আলী বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। তাকে খুলনায় আনা হচ্ছে এবং আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জুলফিকার আলী আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এরপর সুকান্ত কুমার দাশকে প্রথমে ঢাকায়, পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়।
তবে সুকান্তকে গ্রেপ্তারের পরও পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবারও খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে। বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে এই দাবির সঙ্গে একমত না হওয়ায় একটি অংশ আন্দোলন থেকে ফিরে গেছেন।
তারা পুলিশ কমিশনারের অপসারণের এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা আজও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এসআই সুকান্তকে প্রথমে আটক করার পরও আইনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদেই তারা আন্দোলন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, সুকান্তকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছি। সেই দাবিতে বৃহস্পতিবারও কর্মসূচি চলছে।
তবে ওই সংগঠনের মহানগর কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের দাবি ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দাবি পূরণ হয়েছে, এখন নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।
এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বুধবারও সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন।
পরে রাত সাড়ে ৯টায় কেএমপির সদর দপ্তরের তালা খুলে পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
খুলনায় পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত কুমার দাসকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানায় দায়ের হওয়া একটি বাড়ি ভাঙচুর মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বলে কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার জানিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জুলফিকার আলী বলেন, একজন সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার সংক্রান্ত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে সময় লেগেছে। তাকে খুলনায় আনা হচ্ছে এবং আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জুলফিকার আলী আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। এরপর সুকান্ত কুমার দাশকে প্রথমে ঢাকায়, পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়।
তবে সুকান্তকে গ্রেপ্তারের পরও পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবারও খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ চলছে। বিকেল থেকে কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে এই দাবির সঙ্গে একমত না হওয়ায় একটি অংশ আন্দোলন থেকে ফিরে গেছেন।
তারা পুলিশ কমিশনারের অপসারণের এক দফা দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা আজও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এসআই সুকান্তকে প্রথমে আটক করার পরও আইনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদেই তারা আন্দোলন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, সুকান্তকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছি। সেই দাবিতে বৃহস্পতিবারও কর্মসূচি চলছে।
তবে ওই সংগঠনের মহানগর কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের দাবি ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসআই সুকান্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দাবি পূরণ হয়েছে, এখন নগরীর প্রধান সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই।
এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এর প্রতিবাদে কেএমপি কমিশনারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বুধবারও সুকান্ত দাসকে গ্রেপ্তার ও পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছিল।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন।
পরে রাত সাড়ে ৯টায় কেএমপির সদর দপ্তরের তালা খুলে পুলিশের কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন।