টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর -সংবাদ
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শাল-গজারির বন টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এক সময় মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলসহ পাশের ধনবাড়ী উপজেলায় এলাকাভেদে মাটির ঘরই ছিল বাসস্থানের একমাত্র অবলম্বন। শীত গরমে ঘরগুলো আরামদায়ক বাসস্থান। দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো ঐতিহ্যও বহন করে। টাঙ্গাইলের বৃহত্তর মধুপুর উপজেলায় বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ঘর তৈরি করা হতো। আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো ঐতিহ্যের মাটির ঘর আজ বিলুপ্তের পথে।
আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মাটির ঘর নির্মাণে আগ্রহ নেই মানুষের। এক সময় উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ধনী গরিব প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মাটির ঘর ছিল।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহত্তম গড়াঞ্চল পহাড়ি বন এলাকা মধুপুর উপজেলা ভাগ হয়ে ২০০৬ সালে দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হয়। ধনবাড়ী নামে আরেক নতুন উপজেলা গঠিত হয়। বহত্তর মধুপুর উপজেলা দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হলেও ধনবাড়ী উপজেলার কিছু অংশ পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখনো সে অঞ্চলে চোখে পড়ে পুরনো মাটির ঘর। তবে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।
এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণী ও তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলেই অল্প কয়েক দিনেই তৈরি করতেন। মাটিতে কোদাল দিয়ে ভালো করে গুঁড়িয়ে নেয়া হতো।
তারপর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে থকথকে কাদা বানাতেন। সেই মাটি দিয়েই হয় ঘর। অল্প-অল্প করে কাদা মাটি বসিয়ে ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট উচ্চতার পূর্ণাঙ্গ ঘর তৈরি করতে সময় লাগতো মাত্র মাস খানেক।
সম্পূর্ণ হলে তার উপর ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয় ধানের খড়। এমনভাবে ছাউনি দেয়া হয় যেন ঝড়-বৃষ্টি কোন আঘাতেই তেমন একটা ক্ষতি করতে না পারে।
কাল পরিক্রমায় বর্তমানে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন মাটির দেয়াল দিয়ে উপরে টিনের চালা দেন তারা। আবার ধনীদের বাড়িতে থাকতো বিভিন্ন নকশা করা দুই তালা ঘর। কারো কারো বাড়িতে শত বছরের মাটির তৈরি দু‘তলা বাড়ি লক্ষ্য করা যায়।
মধুপুরের কুড়াগাছা এলাকার ফজলুল হক জানান, তাদের বাড়িতে দুতলাসহ একাধিক মাটির ঘর ছিল। আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং এলাকায় ইট ভাঁটির কারণে বাপ-দাদার আমলের দোতলা মাটির ঘরটিও ভেঙে পাকাঘর তৈরি করেছেন। তবে তাদের এলাকায় এখনও কিছু কিছু বাড়িতে মাটির ঘর রয়েছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর -সংবাদ
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শাল-গজারির বন টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এক সময় মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলসহ পাশের ধনবাড়ী উপজেলায় এলাকাভেদে মাটির ঘরই ছিল বাসস্থানের একমাত্র অবলম্বন। শীত গরমে ঘরগুলো আরামদায়ক বাসস্থান। দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো ঐতিহ্যও বহন করে। টাঙ্গাইলের বৃহত্তর মধুপুর উপজেলায় বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ঘর তৈরি করা হতো। আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো ঐতিহ্যের মাটির ঘর আজ বিলুপ্তের পথে।
আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মাটির ঘর নির্মাণে আগ্রহ নেই মানুষের। এক সময় উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ধনী গরিব প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মাটির ঘর ছিল।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহত্তম গড়াঞ্চল পহাড়ি বন এলাকা মধুপুর উপজেলা ভাগ হয়ে ২০০৬ সালে দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হয়। ধনবাড়ী নামে আরেক নতুন উপজেলা গঠিত হয়। বহত্তর মধুপুর উপজেলা দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হলেও ধনবাড়ী উপজেলার কিছু অংশ পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখনো সে অঞ্চলে চোখে পড়ে পুরনো মাটির ঘর। তবে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।
এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণী ও তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলেই অল্প কয়েক দিনেই তৈরি করতেন। মাটিতে কোদাল দিয়ে ভালো করে গুঁড়িয়ে নেয়া হতো।
তারপর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে থকথকে কাদা বানাতেন। সেই মাটি দিয়েই হয় ঘর। অল্প-অল্প করে কাদা মাটি বসিয়ে ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট উচ্চতার পূর্ণাঙ্গ ঘর তৈরি করতে সময় লাগতো মাত্র মাস খানেক।
সম্পূর্ণ হলে তার উপর ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয় ধানের খড়। এমনভাবে ছাউনি দেয়া হয় যেন ঝড়-বৃষ্টি কোন আঘাতেই তেমন একটা ক্ষতি করতে না পারে।
কাল পরিক্রমায় বর্তমানে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন মাটির দেয়াল দিয়ে উপরে টিনের চালা দেন তারা। আবার ধনীদের বাড়িতে থাকতো বিভিন্ন নকশা করা দুই তালা ঘর। কারো কারো বাড়িতে শত বছরের মাটির তৈরি দু‘তলা বাড়ি লক্ষ্য করা যায়।
মধুপুরের কুড়াগাছা এলাকার ফজলুল হক জানান, তাদের বাড়িতে দুতলাসহ একাধিক মাটির ঘর ছিল। আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং এলাকায় ইট ভাঁটির কারণে বাপ-দাদার আমলের দোতলা মাটির ঘরটিও ভেঙে পাকাঘর তৈরি করেছেন। তবে তাদের এলাকায় এখনও কিছু কিছু বাড়িতে মাটির ঘর রয়েছে।