alt

সারাদেশ

ধনবাড়িতে এখনো দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় দৃষ্টিনন্দন মাটির ঘর

হাবিবুর রহমান, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) : শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর -সংবাদ

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শাল-গজারির বন টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এক সময় মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলসহ পাশের ধনবাড়ী উপজেলায় এলাকাভেদে মাটির ঘরই ছিল বাসস্থানের একমাত্র অবলম্বন। শীত গরমে ঘরগুলো আরামদায়ক বাসস্থান। দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো ঐতিহ্যও বহন করে। টাঙ্গাইলের বৃহত্তর মধুপুর উপজেলায় বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ঘর তৈরি করা হতো। আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো ঐতিহ্যের মাটির ঘর আজ বিলুপ্তের পথে।

আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মাটির ঘর নির্মাণে আগ্রহ নেই মানুষের। এক সময় উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ধনী গরিব প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মাটির ঘর ছিল।

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহত্তম গড়াঞ্চল পহাড়ি বন এলাকা মধুপুর উপজেলা ভাগ হয়ে ২০০৬ সালে দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হয়। ধনবাড়ী নামে আরেক নতুন উপজেলা গঠিত হয়। বহত্তর মধুপুর উপজেলা দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হলেও ধনবাড়ী উপজেলার কিছু অংশ পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখনো সে অঞ্চলে চোখে পড়ে পুরনো মাটির ঘর। তবে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।

এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণী ও তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলেই অল্প কয়েক দিনেই তৈরি করতেন। মাটিতে কোদাল দিয়ে ভালো করে গুঁড়িয়ে নেয়া হতো।

তারপর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে থকথকে কাদা বানাতেন। সেই মাটি দিয়েই হয় ঘর। অল্প-অল্প করে কাদা মাটি বসিয়ে ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট উচ্চতার পূর্ণাঙ্গ ঘর তৈরি করতে সময় লাগতো মাত্র মাস খানেক।

সম্পূর্ণ হলে তার উপর ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয় ধানের খড়। এমনভাবে ছাউনি দেয়া হয় যেন ঝড়-বৃষ্টি কোন আঘাতেই তেমন একটা ক্ষতি করতে না পারে।

কাল পরিক্রমায় বর্তমানে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন মাটির দেয়াল দিয়ে উপরে টিনের চালা দেন তারা। আবার ধনীদের বাড়িতে থাকতো বিভিন্ন নকশা করা দুই তালা ঘর। কারো কারো বাড়িতে শত বছরের মাটির তৈরি দু‘তলা বাড়ি লক্ষ্য করা যায়।

মধুপুরের কুড়াগাছা এলাকার ফজলুল হক জানান, তাদের বাড়িতে দুতলাসহ একাধিক মাটির ঘর ছিল। আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং এলাকায় ইট ভাঁটির কারণে বাপ-দাদার আমলের দোতলা মাটির ঘরটিও ভেঙে পাকাঘর তৈরি করেছেন। তবে তাদের এলাকায় এখনও কিছু কিছু বাড়িতে মাটির ঘর রয়েছে।

ছবি

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে ‘সেলফি কাণ্ড’, ছাত্রদল নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি

নান্দাইলে সাবেক মন্ত্রীর কন্যা, সাবেক এমপি,চেয়ারম্যানসহ ১৩৭ জনের নামে কোর্টে অভিযোগ

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৫

ফরিদপুরে মাদকসহ আটক ১৫

ছবি

দশমিনায় নদীর মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে

ছবি

বেশি পরিমাণ জমি চাষ ও ফলনে মুরাদনগরে সেরা ৬ কৃষককে সম্মাননা

দৌলতপুরে বিনামূল্যে নলকূপ বিতরণ

সিলেট জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আদনান

ছবি

শ্রীমঙ্গলে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

ছবি

কেশবপুরে সৌদি খেজুর উৎপাদনে সফল নারী উদ্যোক্তা লিজা

রাজবাড়ীতে ভোক্তার এডির ওপর হামলায় বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অজগরের ডিমে ফুটল ৩৩টি বাচ্চা

চবিতে মাদক সেবনকালে ৯ ছাত্রছাত্রী আটক

ছবি

র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে গোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগ

দুমকিতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেসবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

শিশুর মাথা মুখমণ্ডল ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা

কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ

রুমায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত ১, আহত ২

যুবদল নেতার অস্ত্র মামলা হুমকির কলরেকর্ড ভাইরাল

খোকসায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ছবি

প্যাকেটসহ ওজনে মিষ্টি বিক্রি করায় ৫ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, ২ গৃহবধূ আহত

ছবি

যমুনা সেতু থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে রেলপথ

ফরিদগঞ্জে নার্সারি থেকে গাঁজা গাছ জব্দ

টঙ্গীতে ছাত্রদল ও যুবদলের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়া, গুলি

ছবি

মাদারীপুরে খাল খনন শুরু

মোরেলগঞ্জেভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

ছিনতাইকারীর হাতে নিহত ১

নাইক্ষ্যংছড়িতে ফের মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

ছবি

খেলার ছলে শিশুদের বাস্তব জীবনের ছোঁয়া

কুয়াকাটায় সন্ত্রাসীর লাঠির আঘাতে জেলে নিহত

কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষক কারাগারে

পাথরঘাটায় কৃষকরা পেলেন বীজধান

মাদকাসক্ত ছেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দিলেন মা

বোয়ালখালীতে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্ত ১৩

tab

সারাদেশ

ধনবাড়িতে এখনো দেখা মেলে বিলুপ্তপ্রায় দৃষ্টিনন্দন মাটির ঘর

হাবিবুর রহমান, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মধুপুরের পাহাড়ি অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর -সংবাদ

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শাল-গজারির বন টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এক সময় মধুপুর উপজেলার বনাঞ্চলসহ পাশের ধনবাড়ী উপজেলায় এলাকাভেদে মাটির ঘরই ছিল বাসস্থানের একমাত্র অবলম্বন। শীত গরমে ঘরগুলো আরামদায়ক বাসস্থান। দৃষ্টিনন্দন ঘরগুলো ঐতিহ্যও বহন করে। টাঙ্গাইলের বৃহত্তর মধুপুর উপজেলায় বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ঘর তৈরি করা হতো। আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো ঐতিহ্যের মাটির ঘর আজ বিলুপ্তের পথে।

আর্থিক স্বচ্ছলতা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে মাটির ঘর নির্মাণে আগ্রহ নেই মানুষের। এক সময় উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ধনী গরিব প্রায় প্রতিটি বাড়িতে মাটির ঘর ছিল।

সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহত্তম গড়াঞ্চল পহাড়ি বন এলাকা মধুপুর উপজেলা ভাগ হয়ে ২০০৬ সালে দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হয়। ধনবাড়ী নামে আরেক নতুন উপজেলা গঠিত হয়। বহত্তর মধুপুর উপজেলা দুইটি উপজেলায় বিভক্ত হলেও ধনবাড়ী উপজেলার কিছু অংশ পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এখনো সে অঞ্চলে চোখে পড়ে পুরনো মাটির ঘর। তবে বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।

এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণী ও তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলেই অল্প কয়েক দিনেই তৈরি করতেন। মাটিতে কোদাল দিয়ে ভালো করে গুঁড়িয়ে নেয়া হতো।

তারপর পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে থকথকে কাদা বানাতেন। সেই মাটি দিয়েই হয় ঘর। অল্প-অল্প করে কাদা মাটি বসিয়ে ৭ ফুট থেকে ৮ ফুট উচ্চতার পূর্ণাঙ্গ ঘর তৈরি করতে সময় লাগতো মাত্র মাস খানেক।

সম্পূর্ণ হলে তার উপর ছাউনি হিসেবে ব্যবহার হয় ধানের খড়। এমনভাবে ছাউনি দেয়া হয় যেন ঝড়-বৃষ্টি কোন আঘাতেই তেমন একটা ক্ষতি করতে না পারে।

কাল পরিক্রমায় বর্তমানে অর্থনৈতিক স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন মাটির দেয়াল দিয়ে উপরে টিনের চালা দেন তারা। আবার ধনীদের বাড়িতে থাকতো বিভিন্ন নকশা করা দুই তালা ঘর। কারো কারো বাড়িতে শত বছরের মাটির তৈরি দু‘তলা বাড়ি লক্ষ্য করা যায়।

মধুপুরের কুড়াগাছা এলাকার ফজলুল হক জানান, তাদের বাড়িতে দুতলাসহ একাধিক মাটির ঘর ছিল। আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং এলাকায় ইট ভাঁটির কারণে বাপ-দাদার আমলের দোতলা মাটির ঘরটিও ভেঙে পাকাঘর তৈরি করেছেন। তবে তাদের এলাকায় এখনও কিছু কিছু বাড়িতে মাটির ঘর রয়েছে।

back to top