এদেশের যুবরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যায় অর্থ উপার্জনের জন্যে। বিদেশে যাওয়ার সেই টাকার সামান্য খরচ করেই বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। জীবন-জীবিকার তাগিদে ইচ্ছাশক্তি, শ্রম আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য ফেরানো যায়। কথাগুলো বলছিলেন, সৌদি খেজুর গাছে খেজুর ফলিয়ে সফলতা অর্জনকারী কেশবপুরে সর্বপ্রথম নারী উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী লীজা। তিনি পরিবার সামলিয়ে অবসরে শ্রম দিয়ে সৌদি খেজুর ফলিয়ে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি খেজুর চাষকে ঘিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের বিএ পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান লিজা ইউটিউবে খেজুর চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ির আঙিনায় সৌদি খেজুর চাষ করার উদ্যোগ নেয়। ৬ বছর আগে তাঁর এক আতœীয় সৌদি আরবে হজ্জ শেষে বাড়ি ফেরার সময় সৌদি খেজুর নিয়ে আসেন। লীজা সেই বীজ সংগ্রহ করে তা থেকে চারা উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে বাড়ির আঙিনার পরিত্যক্ত জমিতে বানিজ্যিকভাবে সারিবদ্ধভাবে ৪০টি সৌদি খেজুর চারা রোপণ করেন। লিজা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় ৫ বছরের চেষ্টায় গাছগুলো বড় করে তোলেন। দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম এরমধ্যে ৩টি গাছে ফলন এসেছে। একেক কাঁদিতে ১০-১২ কেজি করে খেজুর ধরেছে।
লিজা জানান, অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা বা বোগ বের হয়েছে। চাষের শুরুতে এসব গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর এক দেড় মাসের পেকে যাবে। পাকা এসব খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২শ টাকা দরে বিক্রি হবে। প্রথমবারে ফলদ গাছ ৩টি থেকে তার ১ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে গাছের খেজুর রক্ষায় প্লাস্টিকের বস্তায় খেজুরের কাদি ঢেকে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস বলেন, এ উপজেলায় অনেকেই সৌদি খেজুর আবাদ করেছেন। এরমধ্যে কেশবপুরের মধ্যে লিজার খেতেই খেজুর ধরেছে। লিজার এ সাফল্য উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। যুবকদের সৌদি খেজুর চাষে উৎসাহ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
এদেশের যুবরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে যায় অর্থ উপার্জনের জন্যে। বিদেশে যাওয়ার সেই টাকার সামান্য খরচ করেই বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। জীবন-জীবিকার তাগিদে ইচ্ছাশক্তি, শ্রম আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য ফেরানো যায়। কথাগুলো বলছিলেন, সৌদি খেজুর গাছে খেজুর ফলিয়ে সফলতা অর্জনকারী কেশবপুরে সর্বপ্রথম নারী উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী লীজা। তিনি পরিবার সামলিয়ে অবসরে শ্রম দিয়ে সৌদি খেজুর ফলিয়ে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছেন। তিনি খেজুর চাষকে ঘিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের বিএ পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান লিজা ইউটিউবে খেজুর চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ির আঙিনায় সৌদি খেজুর চাষ করার উদ্যোগ নেয়। ৬ বছর আগে তাঁর এক আতœীয় সৌদি আরবে হজ্জ শেষে বাড়ি ফেরার সময় সৌদি খেজুর নিয়ে আসেন। লীজা সেই বীজ সংগ্রহ করে তা থেকে চারা উৎপাদন করেন। পরবর্তীতে বাড়ির আঙিনার পরিত্যক্ত জমিতে বানিজ্যিকভাবে সারিবদ্ধভাবে ৪০টি সৌদি খেজুর চারা রোপণ করেন। লিজা পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় ৫ বছরের চেষ্টায় গাছগুলো বড় করে তোলেন। দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম এরমধ্যে ৩টি গাছে ফলন এসেছে। একেক কাঁদিতে ১০-১২ কেজি করে খেজুর ধরেছে।
লিজা জানান, অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা বা বোগ বের হয়েছে। চাষের শুরুতে এসব গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর এক দেড় মাসের পেকে যাবে। পাকা এসব খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২শ টাকা দরে বিক্রি হবে। প্রথমবারে ফলদ গাছ ৩টি থেকে তার ১ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পোকা-মাকড়ের হাত থেকে গাছের খেজুর রক্ষায় প্লাস্টিকের বস্তায় খেজুরের কাদি ঢেকে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কিশোর কুমার দাস বলেন, এ উপজেলায় অনেকেই সৌদি খেজুর আবাদ করেছেন। এরমধ্যে কেশবপুরের মধ্যে লিজার খেতেই খেজুর ধরেছে। লিজার এ সাফল্য উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। যুবকদের সৌদি খেজুর চাষে উৎসাহ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।