রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি কোনো রাজনৈতিক পরিবারের নামে নয়, স্থানীয় এক দানবীর দম্পতির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অথচ নামের মিল থাকায় বারবার এর নাম পরিবর্তন করে অযথা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের।
বিদ্যালয়টির নাম ছিল ‘পাঁচবাড়ীয়া হাছিনা ওয়াজেদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের সময় নাম হয়ে যায় ‘পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর নতুন নির্দেশনায় নাম থেকে ‘হাসিনা ওয়াজেদ’ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন এর নাম শুধু ‘পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা সামনে আসে যখন অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৮০০-র বেশি স্থাপনার নাম বদলের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ৬০৩ নম্বরে রয়েছে এই বিদ্যালয়ের নাম।
‘আমার মা-বাবার নাম, শেখ হাসিনা বা তাঁর স্বামী নন’
বিদ্যালয়ের ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবর রহমান তাঁর মা হাছিনা বেগম ও বাবা ওয়াজেদ আলীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় চারটি পরিবার ৩৩ শতক জমি দান করে। দাতাদের মধ্য থেকে চারজন শিক্ষক নিয়োগ পান, যাদের একজন বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলফাজ উদ্দিন বলেন, “জাতীয়করণের পর আমরা দেখি গেজেটে নামের বানান বদলে ‘হাসিনা ওয়াজেদ’ করা হয়েছে। এখন আবার নতুন রেজুলুশনে পুরো নামটাই বাদ দিয়ে শুধু ‘পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ রাখা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি বাড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করছেন, এটি শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বামী ওয়াজেদের নামে নামকরণ, অথচ এমন নয়। এটা আমাদের তৎকালীন শিক্ষাকর্তার মা-বাবার নাম।”
‘রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝির শিকার’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “আমরা সম্মানের জায়গা থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝিতে বারবার নাম বদলে আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
সহকারী শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “এলাকাবাসী জানেন, এটি কার নামে হয়েছে। নামের মিল থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে এটি রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”
আবেদন করেছেন স্কুল প্রতিষ্ঠাতা
পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুনিবর রহমান সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন, যাতে তিনি স্পষ্ট করেছেন—হাছিনা ও ওয়াজেদ শেখ পরিবারের কেউ নন, বরং তাঁর মা-বাবা।
তিনি বলেন, “আমরা সেই আবেদন পেয়েছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
---
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটি কোনো রাজনৈতিক পরিবারের নামে নয়, স্থানীয় এক দানবীর দম্পতির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অথচ নামের মিল থাকায় বারবার এর নাম পরিবর্তন করে অযথা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের।
বিদ্যালয়টির নাম ছিল ‘পাঁচবাড়ীয়া হাছিনা ওয়াজেদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের সময় নাম হয়ে যায় ‘পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর নতুন নির্দেশনায় নাম থেকে ‘হাসিনা ওয়াজেদ’ অংশটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন এর নাম শুধু ‘পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
এই নাম পরিবর্তনের ঘটনা সামনে আসে যখন অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ৮০০-র বেশি স্থাপনার নাম বদলের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ৬০৩ নম্বরে রয়েছে এই বিদ্যালয়ের নাম।
‘আমার মা-বাবার নাম, শেখ হাসিনা বা তাঁর স্বামী নন’
বিদ্যালয়ের ইতিহাস অনুযায়ী, ১৯৮৮ সালে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবর রহমান তাঁর মা হাছিনা বেগম ও বাবা ওয়াজেদ আলীর নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় চারটি পরিবার ৩৩ শতক জমি দান করে। দাতাদের মধ্য থেকে চারজন শিক্ষক নিয়োগ পান, যাদের একজন বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলফাজ উদ্দিন বলেন, “জাতীয়করণের পর আমরা দেখি গেজেটে নামের বানান বদলে ‘হাসিনা ওয়াজেদ’ করা হয়েছে। এখন আবার নতুন রেজুলুশনে পুরো নামটাই বাদ দিয়ে শুধু ‘পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ রাখা হয়েছে। এতে বিভ্রান্তি বাড়ছে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকে মনে করছেন, এটি শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বামী ওয়াজেদের নামে নামকরণ, অথচ এমন নয়। এটা আমাদের তৎকালীন শিক্ষাকর্তার মা-বাবার নাম।”
‘রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝির শিকার’
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “আমরা সম্মানের জায়গা থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝিতে বারবার নাম বদলে আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে।”
সহকারী শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “এলাকাবাসী জানেন, এটি কার নামে হয়েছে। নামের মিল থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে এটি রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”
আবেদন করেছেন স্কুল প্রতিষ্ঠাতা
পাংশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুনিবর রহমান সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন, যাতে তিনি স্পষ্ট করেছেন—হাছিনা ও ওয়াজেদ শেখ পরিবারের কেউ নন, বরং তাঁর মা-বাবা।
তিনি বলেন, “আমরা সেই আবেদন পেয়েছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
---