রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দলের জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, আর সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলামকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুন রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র আট দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে রাশেদুল ইসলাম দলীয় পদ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান। ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, “এনসিপির ব্যানারে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের ছিল, তবে ব্যক্তিগত কারণে এই মুহূর্তে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” তিনি জানান, এখনো এনসিপির সঙ্গে থাকলেও পদটি তার উপযুক্ত নয় বলে মনে করছেন।
দলের অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র জানায়, নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই জেলা ও মহানগর ইউনিটের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। ককটেল হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল হতাশাজনক। ৪৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৭ জন। মহানগর কমিটির নেতাদের বেশির ভাগই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ পরিস্থিতি আরও জটিল হয় বুধবার রাতে। এক রেস্তোরাঁয় জেলা নেতাদের বৈঠকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সহকর্মী ফিরোজ আলমকে বুকে লাথি মারেন। ঘটনাটি ঘটে প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুলের সামনেই। আহত ফিরোজ আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমিটি নাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
শুক্রবার বিকেলে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় নাহিদুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা’ করার অভিযোগ তোলেন এবং হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই ধারা চলতে থাকলে এনসিপিকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।”
এই বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে শুক্রবার রাজশাহী আসেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, “আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। রাতেও আবার বসব। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রধান সমন্বয়কারীর পদত্যাগপত্র এখনো গ্রহণ করা হয়নি, বিষয়টি বিবেচনায় আছে।”
পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “এটাই আমার মূল কারণ নয়, তবে বুধবারের ঘটনা আমাকে প্রভাবিত করেছে।”
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দলের জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন, আর সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলামকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ জুন রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটি গঠনের মাত্র আট দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে রাশেদুল ইসলাম দলীয় পদ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান। ইংরেজিতে লেখা পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, “এনসিপির ব্যানারে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের ছিল, তবে ব্যক্তিগত কারণে এই মুহূর্তে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।” তিনি জানান, এখনো এনসিপির সঙ্গে থাকলেও পদটি তার উপযুক্ত নয় বলে মনে করছেন।
দলের অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র জানায়, নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই জেলা ও মহানগর ইউনিটের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। ককটেল হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল হতাশাজনক। ৪৩ জন দায়িত্বশীল নেতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৭ জন। মহানগর কমিটির নেতাদের বেশির ভাগই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ পরিস্থিতি আরও জটিল হয় বুধবার রাতে। এক রেস্তোরাঁয় জেলা নেতাদের বৈঠকে ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সহকর্মী ফিরোজ আলমকে বুকে লাথি মারেন। ঘটনাটি ঘটে প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুলের সামনেই। আহত ফিরোজ আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমিটি নাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।
শুক্রবার বিকেলে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় নাহিদুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটিকে ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা’ করার অভিযোগ তোলেন এবং হুঁশিয়ার করে বলেন, “এই ধারা চলতে থাকলে এনসিপিকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।”
এই বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে শুক্রবার রাজশাহী আসেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। তিনি বলেন, “আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি। রাতেও আবার বসব। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রধান সমন্বয়কারীর পদত্যাগপত্র এখনো গ্রহণ করা হয়নি, বিষয়টি বিবেচনায় আছে।”
পদত্যাগ প্রসঙ্গে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “এটাই আমার মূল কারণ নয়, তবে বুধবারের ঘটনা আমাকে প্রভাবিত করেছে।”