খোকসা (কুষ্টিয়া) : পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শুকানো হচ্ছে তিল -সংবাদ
কুষ্টিয়ার খোকসায় স্বাধীনতা ও ভাষা শহীদদের স্মরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে নির্মিত শতাধিক শহীদ মিনার অরক্ষিত হয়ে পরেছে। শহীদ মিনারের বেদিতে ফসল শুকানো, গরু ছাগল বাঁধা, কাপড় শুকানো থেকে শুরু করে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ১২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০টিতে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে অন্যদিকে শহীদ স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের বসতিরা শহীদদের স্মরণে নিমিত শহীদ মিনারগুলো ফসল শুকানো, কাঁথা কাপড় শুকানো ও গরু বাছর পালনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ নিয়ে স্থানীয়রা দূষছেন শিক্ষকদের আর শিক্ষক কর্মচারীরা দুষছেন স্থনীয় প্রশাসনকে। তবে কেউই তাদের নিজের দায় স্বীকার করতে না রাজ।
উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাইপাড়া গ্রাম। শুক্রবার তখর ঘড়ির কাঁটয় বেলা ১২টার বেশি বাজে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশেই পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের প্রধান ভবনের পশ্চিমে শহীদ মিনার। মিনারের উপর বাবা মা মেয়ে ছেলে মিলে চার জন কিছু একটা শুকাছে। কাছে গিয় দেখা গেলে শহীদ বেদীর ওপর তারা তিল ফসলের গাছ শুকাতে ব্যস্ত। ক্যামেরা দেখে বৃদ্ধ সোবাহান শেখ নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করলেন। এক পর্যাযে এগিয়ে এলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামান্য কয়টা তিল শুকাচ্ছি। এত দিন স্কুলের মাস্টাররা তো কিছু বলেনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সব স্কুলেই শহীদ মিনার আছে। কিন্তু স্কুলগুলোতে দেয়াল (প্রাচীর) না থাকায় শহীদ মিনারগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে।
পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফিরফু জ্জামান বলেন, শহীদ মিনারে ফসল শুকানোর ঘটনাটি দুঃখজনক। স্কুল খোলা থাকলে কেউ এলে নিষেধ করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকলে আর দেখার কেউ থাকে না।
ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় পাবলিক এগুলো করে। এটা আমাদের দেখার বিষয় না। তিনি প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে নিষেধ করবেন যাতে এ ধরনের কাজ কেউ না ঘটনাতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শহীদ মিনারের ওপর যাতে এ ধরনের কাজ না হয় সেজন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বসবেন।
খোকসা (কুষ্টিয়া) : পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শুকানো হচ্ছে তিল -সংবাদ
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কুষ্টিয়ার খোকসায় স্বাধীনতা ও ভাষা শহীদদের স্মরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে নির্মিত শতাধিক শহীদ মিনার অরক্ষিত হয়ে পরেছে। শহীদ মিনারের বেদিতে ফসল শুকানো, গরু ছাগল বাঁধা, কাপড় শুকানো থেকে শুরু করে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা ৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলিয়ে ১২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০টিতে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর না থাকায় একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠানগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে অন্যদিকে শহীদ স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের বসতিরা শহীদদের স্মরণে নিমিত শহীদ মিনারগুলো ফসল শুকানো, কাঁথা কাপড় শুকানো ও গরু বাছর পালনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ নিয়ে স্থানীয়রা দূষছেন শিক্ষকদের আর শিক্ষক কর্মচারীরা দুষছেন স্থনীয় প্রশাসনকে। তবে কেউই তাদের নিজের দায় স্বীকার করতে না রাজ।
উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের পাইপাড়া গ্রাম। শুক্রবার তখর ঘড়ির কাঁটয় বেলা ১২টার বেশি বাজে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের পাশেই পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। স্কুলের প্রধান ভবনের পশ্চিমে শহীদ মিনার। মিনারের উপর বাবা মা মেয়ে ছেলে মিলে চার জন কিছু একটা শুকাছে। কাছে গিয় দেখা গেলে শহীদ বেদীর ওপর তারা তিল ফসলের গাছ শুকাতে ব্যস্ত। ক্যামেরা দেখে বৃদ্ধ সোবাহান শেখ নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করলেন। এক পর্যাযে এগিয়ে এলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামান্য কয়টা তিল শুকাচ্ছি। এত দিন স্কুলের মাস্টাররা তো কিছু বলেনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সব স্কুলেই শহীদ মিনার আছে। কিন্তু স্কুলগুলোতে দেয়াল (প্রাচীর) না থাকায় শহীদ মিনারগুলো অরক্ষিত হয়ে পরেছে।
পাইকপাড়া মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফিরফু জ্জামান বলেন, শহীদ মিনারে ফসল শুকানোর ঘটনাটি দুঃখজনক। স্কুল খোলা থাকলে কেউ এলে নিষেধ করা হয়। স্কুল বন্ধ থাকলে আর দেখার কেউ থাকে না।
ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় পাবলিক এগুলো করে। এটা আমাদের দেখার বিষয় না। তিনি প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে নিষেধ করবেন যাতে এ ধরনের কাজ কেউ না ঘটনাতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রদীপ্ত রায় দীপন বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শহীদ মিনারের ওপর যাতে এ ধরনের কাজ না হয় সেজন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বসবেন।