কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ লাগোয়া মগবাজার থেকে মাছঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক খানাখন্দক রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পানি জমে এসব খানাখন্দগুলো বিকেল গর্তে পরিণত হয়ে সড়কের বেহালদশা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটি দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলেও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর পর গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সড়কটির এমন বেহালদশা তৈরি হলেও জনগণের চলাচল দুর্ভোগ লাগব করতে টেকসই কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বশীল লোকজন। এ অবস্থায় সড়কের দুর্ভোগ যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পেতে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় মাছঘাট স্টেশন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জামায়াত ইসলামি চিরিঙ্গা ইউনিয়ন কমিটি।
তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন এবং পৌরসভার শত শত মানুষ। মগবাজার-মাছঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেহাল সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. নুরুন্নবী। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন যানবাহন মালিক শ্রমিক। মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ লাগোয়া মগবাজার-পালাকাটা মাছঘাট পর্যন্ত সড়কটির আয়তন সর্বোচ্চ ২ কিলোমিটার হবে। এখন সড়কটি প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণের জন্য অভিশপ্ত সড়কে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ঠিকাদার ফরিদুল আলম বলেন, ইতোপূর্বে সড়কের বেহালদশার বিষয়টি জানিয়ে এলাকাবাসি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সড়কটি সংস্কারের পদক্ষেপ না নেয়ায় এখন চলাচল দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ। পাশাপাশি দুর্ভোগ দুর্দশা সহ্য করে গন্তব্যে যাচ্ছেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী, যাত্রী সাধারণ ও পথচারী।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআরডি) চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সড়কটি সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে জাইকার সহায়তা পেয়েছি।
আগামী মাসের মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে মগবাজারের দক্ষিণে সেতু এলাকা থেকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরনদ্বীপ ঘুরে রিংভং পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারে টেন্ডারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করি এরপর সড়কের বেহাল অবস্থা আর থাকবে না।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ লাগোয়া মগবাজার থেকে মাছঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক খানাখন্দক রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে পানি জমে এসব খানাখন্দগুলো বিকেল গর্তে পরিণত হয়ে সড়কের বেহালদশা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটি দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলেও চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন ও চকরিয়া পৌরসভার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর পর গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে সড়কটির এমন বেহালদশা তৈরি হলেও জনগণের চলাচল দুর্ভোগ লাগব করতে টেকসই কোন পদক্ষেপ নেয়নি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বশীল লোকজন। এ অবস্থায় সড়কের দুর্ভোগ যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পেতে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার সকালে স্থানীয় মাছঘাট স্টেশন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জামায়াত ইসলামি চিরিঙ্গা ইউনিয়ন কমিটি।
তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন চিরিঙ্গা ইউনিয়ন এবং পৌরসভার শত শত মানুষ। মগবাজার-মাছঘাট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বেহাল সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মো. নুরুন্নবী। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন যানবাহন মালিক শ্রমিক। মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানান, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ লাগোয়া মগবাজার-পালাকাটা মাছঘাট পর্যন্ত সড়কটির আয়তন সর্বোচ্চ ২ কিলোমিটার হবে। এখন সড়কটি প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণের জন্য অভিশপ্ত সড়কে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ঠিকাদার ফরিদুল আলম বলেন, ইতোপূর্বে সড়কের বেহালদশার বিষয়টি জানিয়ে এলাকাবাসি চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সড়কটি সংস্কারের পদক্ষেপ না নেয়ায় এখন চলাচল দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ। পাশাপাশি দুর্ভোগ দুর্দশা সহ্য করে গন্তব্যে যাচ্ছেন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী, যাত্রী সাধারণ ও পথচারী।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআরডি) চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সড়কটি সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে জাইকার সহায়তা পেয়েছি।
আগামী মাসের মধ্যে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দের বিপরীতে মগবাজারের দক্ষিণে সেতু এলাকা থেকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরনদ্বীপ ঘুরে রিংভং পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারে টেন্ডারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশা করি এরপর সড়কের বেহাল অবস্থা আর থাকবে না।