ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের প্রবেশমুখ যেন একটি দুর্গন্ধের গুহা। শহরে প্রবেশ করতে না করতেই পথচারীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ। ব্রিজের দুই পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। পরিবেশ দূষণ আর জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভাটি।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষা কাঁচামাটিয়া নদীর তীরে প্রতিদিনই ফেলা হচ্ছে শহরের সব বর্জ্য। অথচ পৌর শহরের ব্যস্ততম মুক্তিযোদ্ধা মোড় থেকে কলেজ গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় নেই কোনো নির্ধারিত ডাস্টবিন বা বর্জ্য ফেলার স্থান। ফলে স্থানীয় লোকজন এবং পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বাধ্য হয়েই ময়লা ফেলে দিচ্ছেন কাঁচা মাঠিয়া নদীর পাড় ঘেঁষা জায়গায়।
এর ফলে দিনকে দিন নদীটি নাব্যতা হারাচ্ছে। দুই পাড় দখল হয়ে যাচ্ছে ময়লার স্তুপে। জলাশয়ের রূপ হারিয়ে এখন তা যেন একটি মরণফাঁদ। বর্ষায় দুর্গন্ধ ও পানি জমে থাকা অবস্থায় মশা-মাছির উৎপাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ডেঙ্গু, টাইফয়েড ও চর্মরোগের ঝুঁকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রায়ই ময়লার স্তুপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শিশুসহ বয়স্ক মানুষেরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একে এম হারুন অর রশিদ বলেন, শহরের সম্মুখপথ কাচামাঠিয়া নদীর ওপর ব্রিজের মুখে ও অডিটোরিয়ামের সামনে ময়লার স্তুপে ভরে যাওয়ায় যেমন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি কাঁচামাঠিয়া নদীর সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, অথচ বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা জরুরি।”
উল্লেখ্য, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের মেয়াদে ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জনস্বাস্থ বিভাগের বাস্তবায়নে ঈশ^রগঞ্জ পৌরসভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থপনা ও সটিং সেন্টার নির্মাণ করার জন্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয় । প্রকল্পটি ৩ একর জমির উপর নির্মিত হওয়ার কথা। ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পের কাজ। ওই সময়ের মধ্যে পৌরসভা জমির ব্যবস্থা করতে না পারায় প্রকল্পের কাজ শুরু না করতেই মেয়াদ শেষ হয়। ২য় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে দের একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও ভূমির জটিলতা নিরসন করতে পরে নাই।
ফলে প্রকল্পটি ভেস্তে যায়। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সানজিদা রহমান যুগান্তরকে বলেন বিষয়টি দীর্ঘদিনের। আমি এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন আধুনিক পৌরসেবা কবে মিলবে? পৌর শহরের দরজায় দুর্গন্ধ আর দূষণের এই ভাগাড় কবে সরবে? উত্তর খুঁজছে পৌরবাসী।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের প্রবেশমুখ যেন একটি দুর্গন্ধের গুহা। শহরে প্রবেশ করতে না করতেই পথচারীদের নাকে আসে তীব্র দুর্গন্ধ। ব্রিজের দুই পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। পরিবেশ দূষণ আর জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভাটি।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশ ঘেঁষা কাঁচামাটিয়া নদীর তীরে প্রতিদিনই ফেলা হচ্ছে শহরের সব বর্জ্য। অথচ পৌর শহরের ব্যস্ততম মুক্তিযোদ্ধা মোড় থেকে কলেজ গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় নেই কোনো নির্ধারিত ডাস্টবিন বা বর্জ্য ফেলার স্থান। ফলে স্থানীয় লোকজন এবং পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বাধ্য হয়েই ময়লা ফেলে দিচ্ছেন কাঁচা মাঠিয়া নদীর পাড় ঘেঁষা জায়গায়।
এর ফলে দিনকে দিন নদীটি নাব্যতা হারাচ্ছে। দুই পাড় দখল হয়ে যাচ্ছে ময়লার স্তুপে। জলাশয়ের রূপ হারিয়ে এখন তা যেন একটি মরণফাঁদ। বর্ষায় দুর্গন্ধ ও পানি জমে থাকা অবস্থায় মশা-মাছির উৎপাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ডেঙ্গু, টাইফয়েড ও চর্মরোগের ঝুঁকি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রায়ই ময়লার স্তুপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শিশুসহ বয়স্ক মানুষেরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একে এম হারুন অর রশিদ বলেন, শহরের সম্মুখপথ কাচামাঠিয়া নদীর ওপর ব্রিজের মুখে ও অডিটোরিয়ামের সামনে ময়লার স্তুপে ভরে যাওয়ায় যেমন শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি কাঁচামাঠিয়া নদীর সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এটি একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, অথচ বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা জরুরি।”
উল্লেখ্য, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের মেয়াদে ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জনস্বাস্থ বিভাগের বাস্তবায়নে ঈশ^রগঞ্জ পৌরসভায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থপনা ও সটিং সেন্টার নির্মাণ করার জন্য ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয় । প্রকল্পটি ৩ একর জমির উপর নির্মিত হওয়ার কথা। ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পের কাজ। ওই সময়ের মধ্যে পৌরসভা জমির ব্যবস্থা করতে না পারায় প্রকল্পের কাজ শুরু না করতেই মেয়াদ শেষ হয়। ২য় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে দের একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় কিন্তু সেই সময়ের মধ্যেও ভূমির জটিলতা নিরসন করতে পরে নাই।
ফলে প্রকল্পটি ভেস্তে যায়। এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সানজিদা রহমান যুগান্তরকে বলেন বিষয়টি দীর্ঘদিনের। আমি এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন আধুনিক পৌরসেবা কবে মিলবে? পৌর শহরের দরজায় দুর্গন্ধ আর দূষণের এই ভাগাড় কবে সরবে? উত্তর খুঁজছে পৌরবাসী।