অপার সম্ভাবনার দুয়ার হাওর। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলার ২৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে হাওর এলাকা। মিঠা পানির মাছের ৮০ শতাংশ আসে হাওর এলাকা থেকে। আমিষের অভব পূরণের একটি প্রাণীজ উপাদান হলো মাছ। মাছেভাতে বাঙালি। বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে মাছের জুড়ি নেই। খাবারের থালায় মাছ না থাকলে যেন উদরপূর্তি হয় না।
কিন্তু দেশের হাওর-বাঁওড়ে ক্রমেই বিলুপ্ত প্রায় দেশি প্রজাতির মাছ। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের হাওরবাওরেও দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে স্বাদু পানি তথা দেশি প্রজাতির মাছ। মোহনগঞ্জের একটি বড় জলাশয় হলো ডিঙ্গাপোতা হাওর। এটি দেশি প্রজাতির মাছের এক বড় ভা-ার। কিন্তু বর্তমানে এ হাওর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। যেমন মেনি, লাটিয়া, নানিদ, রানী, গলদা, চিংড়ি, খলিশা, বইচা, বাচা, মলা, ঢেলা, খাইখ্যা, চাউট্ট্যা, এমনসব মাছের প্রজাতি প্রায় বিলুপ্ত। এসব মাছের মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতির মাঝেমধ্যে দেখা মিললেও অনেকগুলো একেবারে নিঃশেষ। হাওর বাওরে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির প্রধান কারণ নির্বিচারে পোনা নিধন। এক শ্রেণীর মানুষ এসব জলাশয়ে চায়না বাইর, দুয়ারি জাল, খনা জাল, কারেণ্ট জাল দিয়ে মা মাছ, পোনা মাছ নিধন করছেন। ফলে অঙ্কুড়ে বিনষ্ট হচ্ছে অনেক প্রজাতির মাছ। ডিঙ্গাপোতা হাওর জনপদের মানুষ আব্দুর নূর ও মঞ্জুরুল হক বলেন, হাওর-বাঁওড়ের দেশি মাছ আর এখন আগের মতো মিলছে না।
দেশি মাছ রক্ষায় পোনা মারার ফাঁদগুলো বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মোহনগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক বাচ্চুর মতে, হাওরের দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় সবাইকে সচেতন করতে হবে। বন্ধ করতে হবে পোনা-মা মাছ নিধনযজ্ঞ।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
অপার সম্ভাবনার দুয়ার হাওর। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলার ২৫ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে হাওর এলাকা। মিঠা পানির মাছের ৮০ শতাংশ আসে হাওর এলাকা থেকে। আমিষের অভব পূরণের একটি প্রাণীজ উপাদান হলো মাছ। মাছেভাতে বাঙালি। বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে মাছের জুড়ি নেই। খাবারের থালায় মাছ না থাকলে যেন উদরপূর্তি হয় না।
কিন্তু দেশের হাওর-বাঁওড়ে ক্রমেই বিলুপ্ত প্রায় দেশি প্রজাতির মাছ। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের হাওরবাওরেও দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে স্বাদু পানি তথা দেশি প্রজাতির মাছ। মোহনগঞ্জের একটি বড় জলাশয় হলো ডিঙ্গাপোতা হাওর। এটি দেশি প্রজাতির মাছের এক বড় ভা-ার। কিন্তু বর্তমানে এ হাওর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। যেমন মেনি, লাটিয়া, নানিদ, রানী, গলদা, চিংড়ি, খলিশা, বইচা, বাচা, মলা, ঢেলা, খাইখ্যা, চাউট্ট্যা, এমনসব মাছের প্রজাতি প্রায় বিলুপ্ত। এসব মাছের মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতির মাঝেমধ্যে দেখা মিললেও অনেকগুলো একেবারে নিঃশেষ। হাওর বাওরে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির প্রধান কারণ নির্বিচারে পোনা নিধন। এক শ্রেণীর মানুষ এসব জলাশয়ে চায়না বাইর, দুয়ারি জাল, খনা জাল, কারেণ্ট জাল দিয়ে মা মাছ, পোনা মাছ নিধন করছেন। ফলে অঙ্কুড়ে বিনষ্ট হচ্ছে অনেক প্রজাতির মাছ। ডিঙ্গাপোতা হাওর জনপদের মানুষ আব্দুর নূর ও মঞ্জুরুল হক বলেন, হাওর-বাঁওড়ের দেশি মাছ আর এখন আগের মতো মিলছে না।
দেশি মাছ রক্ষায় পোনা মারার ফাঁদগুলো বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মোহনগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক বাচ্চুর মতে, হাওরের দেশি প্রজাতির মাছ রক্ষায় সবাইকে সচেতন করতে হবে। বন্ধ করতে হবে পোনা-মা মাছ নিধনযজ্ঞ।