চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটেছে আষাঢ়ের কদম ফুল। অযতেœ অবহেলায় বেড়া উঠা কদম ফুলের গাছগুলো এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতি নিজ আয়োজন সৌন্দর্যে ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। এ গাছের কোনো কদর না থাকালে বর্ষায় সবার নজর কাড়ে ফুলগুলো।
জানা গেছে, মূলত বর্ষা ঋতুতেই প্রকৃতি রাঙিয়ে ফোটে বর্ষাদূত কদম ফুল। তবে জলবাছু পরিবর্তনের ছোঁয়া পড়েছে ষড়ঋতুর এই দেশের প্রকৃতিতেও। কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় মাসে দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিতে জ্যৈষ্ঠ মাসেও দেখা মেলে কদম ফুল। কদম এসেছে সংস্কৃত নাম কদম্ব থেকে। এই ফুলের আরেক নাম নীপ। এ ছাড়া এ ফুলের আরও কতগুলো নাম রয়েছে, সর্ষপ, সুরভি, পুলকি, মেঘাগমপ্রিয়, বৃত্তপুষ্প, সিন্ধুপুষ্প, ললনাপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী ইত্যাদি। এ দেশের ফুল গুলোর মধ্যে কদম ফুল অন্যতম। এই গাছের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কদম গাছের আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, মালয় ও চীনে। এই গাছের পাতা লম্বা, চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। শীতকালে এই গাছের পাতা ঝরে গেলেও বসন্ত এলেই এই গাছে পাতা নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। কদম ফুল গোলাকার। ফুলটিকে একটি ফুল মনে হলেও আসলে এটি অসংখ্য ফুলের একটি গুচ্ছ। এর ভেতরে মাংসল পুষ্পাধার রয়েছে, যাতে হলুদ রংয়ের ফানেলের এত নরম সাদা পাঁপড়ি গুলো আটকে থাকে। কদম গাছের ফল বাদুড় ও কাঠবিড়ালির প্রিয় খাদ্য। এরাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই গাছের বংশ বিস্তারে সাহায্য করে থাকে। বাংলা কবিতা ও গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিক ভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন লিখেছিলেন, ‘প্রাণ সখিরে...ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে।’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান। ‘
কলেজ পডুয়া নিশান বলেন, আমাদের দেশের প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি এবং ঋতুর বর্ষা এক অনন্য ঋতু। আর বর্ষার আগমনকে স্বাগত জানাতে কদম ফুল যেন সর্বদা প্রস্তত। কদম ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন না এমন বেরসিক মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার বর্ষায় প্রেমিকার মনোরঞ্জনে কদমের জুড়ি নেই। একই সঙ্গে বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। বর্ষার উপহার সোনা রঙের কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান। মানব কল্যাণে প্রকৃতির গৃষ্টি কদম ফুলের জুড়ি নেই। উপজেলার পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন। বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদ আর সাদায় সেজেছে সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। অসংখ্য কদম ফুল গাছ দেখা মিলছে যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্নের অসংখ্য কদম ফুল। আষাঢ়-শ্রাবণে কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকে আর প্রকৃতিতে মৌ মৌ গন্ধ থাকে বিরতিহীন তবে সময়ের আগেই দেখা মিলছে কদম ফুলের। কদম ফুলে সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি এনে দেয়। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকেও উপহার দেয়। মেয়েরা খোঁপায় বাঁধে, খেলায় মেতে উঠে শিশুরাও। মূলত শিশুরা ফুলগুলো ছিঁড়ে ভেতরে থাকা গোলা আবরণ ছোট্ট বল বানিয়ে খেলাধুলা করে।
অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইউছুব আলী বলেন, রূপ, রঙ ও গন্ধে দৃষ্টিনন্দন ফুল কদম। এই ফুল অন্যান্য ফুলের এত নয়, এটি সম্পূর্ণ একটি ভিন্নধর্মী ফুল। এই ফুলের হলুদ ও সাদা পাপড়ি আর ভেতরের গোলাকার বলের এত অংশটি নিয়েই ফুলটির সৌন্দর্য ফুটে উঠে। এ ফুলের সৌন্দর্য অন্য ফুলের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি বছরই বর্ষা এলে কদম ফুলের প্রেমে পড়তে এক রকম বাধ্যই হতে হয়। মূলত বর্ষাকালে প্রকৃতিতে কদম ফুল ফোটে। এই ফুলের সঙ্গে গ্রামবাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে জলবাছু পরিবর্তনের ফলে এখন অসময়েও কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কদম ফুল ফুটেছে। এ ফুলের মধ্যে যেন বাঙালি বাঙালি আছে। রাস্তার পাশে ফুটে থাকা কদম ফুল সবার দৃষ্টি কাড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, আদিকাল থেকেই কদম গাছের বিভিন্ন অংশ ও এর ফুল প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনের পাশাপাশি মানবদেহের নানা রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেষজ ঔষধিগুণে ভরা কদম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ব্যথা নাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণগৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থিস্ফীতি রোগে এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। এ ছাড়া কদম ফুল সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকতা অভিজিৎ কুমার বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদম ফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি স্নাতক দিনে বাঙালিদের মনে অন্য রকম অনূভূতি এনে দেয়। অনেক কবি সাহিত্যিক বর্ষার কদম ফুল নিয়ে অনেক কবিতা রচনা করেছেন। কদম ফুল আসলে বাংলাদেশের প্রকৃতির বর্ষা মৌসুমে সৌন্দর্যের সঙ্গে ওত প্রোতভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতিতে এখন চলছে বর্ষাকাল। ষড় ঋতুর মধ্যে বর্ষাকাল যেন সেরা ঋতু আবহমান বাংলার। আর এই বর্ষাকে স্বাগত জানাতে বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় প্রকৃতিতে ফুটেছে মন ভোলানো সৌন্দর্য নিয়ে বর্ষাদূত কদম ফুল। চিরচেনা মিষ্টি একটা গন্ধে মেতে উঠেছে গ্রামীণ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। কদম ফুলের সতেজ নির্মল সৌন্দর্য আর মোহনীয় ঘ্রাণ প্রকৃতি প্রেমীসহ সবার মনে সৃষ্টি করেছে ভিন্ন এক সম্মোহনী অনুভূতি। বাংলা কবিতা ও গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটেছে আষাঢ়ের কদম ফুল। অযতেœ অবহেলায় বেড়া উঠা কদম ফুলের গাছগুলো এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতি নিজ আয়োজন সৌন্দর্যে ছড়াচ্ছে এলাকাজুড়ে। এ গাছের কোনো কদর না থাকালে বর্ষায় সবার নজর কাড়ে ফুলগুলো।
জানা গেছে, মূলত বর্ষা ঋতুতেই প্রকৃতি রাঙিয়ে ফোটে বর্ষাদূত কদম ফুল। তবে জলবাছু পরিবর্তনের ছোঁয়া পড়েছে ষড়ঋতুর এই দেশের প্রকৃতিতেও। কদম ফুল সাধারণত আষাঢ় মাসে দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতিতে জ্যৈষ্ঠ মাসেও দেখা মেলে কদম ফুল। কদম এসেছে সংস্কৃত নাম কদম্ব থেকে। এই ফুলের আরেক নাম নীপ। এ ছাড়া এ ফুলের আরও কতগুলো নাম রয়েছে, সর্ষপ, সুরভি, পুলকি, মেঘাগমপ্রিয়, বৃত্তপুষ্প, সিন্ধুপুষ্প, ললনাপ্রিয়, মঞ্জুকেশিনী ইত্যাদি। এ দেশের ফুল গুলোর মধ্যে কদম ফুল অন্যতম। এই গাছের উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। কদম গাছের আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চল, মালয় ও চীনে। এই গাছের পাতা লম্বা, চকচকে উজ্জ্বল সবুজ। শীতকালে এই গাছের পাতা ঝরে গেলেও বসন্ত এলেই এই গাছে পাতা নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। কদম ফুল গোলাকার। ফুলটিকে একটি ফুল মনে হলেও আসলে এটি অসংখ্য ফুলের একটি গুচ্ছ। এর ভেতরে মাংসল পুষ্পাধার রয়েছে, যাতে হলুদ রংয়ের ফানেলের এত নরম সাদা পাঁপড়ি গুলো আটকে থাকে। কদম গাছের ফল বাদুড় ও কাঠবিড়ালির প্রিয় খাদ্য। এরাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় এই গাছের বংশ বিস্তারে সাহায্য করে থাকে। বাংলা কবিতা ও গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিক ভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন লিখেছিলেন, ‘প্রাণ সখিরে...ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে।’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান। ‘
কলেজ পডুয়া নিশান বলেন, আমাদের দেশের প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি এবং ঋতুর বর্ষা এক অনন্য ঋতু। আর বর্ষার আগমনকে স্বাগত জানাতে কদম ফুল যেন সর্বদা প্রস্তত। কদম ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন না এমন বেরসিক মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার বর্ষায় প্রেমিকার মনোরঞ্জনে কদমের জুড়ি নেই। একই সঙ্গে বর্ষার প্রকৃতি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছে স্নিগ্ধতা। বর্ষার উপহার সোনা রঙের কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে নানা গল্প, উপন্যাস, কবিতা আর গান। মানব কল্যাণে প্রকৃতির গৃষ্টি কদম ফুলের জুড়ি নেই। উপজেলার পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন। বিভিন্ন সড়কের পাশে এখন হলুদ আর সাদায় সেজেছে সর্বত্র। বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে কদম ফুলের। গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। অসংখ্য কদম ফুল গাছ দেখা মিলছে যেখানে সবুজ পাতার ফাঁকে উকি দিচ্ছে হলুদ বর্নের অসংখ্য কদম ফুল। আষাঢ়-শ্রাবণে কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকে আর প্রকৃতিতে মৌ মৌ গন্ধ থাকে বিরতিহীন তবে সময়ের আগেই দেখা মিলছে কদম ফুলের। কদম ফুলে সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি এনে দেয়। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকেও উপহার দেয়। মেয়েরা খোঁপায় বাঁধে, খেলায় মেতে উঠে শিশুরাও। মূলত শিশুরা ফুলগুলো ছিঁড়ে ভেতরে থাকা গোলা আবরণ ছোট্ট বল বানিয়ে খেলাধুলা করে।
অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ইউছুব আলী বলেন, রূপ, রঙ ও গন্ধে দৃষ্টিনন্দন ফুল কদম। এই ফুল অন্যান্য ফুলের এত নয়, এটি সম্পূর্ণ একটি ভিন্নধর্মী ফুল। এই ফুলের হলুদ ও সাদা পাপড়ি আর ভেতরের গোলাকার বলের এত অংশটি নিয়েই ফুলটির সৌন্দর্য ফুটে উঠে। এ ফুলের সৌন্দর্য অন্য ফুলের তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি বছরই বর্ষা এলে কদম ফুলের প্রেমে পড়তে এক রকম বাধ্যই হতে হয়। মূলত বর্ষাকালে প্রকৃতিতে কদম ফুল ফোটে। এই ফুলের সঙ্গে গ্রামবাংলার এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে জলবাছু পরিবর্তনের ফলে এখন অসময়েও কদম ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কদম ফুল ফুটেছে। এ ফুলের মধ্যে যেন বাঙালি বাঙালি আছে। রাস্তার পাশে ফুটে থাকা কদম ফুল সবার দৃষ্টি কাড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, আদিকাল থেকেই কদম গাছের বিভিন্ন অংশ ও এর ফুল প্রাকৃতিক শোভাবর্ধনের পাশাপাশি মানবদেহের নানা রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভেষজ ঔষধিগুণে ভরা কদম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ব্যথা নাশক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। পায়ের তালু জ্বলা, ব্রণগৃষ্ট ক্ষত ও গ্রন্থিস্ফীতি রোগে এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। এ ছাড়া কদম ফুল সেদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকতা অভিজিৎ কুমার বলেন, কদম ফুল শুভ্রতার প্রতীক। বাংলাদেশে কদম ফুল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি স্নাতক দিনে বাঙালিদের মনে অন্য রকম অনূভূতি এনে দেয়। অনেক কবি সাহিত্যিক বর্ষার কদম ফুল নিয়ে অনেক কবিতা রচনা করেছেন। কদম ফুল আসলে বাংলাদেশের প্রকৃতির বর্ষা মৌসুমে সৌন্দর্যের সঙ্গে ওত প্রোতভাবে জড়িত। কদম গাছের কাঠ জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতিতে এখন চলছে বর্ষাকাল। ষড় ঋতুর মধ্যে বর্ষাকাল যেন সেরা ঋতু আবহমান বাংলার। আর এই বর্ষাকে স্বাগত জানাতে বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় প্রকৃতিতে ফুটেছে মন ভোলানো সৌন্দর্য নিয়ে বর্ষাদূত কদম ফুল। চিরচেনা মিষ্টি একটা গন্ধে মেতে উঠেছে গ্রামীণ সবুজ শ্যামল প্রকৃতি। কদম ফুলের সতেজ নির্মল সৌন্দর্য আর মোহনীয় ঘ্রাণ প্রকৃতি প্রেমীসহ সবার মনে সৃষ্টি করেছে ভিন্ন এক সম্মোহনী অনুভূতি। বাংলা কবিতা ও গানেও সমভাবে সমাদৃত হয়েছে বর্ষাকাল ও কদম। বর্ষার সঙ্গে কদম ফুলের যেন এক নিবিড় সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।