জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। শুল্কায়ন ও খালাস বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক, যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার। তিনি বলেন, “কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো খালাস শেষে ফিরে যেতে পারবে।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ এবং প্রতিহিংসামূলক বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ একই দাবিতে আগের সপ্তাহজুড়ে কলম বিরতির কর্মসূচিও পালন করে।
শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বন্ধ রয়েছে শুল্কায়ন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে গেটের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের টেবিলেও কাউকে দেখা যায়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার, ফলে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা যায়নি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “শনিবার সকাল থেকে কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার আইজিএম ইস্যু করা ছয়টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর আর কোনো ট্রাক আসেনি।”
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, “কলম বিরতি ও শাটডাউনের কারণে আমদানিকারকরা পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস করতে পারছেন না। ফলে গোডাউন ডেমারেজ বেড়ে যাচ্ছে। আইজিএম ইস্যু না হওয়ায় ঠিকভাবে আমদানি হচ্ছে না। অনেক পণ্যের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। কাঁচামাল সময়মতো না পৌঁছালে রপ্তানিতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কিছু মালামাল পঁচেও যাচ্ছে।”
সোনামসজিদের ওপারে আটকা পণ্যবাহী কয়েকশ’ ট্রাক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ভারত থেকে কোনো পণ্য আসেনি, কিংবা কোনো রপ্তানি পণ্যও যায়নি। ফলে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক।
সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, কর্মসূচির কারণে আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মহদিপুর স্থলবন্দরে বিপুলসংখ্যক ট্রাক আটকে আছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। শুল্ক আদায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া রপ্তানি পণ্যবাহী অন্তত ছয়টি ট্রাক বন্দরে আটকে রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সোনামসজিদ কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল হাসান বলেন, “শনিবার সারাদিন এই কর্মসূচি চলবে। সন্ধ্যার পর কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি এলে সেটিও পালিত হবে।”
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। শুল্কায়ন ও খালাস বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক, যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার। তিনি বলেন, “কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকগুলো খালাস শেষে ফিরে যেতে পারবে।”
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের অপসারণ এবং প্রতিহিংসামূলক বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ একই দাবিতে আগের সপ্তাহজুড়ে কলম বিরতির কর্মসূচিও পালন করে।
শনিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বন্ধ রয়েছে শুল্কায়ন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে গেটের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের টেবিলেও কাউকে দেখা যায়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার, ফলে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা যায়নি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “শনিবার সকাল থেকে কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার আইজিএম ইস্যু করা ছয়টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশের পর আর কোনো ট্রাক আসেনি।”
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন জানান, “কলম বিরতি ও শাটডাউনের কারণে আমদানিকারকরা পণ্য শুল্কায়ন ও খালাস করতে পারছেন না। ফলে গোডাউন ডেমারেজ বেড়ে যাচ্ছে। আইজিএম ইস্যু না হওয়ায় ঠিকভাবে আমদানি হচ্ছে না। অনেক পণ্যের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। কাঁচামাল সময়মতো না পৌঁছালে রপ্তানিতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। কিছু মালামাল পঁচেও যাচ্ছে।”
সোনামসজিদের ওপারে আটকা পণ্যবাহী কয়েকশ’ ট্রাক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ভারত থেকে কোনো পণ্য আসেনি, কিংবা কোনো রপ্তানি পণ্যও যায়নি। ফলে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে কয়েকশ’ পণ্যবাহী ট্রাক।
সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম জানান, কর্মসূচির কারণে আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মহদিপুর স্থলবন্দরে বিপুলসংখ্যক ট্রাক আটকে আছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন। শুল্ক আদায়ের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া রপ্তানি পণ্যবাহী অন্তত ছয়টি ট্রাক বন্দরে আটকে রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
সোনামসজিদ কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল হাসান বলেন, “শনিবার সারাদিন এই কর্মসূচি চলবে। সন্ধ্যার পর কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি এলে সেটিও পালিত হবে।”