ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইন জুয়া ক্যাসিনো খেলে নিঃস্ব হয়ে গেছে অসংখ্য যুবক। অপরদিকে কয়েকজন এজেন্ট বনে গেছেন কোটিপতি। উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোয়াতলা বাজার ও আশেপাশের এলাকায় জুয়ার প্রভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে স্কুল কলেজ এর ছাত্র থেকে শুরু করে অসংখ্য যুবক। এতে বেড়েছে চুরিসহ নানান অপরাধ।
গত কয়েকদিন ধরে গোয়াতলা বাজারে অনলাইন ক্যাসিনোর ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলছে নাটকিয়তা ও কাড়াকাড়ি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গোয়াতলা বাজারের অনলাইন জুয়ার এজেন্ট সাগর সরকার এবং কাঞ্চনসহ আরও কয়েকজন। তাদের জুয়ার ফাঁদে পড়ে দোকান জমিসহ নানান সম্পদ হারিয়েছে অনেকে। অপরদিকে কোটিপতি বনে গেছেন তারা।
এলাকাবাসী জানায়, সাগর সরকারের বাবা কয়েক বছর আগেও ইঁদুরের ওষুধ, সুতা বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বাাজারের ব্যাবসায়ী সালাম জুয়ার ফাঁদে পড়ে দোকান বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মোবাইলের বিকাশ দোকানদার পলাশ অর্ধ কোটি টাকা ঋণ করে পলাতক।
এমন অনেকে জুয়ার ফাঁদে অনেক কিছু হারিয়েছেন। এই জুয়ার সাথে উপজেলার অনেক প্রভাবশালীও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়।
গোয়াতলা ইজারাপাড়া এলাকায় জমজমাট চলে এই জুয়ার আসর। গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহ থেকে একটি পার্টি ক্যাসিনো সম্্রাট সাগর সরকারের দোকানে আসে। এসে বলে তার আইডিতে ৫০ লক্ষ টাকা ডুকেছে।
কিন্তু সাগর পাঁচ লক্ষ টাকা স্বীকার করে। বাকী টাকার বিষয়ে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ৩ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। এই ঘটনা জানাজানি হলে সাগর সরকারকে খোঁজতে থাকে অনেকে। টাকা নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। অনেকে জোরপূর্বক কিছু টাকা আদায় করে নেন সাগরের কাছ থেকে। অনেকে আবার খোঁজছেন। কেউ কেউ আবার আশ্রয় দিচ্ছেন সাগরকে। অবশেষে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্বগোপনে চলে যান সাগর সরকার। গত তিনদিন ধরে গোয়াতলা এলাকায় চলছে নাটকিয়তা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, কাঞ্চনের সহায়তায় বেশ কয়েক জনের সাথে প্রতারণা করে একাই ৫০ লক্ষ টাকা আত্বসাত করে সাগর সরকার। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানো তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। এ ব্যাপারে গোয়াতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুর রশিদ মজনু বলেন, অনেক দিন ধরে চলছে এই জুয়া খেলা, এতে যুব সমাজ ধব্বংস হয়ে যাচ্ছে,কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়, জুয়ার কারনে বেড়েছে চুরি।
বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি,সাগরের কাছ থেকে অনেকে জোরপূবর্ক টাকা নিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তিনি মিমাংষা করার চেষ্টা করছেন। ক্যাসিনো এজেন্ট সাগর আত্বগোপনে থাকায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে তাদের সাথে সম্পৃক্ত কাঞ্চন বলেন, এই জুয়াতো সারাদেশেই খেলা হয়, শুধু গোয়াতলা না, তিনি বলেন, জুয়ার সাথে তিনি জড়িত নন। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন সরকারকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত যে ব্যবস্থা রয়েছে তা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় অনলাইন জুয়া ক্যাসিনো খেলে নিঃস্ব হয়ে গেছে অসংখ্য যুবক। অপরদিকে কয়েকজন এজেন্ট বনে গেছেন কোটিপতি। উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোয়াতলা বাজার ও আশেপাশের এলাকায় জুয়ার প্রভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে স্কুল কলেজ এর ছাত্র থেকে শুরু করে অসংখ্য যুবক। এতে বেড়েছে চুরিসহ নানান অপরাধ।
গত কয়েকদিন ধরে গোয়াতলা বাজারে অনলাইন ক্যাসিনোর ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলছে নাটকিয়তা ও কাড়াকাড়ি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গোয়াতলা বাজারের অনলাইন জুয়ার এজেন্ট সাগর সরকার এবং কাঞ্চনসহ আরও কয়েকজন। তাদের জুয়ার ফাঁদে পড়ে দোকান জমিসহ নানান সম্পদ হারিয়েছে অনেকে। অপরদিকে কোটিপতি বনে গেছেন তারা।
এলাকাবাসী জানায়, সাগর সরকারের বাবা কয়েক বছর আগেও ইঁদুরের ওষুধ, সুতা বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছেন। গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বাাজারের ব্যাবসায়ী সালাম জুয়ার ফাঁদে পড়ে দোকান বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মোবাইলের বিকাশ দোকানদার পলাশ অর্ধ কোটি টাকা ঋণ করে পলাতক।
এমন অনেকে জুয়ার ফাঁদে অনেক কিছু হারিয়েছেন। এই জুয়ার সাথে উপজেলার অনেক প্রভাবশালীও জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়।
গোয়াতলা ইজারাপাড়া এলাকায় জমজমাট চলে এই জুয়ার আসর। গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহ থেকে একটি পার্টি ক্যাসিনো সম্্রাট সাগর সরকারের দোকানে আসে। এসে বলে তার আইডিতে ৫০ লক্ষ টাকা ডুকেছে।
কিন্তু সাগর পাঁচ লক্ষ টাকা স্বীকার করে। বাকী টাকার বিষয়ে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ৩ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন। এই ঘটনা জানাজানি হলে সাগর সরকারকে খোঁজতে থাকে অনেকে। টাকা নিয়ে শুরু হয় কাড়াকাড়ি। অনেকে জোরপূর্বক কিছু টাকা আদায় করে নেন সাগরের কাছ থেকে। অনেকে আবার খোঁজছেন। কেউ কেউ আবার আশ্রয় দিচ্ছেন সাগরকে। অবশেষে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্বগোপনে চলে যান সাগর সরকার। গত তিনদিন ধরে গোয়াতলা এলাকায় চলছে নাটকিয়তা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, কাঞ্চনের সহায়তায় বেশ কয়েক জনের সাথে প্রতারণা করে একাই ৫০ লক্ষ টাকা আত্বসাত করে সাগর সরকার। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখানো তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। এ ব্যাপারে গোয়াতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুর রশিদ মজনু বলেন, অনেক দিন ধরে চলছে এই জুয়া খেলা, এতে যুব সমাজ ধব্বংস হয়ে যাচ্ছে,কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হয়, জুয়ার কারনে বেড়েছে চুরি।
বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি,সাগরের কাছ থেকে অনেকে জোরপূবর্ক টাকা নিয়ে গেছে। পরিস্থিতি এমন যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি তিনি মিমাংষা করার চেষ্টা করছেন। ক্যাসিনো এজেন্ট সাগর আত্বগোপনে থাকায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে তাদের সাথে সম্পৃক্ত কাঞ্চন বলেন, এই জুয়াতো সারাদেশেই খেলা হয়, শুধু গোয়াতলা না, তিনি বলেন, জুয়ার সাথে তিনি জড়িত নন। এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আল মামুন সরকারকে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত যে ব্যবস্থা রয়েছে তা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।