ঠাকুরগাঁও : জামালপুর ইউনিয়নের অবস্থিত দুইশ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির মসজিদ -সংবাদ
খনো দাঁড়িয়ে আছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের সেই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির মসজিদ। প্রায় ২’শত বছরের পুরনো কারুকার্যময় এ মসজিদটি জামালপুর ইউনিয়নের আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান হলেও কমেনি তার আকর্ষণ জনসাধারণের কাছে। এখনো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুধু এক নজর দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় জমান এই জামালপুর জমিদারবাড়ি মসজিদে।
মসজিদের ইতিহাস : জানা যায় অপূর্ব সুন্দর এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয় ১৭৮০ সালে। মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব নেন তৎকালীন জমিদার আব্দুল হালিম। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করলেও হালিমের ভাগ্য হয়নি মসজিদটি পূর্ণাঙ্গ রূপে দেখে যাওয়ার। ১৭৮০ সালেই মারা যান জমিদার আব্দুল হালিম। তিনি মারা যাওয়ার পরে জমিদারির দায়িত্ব পান নূর মোহাম্মদ চৌধুরী। বেশ কয়েক বছর মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকলেও তা পুনরায় শুরু হয় জমিদার নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানেই। বছর খানেক ভালমতো চলে এর নির্মাণ কাজ। অতপর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮০১ সালে। জমিদার নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর ইন্তেকালের পর মসজিদটির দেখাশোনার দায়িত্ব পান তিনজন। তারা হলেন জমিদার করিম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, জমিদার এমদাদুর রহমান চৌধুরী ও জমিদার বদি উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী।
মসজিদের বিবরণ : মসজিদটিতে ৩টি গম্বুজ ও চারদিকে ২৪টি মিনার রয়েছে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি। এর বারান্দা ২টি।
প্রথম বারান্দার দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১২ ফুট ৩ ইঞ্চি। দ্বিতীয় বারান্দার দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৯ ফুট ৫ ইঞ্চি।
ঠাকুরগাঁও : জামালপুর ইউনিয়নের অবস্থিত দুইশ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির মসজিদ -সংবাদ
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
খনো দাঁড়িয়ে আছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের সেই ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ির মসজিদ। প্রায় ২’শত বছরের পুরনো কারুকার্যময় এ মসজিদটি জামালপুর ইউনিয়নের আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান হলেও কমেনি তার আকর্ষণ জনসাধারণের কাছে। এখনো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুধু এক নজর দেখার জন্য পর্যটকরা ভিড় জমান এই জামালপুর জমিদারবাড়ি মসজিদে।
মসজিদের ইতিহাস : জানা যায় অপূর্ব সুন্দর এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয় ১৭৮০ সালে। মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব নেন তৎকালীন জমিদার আব্দুল হালিম। মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু করলেও হালিমের ভাগ্য হয়নি মসজিদটি পূর্ণাঙ্গ রূপে দেখে যাওয়ার। ১৭৮০ সালেই মারা যান জমিদার আব্দুল হালিম। তিনি মারা যাওয়ার পরে জমিদারির দায়িত্ব পান নূর মোহাম্মদ চৌধুরী। বেশ কয়েক বছর মসজিদ নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকলেও তা পুনরায় শুরু হয় জমিদার নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানেই। বছর খানেক ভালমতো চলে এর নির্মাণ কাজ। অতপর এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৮০১ সালে। জমিদার নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর ইন্তেকালের পর মসজিদটির দেখাশোনার দায়িত্ব পান তিনজন। তারা হলেন জমিদার করিম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, জমিদার এমদাদুর রহমান চৌধুরী ও জমিদার বদি উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী।
মসজিদের বিবরণ : মসজিদটিতে ৩টি গম্বুজ ও চারদিকে ২৪টি মিনার রয়েছে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ৬ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১১ ফুট ৯ ইঞ্চি। এর বারান্দা ২টি।
প্রথম বারান্দার দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১২ ফুট ৩ ইঞ্চি। দ্বিতীয় বারান্দার দৈর্ঘ্য ৪১ ফুট ২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৯ ফুট ৫ ইঞ্চি।