পলাশ উপজেলায় সুস্বাদু লটকনের চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। নরসিংদী জেলার শিবপুর, মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার পরেই পলাশে সুমিষ্ট লটকন চাষে এগিয়ে এসেছে ফল চাষিরা।
লটকন ফল খেতে পছন্দের তালিকায় সবার। তবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি ফল। লাভজনক থাকায় ফল ব্যবসায়ীরাও লটকন বিক্রিতে ঝুকেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে লটকন ফলের ঝুড়ি। দৃর্শমান আগের তুলনায় ক্রেতাদের কাছে লটকনের চাহিদ অনেক বেড়েছে।
উল্লেখ লটকন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরাও। আর্থিক লাভের কারণে চাষিদের মধ্যে লটকন চাষে উৎসাহের পাশাপাশি প্রতি বছরই এখানে বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। বর্তমানে উপজেলার জিনারদীর লালমাটির টেঙ্গর এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত মণ লটকন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ১০০ হতে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২০ বছর আগেও লটকনের স্বতন্ত্র বাগান ছিল না। তখন অন্যান্য ফলগাছের সঙ্গেই দুয়েকটি গাছ লাগানো হতো। লটকন চাষিরা জানান, আগে লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না, দামও ছিল কম, সে কারণে কেউ লটকনের স্বতন্ত্র বাগান করার চিন্তা করত না। বর্তমানে চাহিদা ও মূল্য দুটিই বেড়েছে।
উপজেলার রাবান, বরাবো, কুড়াইতলী, কাঁটাবের, ভালুকাপাড়া ও বরাবোসহ জিনারদীর ৩১টি গ্রামের প্রায়ই সব এলাকায় ফল চাষিরা বাড়ির আঙ্গিনায় দেখা যায় লটকন গাছ ও লটকন বাগান। এই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব জায়গায়ই গাছে লটকন ঝুলে আছে থোকায় থোকায়। গাছে গাছে পাকা কাঁচা লটকনের সমাহার। নয়নাভিরাম মনকাড়া এক সুন্দর দৃশ্য। লটকন চাষি সমীর দাস জানান, আম, কাঁঠাল আর আনারসের সঙ্গে লটকন এখন আমাদের আর একটি অর্থকড়ি ফল। গ্রীস্মকালীন ফল হিসেবে লটকন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এবার জঙ্গলের ফল লটকন পেয়েছে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি।
অন্যান্য ফলের চেয়ে লটকনের ফলন অনেক বেশি হয় বলে কৃষকরাও অধিক লাভবান হচ্ছেন। লটকন গাছের কা-ে এবং ডালপালায় ফলে। গাছের পুষ্টির সুষমতা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গাছের গোড়া থেকে প্রধান কা-গুলোতে থোকায় থোকায় এত বেশি ফল আসে যে, তখন গাছের কা- বা ডাল দেখা যায় না।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার খরাতে লটকনের গুটি ঝরে যাওয়ায় ফলন অনেক কমে গেছে। রাবানের প্রান্ত মিত্র, পলাশতলীর জীবন মিত্র কুড়াইতলীর তাপস পাল একই কথা বলেছেন। তারা বলেছেন এবার ফলন গতবারের চেয়ে অনেকাংশে কম হয়েছে। এদিকে আরেক চাষি পরিতোষ রায়ের বাগান ৭১ শতাংশ, রামকৃষ্ণ রায়ের ১৪২ শতাংশ। তাদের বক্তব্যও এবার খরার কারণে ফলন ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কৃষি বিভাগের কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর মাটি ও আবহাওয়া লটকন চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত। সেই সঙ্গে আর্থিক লাভের কারণে চাষিদের মধ্যে লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে বহুগুণ। এ ছাড়া ঝোপ ঝাড়ে লটকন ভালো জন্মায় বলেও জায়গার যথাযথ ব্যবহার হয়ে অনেক। কারণ অন্য ফলগুলো ছায়া এবং ঝোপ ঝাড়ে তেমন না হলেও লটকন বেশ ভালো জন্মায়।
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
পলাশ উপজেলায় সুস্বাদু লটকনের চাষে কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। নরসিংদী জেলার শিবপুর, মনোহরদী ও বেলাব উপজেলার পরেই পলাশে সুমিষ্ট লটকন চাষে এগিয়ে এসেছে ফল চাষিরা।
লটকন ফল খেতে পছন্দের তালিকায় সবার। তবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি ফল। লাভজনক থাকায় ফল ব্যবসায়ীরাও লটকন বিক্রিতে ঝুকেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে লটকন ফলের ঝুড়ি। দৃর্শমান আগের তুলনায় ক্রেতাদের কাছে লটকনের চাহিদ অনেক বেড়েছে।
উল্লেখ লটকন চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরাও। আর্থিক লাভের কারণে চাষিদের মধ্যে লটকন চাষে উৎসাহের পাশাপাশি প্রতি বছরই এখানে বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। বর্তমানে উপজেলার জিনারদীর লালমাটির টেঙ্গর এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত মণ লটকন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ১০০ হতে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২০ বছর আগেও লটকনের স্বতন্ত্র বাগান ছিল না। তখন অন্যান্য ফলগাছের সঙ্গেই দুয়েকটি গাছ লাগানো হতো। লটকন চাষিরা জানান, আগে লটকনের তেমন চাহিদা ছিল না, দামও ছিল কম, সে কারণে কেউ লটকনের স্বতন্ত্র বাগান করার চিন্তা করত না। বর্তমানে চাহিদা ও মূল্য দুটিই বেড়েছে।
উপজেলার রাবান, বরাবো, কুড়াইতলী, কাঁটাবের, ভালুকাপাড়া ও বরাবোসহ জিনারদীর ৩১টি গ্রামের প্রায়ই সব এলাকায় ফল চাষিরা বাড়ির আঙ্গিনায় দেখা যায় লটকন গাছ ও লটকন বাগান। এই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব জায়গায়ই গাছে লটকন ঝুলে আছে থোকায় থোকায়। গাছে গাছে পাকা কাঁচা লটকনের সমাহার। নয়নাভিরাম মনকাড়া এক সুন্দর দৃশ্য। লটকন চাষি সমীর দাস জানান, আম, কাঁঠাল আর আনারসের সঙ্গে লটকন এখন আমাদের আর একটি অর্থকড়ি ফল। গ্রীস্মকালীন ফল হিসেবে লটকন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এবার জঙ্গলের ফল লটকন পেয়েছে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি।
অন্যান্য ফলের চেয়ে লটকনের ফলন অনেক বেশি হয় বলে কৃষকরাও অধিক লাভবান হচ্ছেন। লটকন গাছের কা-ে এবং ডালপালায় ফলে। গাছের পুষ্টির সুষমতা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গাছের গোড়া থেকে প্রধান কা-গুলোতে থোকায় থোকায় এত বেশি ফল আসে যে, তখন গাছের কা- বা ডাল দেখা যায় না।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার খরাতে লটকনের গুটি ঝরে যাওয়ায় ফলন অনেক কমে গেছে। রাবানের প্রান্ত মিত্র, পলাশতলীর জীবন মিত্র কুড়াইতলীর তাপস পাল একই কথা বলেছেন। তারা বলেছেন এবার ফলন গতবারের চেয়ে অনেকাংশে কম হয়েছে। এদিকে আরেক চাষি পরিতোষ রায়ের বাগান ৭১ শতাংশ, রামকৃষ্ণ রায়ের ১৪২ শতাংশ। তাদের বক্তব্যও এবার খরার কারণে ফলন ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কৃষি বিভাগের কর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, নরসিংদীর মাটি ও আবহাওয়া লটকন চাষের জন্য বেশ উপযুক্ত। সেই সঙ্গে আর্থিক লাভের কারণে চাষিদের মধ্যে লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে বহুগুণ। এ ছাড়া ঝোপ ঝাড়ে লটকন ভালো জন্মায় বলেও জায়গার যথাযথ ব্যবহার হয়ে অনেক। কারণ অন্য ফলগুলো ছায়া এবং ঝোপ ঝাড়ে তেমন না হলেও লটকন বেশ ভালো জন্মায়।