শরণখোলা (বাগেরহাট) : শরণখোলা উপজেলার বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা -সংবাদ
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক মানুষ ও যানবাহন আলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর ওয়ার্ডের আওতাধীন মাটির এই সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খনাখন্দ। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই তাতে জমে থাকে হাঁটু পানি। কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে পুরো সড়ক। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে যানবাহন চলাচলের কারণে ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বলতে গেলে সারাবছরই চলাচলের অনুপযোগী থাকে সড়কটি। এছাড়া বর্তমানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলমান। শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্র দুটি এই সড়কের পাশেই অবস্থিত। ফলে পরীক্ষার্থীদের আলাচলেও চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাদাপানি মাড়িয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে তাদের। এমন বেহাল অবস্থার কারণে সড়কটি এখন দুর্ভোগের সড়কে পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী আসা যাওয়া করে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা শহর রায়েন্দা বাজারে দৈনন্দিন প্রয়োজনে যাতায়াত করে আরো হাজার হাজার মানুষ।
সড়কের এই অংশের দুই পাশে রয়েছে শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরসা, আনোয়ারা হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা, সুন্দরবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে তিনটি বরফ কল, একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং কয়েক হাজার পরিবার ও অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুল, আরকেডিএস গার্লস হাই স্কুল, শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাসানী কিন্ডার গার্টেন স্কুল। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এবং পণ্য ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা উন্নয়নে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, সড়কের এই অংশটুকু বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের আওতাধীন। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় উপকূলয়ী বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে নির্মাণ হয় শরণখোলা উপজেলার ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। সেই সঙ্গে কলেজ রোড হিসেবে পরিচিতি সড়কের এই অংশটিও মাটির উঁচু বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে শুরু হওয়ার পর ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয় প্রকল্পের কাজ। কাজের শুরু থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি। এর আগে বাধের এই অংশটি এলজিইডির মাধ্যমে কার্পেটিং করা ছিল।
শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল আলম ফকির ও রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আনোয়ারী বলেন, সড়কটি ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কমপক্ষে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসাযাওয়া করে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি মাড়িয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ কোনোরকমে চলতে পারলেও বর্ষার সময় আর চলাচল করতে পারে না। বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। পুরো সড়কে থাকে কাদাপানি।
অধ্যক্ষদ্বয় আরো বলেন, বর্তমানে এইচএসসি ও আলীম পরীক্ষা চলছে। এই কাদাপানি ভেঙে পরীক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে কেন্দ্রে। এমনকি কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ারও উপায় থাকে না। বর্ষা মৌসুম এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিও কমে যায়। তাই জনদুর্ভোগ নিরসনে সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই সরকারের কাছে।
শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফেরদৌস আলম বলেন, বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
শরণখোলা (বাগেরহাট) : শরণখোলা উপজেলার বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কের বেহালদশা -সংবাদ
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়ক মানুষ ও যানবাহন আলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর ওয়ার্ডের আওতাধীন মাটির এই সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খনাখন্দ। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই তাতে জমে থাকে হাঁটু পানি। কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে পুরো সড়ক। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে যানবাহন চলাচলের কারণে ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। বলতে গেলে সারাবছরই চলাচলের অনুপযোগী থাকে সড়কটি। এছাড়া বর্তমানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলমান। শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ও রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্র দুটি এই সড়কের পাশেই অবস্থিত। ফলে পরীক্ষার্থীদের আলাচলেও চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাদাপানি মাড়িয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে তাদের। এমন বেহাল অবস্থার কারণে সড়কটি এখন দুর্ভোগের সড়কে পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী আসা যাওয়া করে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা শহর রায়েন্দা বাজারে দৈনন্দিন প্রয়োজনে যাতায়াত করে আরো হাজার হাজার মানুষ।
সড়কের এই অংশের দুই পাশে রয়েছে শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরসা, আনোয়ারা হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা, সুন্দরবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রয়েছে তিনটি বরফ কল, একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং কয়েক হাজার পরিবার ও অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া পার্শ্ববর্তী রায়েন্দা বাজার কেন্দ্রিক রয়েছে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুল, আরকেডিএস গার্লস হাই স্কুল, শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট, রায়েন্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভাসানী কিন্ডার গার্টেন স্কুল। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ এবং পণ্য ও যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও তা উন্নয়নে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
জানা গেছে, সড়কের এই অংশটুকু বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের আওতাধীন। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় উপকূলয়ী বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে নির্মাণ হয় শরণখোলা উপজেলার ৬২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। সেই সঙ্গে কলেজ রোড হিসেবে পরিচিতি সড়কের এই অংশটিও মাটির উঁচু বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ২০১৬ সালে শুরু হওয়ার পর ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয় প্রকল্পের কাজ। কাজের শুরু থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি। এর আগে বাধের এই অংশটি এলজিইডির মাধ্যমে কার্পেটিং করা ছিল।
শরণখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুল আলম ফকির ও রায়েন্দা-রাজৈর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আনোয়ারী বলেন, সড়কটি ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কমপক্ষে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসাযাওয়া করে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি মাড়িয়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ কোনোরকমে চলতে পারলেও বর্ষার সময় আর চলাচল করতে পারে না। বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকে। পুরো সড়কে থাকে কাদাপানি।
অধ্যক্ষদ্বয় আরো বলেন, বর্তমানে এইচএসসি ও আলীম পরীক্ষা চলছে। এই কাদাপানি ভেঙে পরীক্ষার্থীদের আসতে হচ্ছে কেন্দ্রে। এমনকি কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ারও উপায় থাকে না। বর্ষা মৌসুম এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিও কমে যায়। তাই জনদুর্ভোগ নিরসনে সড়কটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানাই সরকারের কাছে।
শরণখোলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফেরদৌস আলম বলেন, বান্দাঘাটা থেকে রাজৈর মারকাজ মসজিদ ও মাদরাসা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।