ভৈরবেটিফিন ক্যারিয়ার (ভাতের বাটি) নিয়ে ঠাট্টা মশকারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। গতকাল রোববার পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ভৈরব থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার এসআই আসিবুল হক ভূঁইয়া।

এ ঘটনায় আহত হাছেনা বেগম (৫০), লিটন মিয়া (৬০) ও পাবেল মিয়া (২২) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত হাছেনা বেগমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া রানা মিয়া (২৬), দিপু মিয়াসহ (১৬) আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুন শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া (গাইনহাটি) এলাকার ধন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া তুষার ভ্যানগাড়িতে করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের জন্য দুপুরের খাবারের জন্যটিফিন ক্যারিয়ার (ভাতের বাটি) নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। এই সময় প্রতিবেশী ভূঁইয়া বাড়ির সায়মন ঠাট্টা-মশকরা করে টিফিন ক্যারিয়ার খুলে দেখতে গেলে তুষার বাধা দেয়। ঠাট্টা মশকরা করতে করতে তাদের মধ্যে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে বাগবিতণ্ডার এক ফাঁকে মারামারি হয়। মারামারিতে সায়মনের সঙ্গে তার বন্ধু আসিফও ছিল। ওই দিন রাতে স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ২৯ জুন একই ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় তুষারের সঙ্গে আসিফের আবারো বাগবিত-া হয়। পরে রাত সাড়ে ৭টায় বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে অসিফের পক্ষে ভূঁইয়া বাড়ি ও ভাওয়াল বাড়ি এবং তুষারের পক্ষে মন্নাফ মিয়ার বাড়ি যোগ দেয়। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষ দা, বল্লম, লাঠিসোটা ও ইট পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই আসিবুল হক ভূইয়া বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যায়। সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ থানা পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।