নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী -সংবাদ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, গত ৩১ মে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের অভিযানে বাধা ও ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছনার ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে শনিবার ভোররাতে অভিযান চালায় পুলিশ।
নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর ‘ডাকাত এসেছে’ বলে এলাকার মসজিদে মাইকিং করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। পরে গ্রামের দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের একটি ভ্যান ও দুটি সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরদিন রোববার দুপুরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনকে যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন গজনাইপুরের ইকবাল হোসেন (৩১), ইনাতগঞ্জের রুজেল মিয়া (২৫), দেওপাড়ার কাইছুম মিয়া (২২), রামলোহের সোহেল আহমেদ (২৩), পানিউমদার আল আমিন (৬৬), শতকের সাদেক মিয়া (৪২), দেওপাড়ার পঙ্কজ দত্ত (৪৩) এবং রামলোহের আবির আহমেদ জয় (১৯) প্রমুখ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর হামলা গুরুতর অপরাধ। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী -সংবাদ
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গজনাইপুর গ্রামে পুলিশের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনায় যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা যায়, গত ৩১ মে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণে জেলা প্রশাসনের অভিযানে বাধা ও ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছনার ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে শনিবার ভোররাতে অভিযান চালায় পুলিশ।
নজর উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর ‘ডাকাত এসেছে’ বলে এলাকার মসজিদে মাইকিং করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। পরে গ্রামের দুই শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নজর উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের একটি ভ্যান ও দুটি সিএনজি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরদিন রোববার দুপুরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনকে যাচাই-বাছাই শেষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন গজনাইপুরের ইকবাল হোসেন (৩১), ইনাতগঞ্জের রুজেল মিয়া (২৫), দেওপাড়ার কাইছুম মিয়া (২২), রামলোহের সোহেল আহমেদ (২৩), পানিউমদার আল আমিন (৬৬), শতকের সাদেক মিয়া (৪২), দেওপাড়ার পঙ্কজ দত্ত (৪৩) এবং রামলোহের আবির আহমেদ জয় (১৯) প্রমুখ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর হামলা গুরুতর অপরাধ। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।