প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর ডিভোর্স দেয়ার পর ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে ময়মনসিংহে এক প্রবাস ফেরত স্বামী রাকিবুল করিম রাকিব (৫০) স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সাবেক স্ত্রী রওশন আক্তার (৪২)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাকিব দীর্ঘদিন ধরে ওমানে কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে স্ত্রী রওশন তাকে তালাক দেন। ৫ জুলাই তালাক কার্যকর হওয়ার কথা। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রীকে নিয়ে নানা ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন রাকিব। গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি রওশনকে ‘পরকীয়ায় আসক্ত’ এবং ‘চরিত্রহীনা’ বলে অভিহিত করেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে বোরকা পরে কাজের মেয়ের ছদ্মবেশে রাকিব গোপনে রওশনের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ছোট মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে স্ত্রী রওশন আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর ছোট মেয়ের হাতে সম্পত্তির দলিল ও ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিয়ে তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
নিহত রওশন আক্তারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার রাজুর বাজার এলাকায়। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ছোট মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। বড় মেয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্তপুলিস পুলিম, সুপার(অপরাধ) জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রী রওশন তিন মাসে রাকিবকে ডিভোর্সের পর থেকে রাকিব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে গত ২৪ জুন দেশে ফিরে পরিকল্পিতভাবে তিনি এই হত্যাকন্ড ঘটান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর ডিভোর্স দেয়ার পর ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে ময়মনসিংহে এক প্রবাস ফেরত স্বামী রাকিবুল করিম রাকিব (৫০) স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সাবেক স্ত্রী রওশন আক্তার (৪২)।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাকিব দীর্ঘদিন ধরে ওমানে কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে স্ত্রী রওশন তাকে তালাক দেন। ৫ জুলাই তালাক কার্যকর হওয়ার কথা। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রীকে নিয়ে নানা ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন রাকিব। গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি রওশনকে ‘পরকীয়ায় আসক্ত’ এবং ‘চরিত্রহীনা’ বলে অভিহিত করেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে বোরকা পরে কাজের মেয়ের ছদ্মবেশে রাকিব গোপনে রওশনের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ছোট মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে স্ত্রী রওশন আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর ছোট মেয়ের হাতে সম্পত্তির দলিল ও ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দিয়ে তিনি নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
নিহত রওশন আক্তারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার রাজুর বাজার এলাকায়। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর গুলকীবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ছোট মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। বড় মেয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ছোট মেয়ে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্তপুলিস পুলিম, সুপার(অপরাধ) জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্ত্রী রওশন তিন মাসে রাকিবকে ডিভোর্সের পর থেকে রাকিব মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরে গত ২৪ জুন দেশে ফিরে পরিকল্পিতভাবে তিনি এই হত্যাকন্ড ঘটান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।