অবৈধ ভাবে দাপট দেখিয়ে ১৩ বছর ধরে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতা করা বেরোবির শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের রুল ও দুদকের চিঠির প্রেক্ষিতে গত শনিবার সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম শাহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের (অব) শামসুল আলম সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।
এর আগে শিক্ষক তবিউর রহমানের বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৃত পক্ষে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে কাটাছেঁড়া করে ‘যে কাউকে’ বলে তাবিউরের নাম কলম দিয়ে বসানো হয়।
এ ব্যাপারে নিয়োগবঞ্চিত হওয়া শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তাবিউর রহমানকে জালিয়াতি করে চাকরি দিয়েছে এবং আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট বলছে তার চাকরি অবৈধ। তাহলে তাকে সাসপেন্ড করে না কেন?
তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তি অবৈধ প্রক্রিয়ায় কিভাবে ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করেন সেটাই বড় প্রশ্ন। এর দায় বিগত সব ভিসিকে নিতে হবে। যেহেতু জ্যেষ্ঠ্যতা সম্পর্কিত মামলা, সেহেতু তাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরাতে হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দপ্তর সুুত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশপত্র ‘জালিয়াতি’ করে ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান ১৩ বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগের শিক্ষক ফোরাম হলুদ দলের দাপট দেখিয়ে ‘অবৈধভাবে’ চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর তিন আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় শিক্ষকরা হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করলে এ শিক্ষক তার তীব্র বিরোধিতা করেন।
এ ব্যাপারে ব্যাপারে তৎকালীন সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সিরাজ উদদৌল্লাহ বলেন, কমিটি গঠনের পর আমরা আর আগাতে পারিনি। আমি থাকি চট্টগ্রাম। সেখান থেকে এসে রংপুরে সাক্ষাৎকার ও তথ্য যাচাই-বাছাই করা একটু কঠিন। তাই আমি ভিসি স্যারকে বলেছিলাম কমিটিটা ইন্টারনাল কাউকে দিয়ে করানোর জন্য। কমিটি তখন পুর্নগঠন করার কথা থাকলেও আর করতে পারেনি। পরে ভিসি স্যার পরিবর্তন হয়ে গেলো। তবে পুরো বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। সার্বিক ব্যাপারে শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
অবৈধ ভাবে দাপট দেখিয়ে ১৩ বছর ধরে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতা করা বেরোবির শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের রুল ও দুদকের চিঠির প্রেক্ষিতে গত শনিবার সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম শাহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের (অব) শামসুল আলম সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।
এর আগে শিক্ষক তবিউর রহমানের বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৃত পক্ষে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে কাটাছেঁড়া করে ‘যে কাউকে’ বলে তাবিউরের নাম কলম দিয়ে বসানো হয়।
এ ব্যাপারে নিয়োগবঞ্চিত হওয়া শিক্ষক মাহামুদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় তাবিউর রহমানকে জালিয়াতি করে চাকরি দিয়েছে এবং আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট বলছে তার চাকরি অবৈধ। তাহলে তাকে সাসপেন্ড করে না কেন?
তিনি আরও বলেন, একজন ব্যক্তি অবৈধ প্রক্রিয়ায় কিভাবে ১৩ বছর ধরে শিক্ষকতা করেন সেটাই বড় প্রশ্ন। এর দায় বিগত সব ভিসিকে নিতে হবে। যেহেতু জ্যেষ্ঠ্যতা সম্পর্কিত মামলা, সেহেতু তাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরাতে হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দপ্তর সুুত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশপত্র ‘জালিয়াতি’ করে ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান ১৩ বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামী লীগের শিক্ষক ফোরাম হলুদ দলের দাপট দেখিয়ে ‘অবৈধভাবে’ চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। সর্বশেষ বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর তিন আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভায় শিক্ষকরা হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করলে এ শিক্ষক তার তীব্র বিরোধিতা করেন।
এ ব্যাপারে ব্যাপারে তৎকালীন সিন্ডিকেট সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সিরাজ উদদৌল্লাহ বলেন, কমিটি গঠনের পর আমরা আর আগাতে পারিনি। আমি থাকি চট্টগ্রাম। সেখান থেকে এসে রংপুরে সাক্ষাৎকার ও তথ্য যাচাই-বাছাই করা একটু কঠিন। তাই আমি ভিসি স্যারকে বলেছিলাম কমিটিটা ইন্টারনাল কাউকে দিয়ে করানোর জন্য। কমিটি তখন পুর্নগঠন করার কথা থাকলেও আর করতে পারেনি। পরে ভিসি স্যার পরিবর্তন হয়ে গেলো। তবে পুরো বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। সার্বিক ব্যাপারে শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।