চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক শখেরবশে পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।
বাড়ির পাশে মাতামুহুরী নদীর চরের নিজের উর্বর জমিতে ১১শত টপ রেডি জাতের পেঁপে গাছ রোপণ করে মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে ১০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন বুনছেন সৌখিন চাষি বাদশা। একটি গাছে ৪০ কেজির অধিক পেঁপে ফলন এসেছে। চাষি বাদশার মতে, ১১শত গাছের মধ্যে ৫০টি গাছ ফলনের চাপে ভেঙে পড়েছে। বহাল তবিয়তে থাকা অবশিষ্ট এক হাজার ৫০টি গাছে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির জন্য এখন পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।
চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সৌখিন চাষি নুরুল আবছার বাদশার পেঁপে বাগানের অবিস্মরণীয় বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের জমি মালিক ও চাষিরা নতুন করে মাতামুহুরী নদীর তীরের জনপদ হালকাকারা মৌলভীরচরে পেঁপে চাষ করতে বেশ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
সৌখিন চাষি নুরুল আবছার বাদশা বলেন, আমার বাড়ি লাগোয়া মাতামুহুরী নদীর চরে নিজের ১ একর (আড়াই কানি) জমিতে গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে টপ রেডি জাতের ১১শত পেঁপে গাছ রোপণ করি। তার মধ্যে ৫০টি গাছ ভেঙে গেছে। গত রমজান মাসে পেঁপে গাছে ফলন আসতে শুরু করে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে পেঁপে। এখন বাগানের বেশিরভাগ গাছের পেঁপেগুলো বিক্রির জন্য পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, জমির লাগিয়ত, সার কীটনাশক, পরিচর্যায় শ্রমিক মজুরিসহ আড়াই কানি বাগানের পেঁপে চাষে আমার সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাম্পার ফলনে আশা করছি, পেঁপে বিক্রি ১০ লাখ টাকা এত আয় করতে পারব।
সৌখিন চাষি বাদশা বলেন, আমি একজন কর্মঠ ও উদ্যোমী মানুষ, হালাল রিজিকের সন্ধানে সবসময় আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই আকাঙ্খা থেকে নিজের জমিতে নিজের টাকা বিনিয়োগ করে পেঁপে চাষ করেছি। সেখানে সরকারি সহায়তা তথা কৃষি বিভাগের কোন প্রণোদনা পাইনি।
জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চাষি নুরুল আবছার বাদশা পেঁপে চাষে কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোনধরনের সহায়তা চাননি। তবে আগামীতে তিনি চাইলে সরকারি সবধরনের প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হবে। তিনি বলেন, চাষি বাদশার পেঁপে বাগানের বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের চাষিরা নতুন করে পেঁপে চাষ করতে বেশ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। এই ক্ষেত্রে চাষিরা চাইলে তাদের জন্য সার্বিক সহায়তা করব।
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
চকরিয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক শখেরবশে পেঁপে চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন।
বাড়ির পাশে মাতামুহুরী নদীর চরের নিজের উর্বর জমিতে ১১শত টপ রেডি জাতের পেঁপে গাছ রোপণ করে মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে ১০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন বুনছেন সৌখিন চাষি বাদশা। একটি গাছে ৪০ কেজির অধিক পেঁপে ফলন এসেছে। চাষি বাদশার মতে, ১১শত গাছের মধ্যে ৫০টি গাছ ফলনের চাপে ভেঙে পড়েছে। বহাল তবিয়তে থাকা অবশিষ্ট এক হাজার ৫০টি গাছে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির জন্য এখন পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।
চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সৌখিন চাষি নুরুল আবছার বাদশার পেঁপে বাগানের অবিস্মরণীয় বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের জমি মালিক ও চাষিরা নতুন করে মাতামুহুরী নদীর তীরের জনপদ হালকাকারা মৌলভীরচরে পেঁপে চাষ করতে বেশ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
সৌখিন চাষি নুরুল আবছার বাদশা বলেন, আমার বাড়ি লাগোয়া মাতামুহুরী নদীর চরে নিজের ১ একর (আড়াই কানি) জমিতে গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে টপ রেডি জাতের ১১শত পেঁপে গাছ রোপণ করি। তার মধ্যে ৫০টি গাছ ভেঙে গেছে। গত রমজান মাসে পেঁপে গাছে ফলন আসতে শুরু করে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে পেঁপে। এখন বাগানের বেশিরভাগ গাছের পেঁপেগুলো বিক্রির জন্য পরিপক্ব হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, জমির লাগিয়ত, সার কীটনাশক, পরিচর্যায় শ্রমিক মজুরিসহ আড়াই কানি বাগানের পেঁপে চাষে আমার সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাম্পার ফলনে আশা করছি, পেঁপে বিক্রি ১০ লাখ টাকা এত আয় করতে পারব।
সৌখিন চাষি বাদশা বলেন, আমি একজন কর্মঠ ও উদ্যোমী মানুষ, হালাল রিজিকের সন্ধানে সবসময় আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সেই আকাঙ্খা থেকে নিজের জমিতে নিজের টাকা বিনিয়োগ করে পেঁপে চাষ করেছি। সেখানে সরকারি সহায়তা তথা কৃষি বিভাগের কোন প্রণোদনা পাইনি।
জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চাষি নুরুল আবছার বাদশা পেঁপে চাষে কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোনধরনের সহায়তা চাননি। তবে আগামীতে তিনি চাইলে সরকারি সবধরনের প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হবে। তিনি বলেন, চাষি বাদশার পেঁপে বাগানের বাম্পার ফলন দেখে আশপাশের চাষিরা নতুন করে পেঁপে চাষ করতে বেশ উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। এই ক্ষেত্রে চাষিরা চাইলে তাদের জন্য সার্বিক সহায়তা করব।