চলছে বর্ষা মৌসুম। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষনে প্রমত্তা যমুনায় দ্রুতগতিতে বাড়ছে পানি। নতুন পানিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে যমুনা নদী। ভয়ংকর গর্জনে তীরে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ। ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, গাছপালা, তিল ও পাট ক্ষেত। কয়েক দিনে সিংহভাগ এলাকা গিলে নিয়েছে রাক্ষসি যমুনা। যেটুকু আছে সেটুকুও রক্ষা সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যেই শতাধিক বাড়িঘর, ৫০ একরও বেশি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিন, নায়েব আলী, আশাদুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, জেল হোসেন আলী, আব্দুস সালাম, শাহজাহান আলী, বদি মাস্টারসহ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন অন্য চরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। যমুনার এমন ভয়ংকর তা-বে মফিজ উদ্দিন ও জেল হোসেন আলীর এত কাজিপুরের খাসরাজবাড়ীর নদী তীরবর্তী অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী গ্রামেই চলছে ভাঙন। যমুনায় পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক ধরেই এ অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়তে থাকায় খাসরাজবাড়ী গ্রামে যমুনার তীরবর্তী ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
খাসরাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, এ স্কুল ভবনের স্থান দফায় দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। নদী থেকে খুব সামান্যই দূরে রয়েছে ভবনটি। ভাঙলেই স্কুল গিলে নেবে যমুনা। এতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আবারও ব্যাঘাত ঘটবে।
রাজবাড়ী গ্রামের রাজু আহমেদ বলেন, কয়েক দিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা খুব বেশি। ইতোমধ্যে গ্রামের অর্ধশত বিঘা ফসলি জমির তিল, পাট নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও মসজিদ থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে রয়েছে যমুনা নদী। খাসরাজবাড়ী ওয়ার্ডের সদস্য
রাজবাড়ী ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম ময়না বলেন, খাসরাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে যমুনা নদীভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েক বছর আগে যেখানে স্কুলঘর স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে। গ্রামের অন্তত ৫০ একর জমি ফসলসহ নদীতে গেছে। এসব গ্রামের শতাধিক বাড়িঘরও বিলীন হয়েছে। কাজিপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, চরাঞ্চলে কিছু ভাঙন রয়েছে। আমরা ভাঙন কবলিতদের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় কাজিপুর স্টেশনে পানি সমতল ছিল ১৩.২৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৬ সে. মিটার। অপর দিকে সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পানি সমতল ছিল ১১.৫৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে ৬ সে. মিটার। এখনও পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দু-তিন দিন পর পানি কমে যাবে। পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় নদীভাঙন প্রবণ হয়ে উঠে। যমুনা নদীর চরের কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন আছে।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
চলছে বর্ষা মৌসুম। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষনে প্রমত্তা যমুনায় দ্রুতগতিতে বাড়ছে পানি। নতুন পানিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে যমুনা নদী। ভয়ংকর গর্জনে তীরে আছড়ে পড়ছে উত্তাল ঢেউ। ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেঙে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, গাছপালা, তিল ও পাট ক্ষেত। কয়েক দিনে সিংহভাগ এলাকা গিলে নিয়েছে রাক্ষসি যমুনা। যেটুকু আছে সেটুকুও রক্ষা সম্ভব হবে না। ইতোমধ্যেই শতাধিক বাড়িঘর, ৫০ একরও বেশি ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিন, নায়েব আলী, আশাদুল ইসলাম, শাহজাহান আলী, জেল হোসেন আলী, আব্দুস সালাম, শাহজাহান আলী, বদি মাস্টারসহ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন অন্য চরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। যমুনার এমন ভয়ংকর তা-বে মফিজ উদ্দিন ও জেল হোসেন আলীর এত কাজিপুরের খাসরাজবাড়ীর নদী তীরবর্তী অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের খাসরাজবাড়ী গ্রামেই চলছে ভাঙন। যমুনায় পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, মাসখানেক ধরেই এ অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে এক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়তে থাকায় খাসরাজবাড়ী গ্রামে যমুনার তীরবর্তী ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামের মানুষ।
খাসরাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক বলেন, এ স্কুল ভবনের স্থান দফায় দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। নদী থেকে খুব সামান্যই দূরে রয়েছে ভবনটি। ভাঙলেই স্কুল গিলে নেবে যমুনা। এতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় আবারও ব্যাঘাত ঘটবে।
রাজবাড়ী গ্রামের রাজু আহমেদ বলেন, কয়েক দিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা খুব বেশি। ইতোমধ্যে গ্রামের অর্ধশত বিঘা ফসলি জমির তিল, পাট নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও মসজিদ থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে রয়েছে যমুনা নদী। খাসরাজবাড়ী ওয়ার্ডের সদস্য
রাজবাড়ী ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শহিদুল ইসলাম ময়না বলেন, খাসরাজবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে যমুনা নদীভাঙন শুরু হয়েছে। কয়েক বছর আগে যেখানে স্কুলঘর স্থাপন করা হয়েছিল সেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে। গ্রামের অন্তত ৫০ একর জমি ফসলসহ নদীতে গেছে। এসব গ্রামের শতাধিক বাড়িঘরও বিলীন হয়েছে। কাজিপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, চরাঞ্চলে কিছু ভাঙন রয়েছে। আমরা ভাঙন কবলিতদের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় কাজিপুর স্টেশনে পানি সমতল ছিল ১৩.২৬ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৬ সে. মিটার। অপর দিকে সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পানি সমতল ছিল ১১.৫৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়ে ৬ সে. মিটার। এখনও পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দু-তিন দিন পর পানি কমে যাবে। পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় নদীভাঙন প্রবণ হয়ে উঠে। যমুনা নদীর চরের কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন আছে।