গাজীপুরের কাপাসিয়ার কড়িহাতা ইউনিয়নের বেহাইদুয়ার গ্রামের মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী মো. নাঈমের (২৪) অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে লোকজন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের মাদক বিক্রেতা মো. রাজু মিয়া ওরফে নাজুর ছেলে।
নিহত নাঈমের প্রতিবেশী চাচি ফেরদৌসি বেগম জানান, প্রায় দুই মাস আগে গভীর রাতে তার ছেলে সোহেল রানা (৩৫) স্থানীয় আড়াল বাজার থেকে বাড়ি ফিরার পথে মো. নাঈম ও তার ভাই মো. কাইয়ুম কিছু টাকা দাবি করলে তা না দেয়ায় তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় তার মেয়ে রুমানা সানী একটি মামলা করলে নাঈমের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত রোববার সোহেল বাড়ি ফিরলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাঈম একটি চাপাতি নিয়ে সোহেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় সে ঘরের দরজা বন্ধ করে আশপাশের লোকজন ও স্বজনদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয় শতাধিক লোক নাঈমকে ঘেরাও করে গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী মুদি দোকানি মো. রবিউল জানান, নাঈম ও তার ভাই কাইয়ুম এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি। তারা প্রায় রাতেই এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনতাই করত। তা ছাড়া যে কোনো বিষয়ে ঝামেলা হলেই তারা দা, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে লোকজনকে কুপিয়ে আহত করত।
একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আল আমীন জানান, প্রায় এক বছর আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসলে নাঈম তার এন্ড্র্রয়েড মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বহু দেন দরবার করেও তা উদ্ধার করতে তিনি ব্যর্থ হন।
ওই গ্রামের আসাদ শেখ জানান, নাঈম ও তার ভাই কাইছুম বহু মানুষকে বাড়িতে এনে জিম্মি করে টাকা আদায় করতো। তাদের নামে কাপাসিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন থানায় বহু মামলা চলমান রয়েছে। তাই এলাকার লোকজন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গণপিটুনি দিয়ে নাঈমকে হত্যা করেছে।
নাঈমের বাড়িতে পরিবারের লোকজন না থাকায় এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার জেরে এলাকার লোকজন জরো হয়ে নাঈমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। নাঈমের নামে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বজনদের আবেদন পেলে এ বিষয়ে মামলা নেয়া হবে।
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
গাজীপুরের কাপাসিয়ার কড়িহাতা ইউনিয়নের বেহাইদুয়ার গ্রামের মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী মো. নাঈমের (২৪) অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে লোকজন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের মাদক বিক্রেতা মো. রাজু মিয়া ওরফে নাজুর ছেলে।
নিহত নাঈমের প্রতিবেশী চাচি ফেরদৌসি বেগম জানান, প্রায় দুই মাস আগে গভীর রাতে তার ছেলে সোহেল রানা (৩৫) স্থানীয় আড়াল বাজার থেকে বাড়ি ফিরার পথে মো. নাঈম ও তার ভাই মো. কাইয়ুম কিছু টাকা দাবি করলে তা না দেয়ায় তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। এ ঘটনায় তার মেয়ে রুমানা সানী একটি মামলা করলে নাঈমের পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর গত রোববার সোহেল বাড়ি ফিরলে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাঈম একটি চাপাতি নিয়ে সোহেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ সময় সে ঘরের দরজা বন্ধ করে আশপাশের লোকজন ও স্বজনদের ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে স্থানীয় শতাধিক লোক নাঈমকে ঘেরাও করে গণপিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী মুদি দোকানি মো. রবিউল জানান, নাঈম ও তার ভাই কাইয়ুম এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি। তারা প্রায় রাতেই এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনতাই করত। তা ছাড়া যে কোনো বিষয়ে ঝামেলা হলেই তারা দা, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে লোকজনকে কুপিয়ে আহত করত।
একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. আল আমীন জানান, প্রায় এক বছর আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসলে নাঈম তার এন্ড্র্রয়েড মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বহু দেন দরবার করেও তা উদ্ধার করতে তিনি ব্যর্থ হন।
ওই গ্রামের আসাদ শেখ জানান, নাঈম ও তার ভাই কাইছুম বহু মানুষকে বাড়িতে এনে জিম্মি করে টাকা আদায় করতো। তাদের নামে কাপাসিয়া ও আশপাশের বিভিন্ন থানায় বহু মামলা চলমান রয়েছে। তাই এলাকার লোকজন তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গণপিটুনি দিয়ে নাঈমকে হত্যা করেছে।
নাঈমের বাড়িতে পরিবারের লোকজন না থাকায় এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার জেরে এলাকার লোকজন জরো হয়ে নাঈমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। নাঈমের নামে কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বজনদের আবেদন পেলে এ বিষয়ে মামলা নেয়া হবে।