alt

সারাদেশ

৪৫ বছর ধরে পথে পথে বাঁশি বিক্রি করে সংসার চালান বাবলু

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

জীবনের বাঁশির সুর মানব জীবনের দুঃখ-আনন্দ, প্রেম-বিরহ এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ করে। তাই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সঙ্গে পোড়াদহের বংশীবাদক বাবলুর জীবন যেন এক সূত্রে গাঁথা। প্রায় মাঝে মাঝে বংশীবাদক বাবলুকে দেখা যায় চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনাসহ বিভিন্ন শহরে ও গ্রামগঞ্জে। ঠিক তেমনি মঙ্গলবার ১ জুলাই দেখা মেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজ সড়কে।

জীবনের ৪৫ বছর বাঁশি বাজিয়ে ও বিক্রি করে পার করছেন পোড়াদহের ইয়াকুব আলীর ছেলে বাবলু।

বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে শহর, গ্রাম, রেলস্টেশন আর পথে পথে ঘুরে বাঁশির সুর তুলে বিক্রি করছেন বাঁশের বাঁশি। প্রকারভেদে প্রতিটি বাঁশি বিক্রি করেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। কীভাবে বাঁশি বাজাতে হয় তা আবার ক্রেতাকে সুন্দরভাবে শিখিয়ে দেন। সেই ১৫ বছর বয়সে গ্রামের ওস্তাদ ইগ্রাফিলের কাছে বাবলুর বাঁশি বাজানো শেখা। সেই থেকে সুরও আয়ত্ত করেছেন কয়েকশ গানের। পল্লিগীতি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, বিচ্ছেদ ও পুরোনো বাংলা সিনেমার গানের সুরও তুলতে পারেন বাবলু।

দীর্ঘদিন পথে পথে, বাজারে, রেলস্টেশনে, পার্কে, বাঁশি বিক্রি করেন। অনেক সময় বাঁশি বাজিয়েও অনেকে টাকা দেন শ্রোতারা। কীভাবে বাঁশি বাজাতে হয়, তা আবার ক্রেতাকে শিখিয়ে দেন। এদিয়ে যা আয় হয়। তাই দিয়ে সংসার চালান বাবলু। দুই মেয়ে ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। লেখাপড়া তেমন কিছু জানলেও প্রাথমিক গন্ডি পার করতে পারিনি।

জন্মের পর থেকেই দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত বাবলু যার কারণে পড়ালেখা হয়নি। অল্প বয়স থেকেই আয় রোজগারের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে তাকে। এখনো তাই বেশি আয়ের আশায় এক শহর থেকে আরেক শহর ও এক গ্রাম হতে অন্য গ্রামের পথে পথে সংসারের ব্যয় মিটানোর জন্য বাঁশি বিক্রি করে থাকেন বাবলু। বাঁশি বিক্রি করে যা আয় হয় তাদিয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার চালান বাবলু।

বাবলু বলেন, প্রতিদিন সকালে পোড়াদহ হতে ট্রেন যোগ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শহরে ও গ্রামে বাঁশি বাজিয়ে, বাঁশি বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন গড়ে খরচ খরচা বাদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা থাকে। তা দিয়ে কোনমতে সাংসার চলে যায়। পথে পথে ঘুরে বাঁশির সুর তোলা আর মানুষকে আকৃষ্ট করাই আমার ব্যবসা। কেউ বাঁশি শুনে খুশি হয়ে এক কাপ চা খেতে বলে। আবার কেহ বকশিস দেয়। কেউবা বাঁশি কিনে নেয়।

এ সময় বাবলু আক্ষেপ করে বলেন, অনিশ্চিত জীবন নিয়েই দেশের দরিদ্র মানুষ বেঁচে আছেন। জন্মই যেন আজন্ম পাপ। তাই অনেক সময় নীরবে বসে বসে কাদে আর বেদনার সুর তোলেন এই বংশীবাদক। কথা শেষ হতেই বাঁশিতে সুর তোলেন, পুরাতন সিনেমার গান ‘ওরে ও বাঁশি আওয়লা আমারি মনে জালা, সইতে যে আর পারি না, পিরিত মানেই যন্ত্রণা।’

ছবি

পাবনায় শিক্ষকের চড়ে শিশুশিক্ষার্থীর নাক ফাটল, হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএ কমান্ডারসহ নিহত ২

ছবি

এনসিপি-‘বৈষম্যবিরোধীদের ’ আন্দোলনের মুখে পটিয়া থানার ওসি প্রত্যাহার

ছবি

বিতর্কিত মন্তব্যে চাকরি হারালেন সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

ছবি

মধুপুর শালবনে মিলল বিরল প্রজাতির কেলিকদম গাছ

ছবি

ভালুকায় বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ

চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফিজিওথেরাপি সেন্টার প্রতিবন্ধীদের বিশ্বস্ত ঠিকানা

জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বিধবা কাজল রাণী

বিরামপুরে ৮ মাস পর মরদেহ উত্তোলন

মাদারগঞ্জে সরকারি জমিতে বদরুলের ৭ তলা ভবন!

দোহারে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

নোয়াখালীতে চালের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

ঘাটাইলের রানাদহ বিলে দেখা মিলল শামুকখোল পাখির

ফের ভাঙনের মুখে গুয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

দোহারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু

কাপাসিয়ায় মাদকসেবীকে পিটিয়ে হত্যা

মহেশপুরে বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালগাছ রোপণ

ছবি

লামায় পাহাড় কাটার মহোৎসব ২ ইটভাটায় ২ লাখ টাকা জরিমানা

চলন্ত পাঠাগারের বই আড্ডা

উলিপুরে গাছচাপায় নৈশপ্রহরীর মৃত্যু

ছবি

মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে বিদেশি বাণিজ্য জাহাজ

হাতিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৪

ছবি

নয়াবাড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আগেই খুন হলেন বিএনপি নেতা হারুন

মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন

হলি আর্টিজানে নিহত এসি রবিউলের মৃত্যুবার্ষিকী মানিকগঞ্জে পালিত

ছবি

ফের গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়ক বেহাল

গাংনী সড়কে ডাকাতি, ককটেল বিস্ফোরণ

দেওয়ানগঞ্জে ডিবি পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে আসামি ছিনতাই

ডিপিএড প্রশিক্ষণের বকেয়া ভাতায় শিক্ষক নেতাদের ঘুষ বাণিজ্য

টঙ্গীবাড়ীতে খাল উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সংকটে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে জারের পানির ওপর

কমলনগরে নামজারিতে জাল খতিয়ান দাখিল করায় যুবক দণ্ডিত

পাকুন্দিয়ায় ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি, তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোয়ালখালীতে৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

জুলাই বিপ্লব নিয়ে পুলিশ সদস্যের কটূক্তি

ছবি

শিবগঞ্জ মহাস্থান হাটের কাঁঠাল যাচ্ছে সারাদেশে

tab

সারাদেশ

৪৫ বছর ধরে পথে পথে বাঁশি বিক্রি করে সংসার চালান বাবলু

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

জীবনের বাঁশির সুর মানব জীবনের দুঃখ-আনন্দ, প্রেম-বিরহ এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ করে। তাই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সঙ্গে পোড়াদহের বংশীবাদক বাবলুর জীবন যেন এক সূত্রে গাঁথা। প্রায় মাঝে মাঝে বংশীবাদক বাবলুকে দেখা যায় চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনাসহ বিভিন্ন শহরে ও গ্রামগঞ্জে। ঠিক তেমনি মঙ্গলবার ১ জুলাই দেখা মেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কলেজ সড়কে।

জীবনের ৪৫ বছর বাঁশি বাজিয়ে ও বিক্রি করে পার করছেন পোড়াদহের ইয়াকুব আলীর ছেলে বাবলু।

বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে শহর, গ্রাম, রেলস্টেশন আর পথে পথে ঘুরে বাঁশির সুর তুলে বিক্রি করছেন বাঁশের বাঁশি। প্রকারভেদে প্রতিটি বাঁশি বিক্রি করেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। কীভাবে বাঁশি বাজাতে হয় তা আবার ক্রেতাকে সুন্দরভাবে শিখিয়ে দেন। সেই ১৫ বছর বয়সে গ্রামের ওস্তাদ ইগ্রাফিলের কাছে বাবলুর বাঁশি বাজানো শেখা। সেই থেকে সুরও আয়ত্ত করেছেন কয়েকশ গানের। পল্লিগীতি, ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, বিচ্ছেদ ও পুরোনো বাংলা সিনেমার গানের সুরও তুলতে পারেন বাবলু।

দীর্ঘদিন পথে পথে, বাজারে, রেলস্টেশনে, পার্কে, বাঁশি বিক্রি করেন। অনেক সময় বাঁশি বাজিয়েও অনেকে টাকা দেন শ্রোতারা। কীভাবে বাঁশি বাজাতে হয়, তা আবার ক্রেতাকে শিখিয়ে দেন। এদিয়ে যা আয় হয়। তাই দিয়ে সংসার চালান বাবলু। দুই মেয়ে ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে তার সংসার। লেখাপড়া তেমন কিছু জানলেও প্রাথমিক গন্ডি পার করতে পারিনি।

জন্মের পর থেকেই দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত বাবলু যার কারণে পড়ালেখা হয়নি। অল্প বয়স থেকেই আয় রোজগারের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে তাকে। এখনো তাই বেশি আয়ের আশায় এক শহর থেকে আরেক শহর ও এক গ্রাম হতে অন্য গ্রামের পথে পথে সংসারের ব্যয় মিটানোর জন্য বাঁশি বিক্রি করে থাকেন বাবলু। বাঁশি বিক্রি করে যা আয় হয় তাদিয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার চালান বাবলু।

বাবলু বলেন, প্রতিদিন সকালে পোড়াদহ হতে ট্রেন যোগ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শহরে ও গ্রামে বাঁশি বাজিয়ে, বাঁশি বিক্রি করে থাকি। প্রতিদিন গড়ে খরচ খরচা বাদে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা থাকে। তা দিয়ে কোনমতে সাংসার চলে যায়। পথে পথে ঘুরে বাঁশির সুর তোলা আর মানুষকে আকৃষ্ট করাই আমার ব্যবসা। কেউ বাঁশি শুনে খুশি হয়ে এক কাপ চা খেতে বলে। আবার কেহ বকশিস দেয়। কেউবা বাঁশি কিনে নেয়।

এ সময় বাবলু আক্ষেপ করে বলেন, অনিশ্চিত জীবন নিয়েই দেশের দরিদ্র মানুষ বেঁচে আছেন। জন্মই যেন আজন্ম পাপ। তাই অনেক সময় নীরবে বসে বসে কাদে আর বেদনার সুর তোলেন এই বংশীবাদক। কথা শেষ হতেই বাঁশিতে সুর তোলেন, পুরাতন সিনেমার গান ‘ওরে ও বাঁশি আওয়লা আমারি মনে জালা, সইতে যে আর পারি না, পিরিত মানেই যন্ত্রণা।’

back to top