যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত এক অসহায় মা ও মেয়ের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য (মেম্বর) লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে।
দুই বছরের জালিয়াতির পর গত সোমবার ধরা পড়েছেন তিনি। তবে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় সে।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে গত দুইবছর আগে ভিজিডি কার্ড করে। ওই কার্ড দেখিয়ে লিয়াকত প্রতিমাসে ৬০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। যা কারও জানা ছিলো না। গত ছয়মাস ধরে এ চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এর মাঝে গত রোববার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাজেদা ও তার মেয়েকে ফোন করে চাল নিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তারা হতবাক হয়ে যান। তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানান ওই চাল তারা আজঅব্দি পাননি। তবে মেম্বরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। এক পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মা ও মেয়ের কাছে ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা ওই চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত মেম্বার। এক পর্যায় ওই চাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি গত সোমবার সকালে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ লোকজন লিয়াকতের বাড়ি ঘেরাও করে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশও। তোপের মুখে সটকে পরে লিয়াকত। পরে ওই ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেয়া হয় মা ও মেয়েকে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় তালিকাভুক্ত এক অসহায় মা ও মেয়ের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য (মেম্বর) লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে।
দুই বছরের জালিয়াতির পর গত সোমবার ধরা পড়েছেন তিনি। তবে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় সে।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার লিয়াকত আলী সামটা গ্রামের গোলাম হোসেন গোপালের স্ত্রী সাজেদা খাতুন ও তার মেয়ে সাবিকুন নাহারের নামে গত দুইবছর আগে ভিজিডি কার্ড করে। ওই কার্ড দেখিয়ে লিয়াকত প্রতিমাসে ৬০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন। যা কারও জানা ছিলো না। গত ছয়মাস ধরে এ চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
এর মাঝে গত রোববার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাজেদা ও তার মেয়েকে ফোন করে চাল নিয়ে যেতে বলেন। এ সময় তারা হতবাক হয়ে যান। তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জানান ওই চাল তারা আজঅব্দি পাননি। তবে মেম্বরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পরে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। এক পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মা ও মেয়ের কাছে ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা ওই চাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেন সেই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত মেম্বার। এক পর্যায় ওই চাল তিনি নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বিষয়টি গত সোমবার সকালে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ লোকজন লিয়াকতের বাড়ি ঘেরাও করে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশও। তোপের মুখে সটকে পরে লিয়াকত। পরে ওই ১২ বস্তা চাল বুঝিয়ে দেয়া হয় মা ও মেয়েকে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে চাল উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের বুঝিয়ে দিয়েছে।