রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর মোহনায় জালে ধরা পড়েছে ২৯ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। মাছটি দৌলতদিয়া শাকিল সোহান আড়তের স্বত্বাধিকারীরা সম্রাট শাজাহান শেখ কিনে নেন ৪০ হাজার ৬ শত টাকায়।
বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারাবছরই পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝেই ধরা পড়ে ছোট মাছ। মাছটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করলে ঢাকার এক সৌখিন মাছ ক্রেতা ১৫শ’ টাকা দরে ৪৩ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে নেন
গত বুধবার সকাল দশটার দিকে পাটুরিয়া এলাকায় কবির হোসেন এর জালে মাছটি ধরা পরে।
মাছটি ধরা পড়ার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে জেলের সঙ্গে কথা বলে মাছটি ১৪ শত টাকা দরে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, ‘মাছটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে যোগাযোগ করি এরপর ঢাকার এক সৌখিন মাছ ক্রেতা ১৫ শত টাকা দরে ৪৩ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে নেন।
জানা যায়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর আওতায় বাগাড় মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। কেউ তা অমান্য করলে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডও হতে পারে। কিন্তু তা মানছেন না গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা এলাকার জেলারা সরজমিন দৌলতদিয়া মাছ বাজার গিয়ে দেখা যায়, নৌপুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এ মাছ বিক্রি হচ্ছে । বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সারাবছরই দৌলতদিয়া মাছ বাজারে বিক্রয় হয় ছোট বড় বাগাড় মাছ। ।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৌলতদিয়ায় এখন বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারাবছরই পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝেই ধরা পড়ে ছোট মাছ। বাগাড় মাছ বেচাকেনা শাস্তিযোগ্যে হলেও মৎস্য বিভাগ নীরব থাকার বিষয়ে এই মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও মৎস্য বিভাগ এখানে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ বাগাড় মাছ হলেও আইনটা বন্য প্রাণী আইন। এ কারণে মৎস্য বিভাগের জন্য আইনটা যথাযথ নয়।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর মোহনায় জালে ধরা পড়েছে ২৯ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। মাছটি দৌলতদিয়া শাকিল সোহান আড়তের স্বত্বাধিকারীরা সম্রাট শাজাহান শেখ কিনে নেন ৪০ হাজার ৬ শত টাকায়।
বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারাবছরই পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝেই ধরা পড়ে ছোট মাছ। মাছটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করলে ঢাকার এক সৌখিন মাছ ক্রেতা ১৫শ’ টাকা দরে ৪৩ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে নেন
গত বুধবার সকাল দশটার দিকে পাটুরিয়া এলাকায় কবির হোসেন এর জালে মাছটি ধরা পরে।
মাছটি ধরা পড়ার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে জেলের সঙ্গে কথা বলে মাছটি ১৪ শত টাকা দরে কিনে নেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ।
মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, ‘মাছটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে যোগাযোগ করি এরপর ঢাকার এক সৌখিন মাছ ক্রেতা ১৫ শত টাকা দরে ৪৩ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে নেন।
জানা যায়, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর আওতায় বাগাড় মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। কেউ তা অমান্য করলে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডও হতে পারে। কিন্তু তা মানছেন না গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা এলাকার জেলারা সরজমিন দৌলতদিয়া মাছ বাজার গিয়ে দেখা যায়, নৌপুলিশ ফাঁড়ির কাছেই এ মাছ বিক্রি হচ্ছে । বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, সারাবছরই দৌলতদিয়া মাছ বাজারে বিক্রয় হয় ছোট বড় বাগাড় মাছ। ।
গোয়ালন্দ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৌলতদিয়ায় এখন বর্ষা মৌসুম ছাড়াও সারাবছরই পদ্মা নদীতে মাঝে মাঝেই ধরা পড়ে ছোট মাছ। বাগাড় মাছ বেচাকেনা শাস্তিযোগ্যে হলেও মৎস্য বিভাগ নীরব থাকার বিষয়ে এই মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী বিপন্ন প্রাণী ধরা বা কেনাবেচা দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও মৎস্য বিভাগ এখানে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ বাগাড় মাছ হলেও আইনটা বন্য প্রাণী আইন। এ কারণে মৎস্য বিভাগের জন্য আইনটা যথাযথ নয়।