আদমদীঘি (বগুড়া) : সড়কে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধের পথে -সংবাদ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার খাদ্য বিভাগের অতি গুরুত্বপূর্ণ সান্তাহার সাইলো সড়কের আরও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কজুড়ে একাধিক খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় সেগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পন্যবোঝাই ট্রাক চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় অধিকাংশ জায়গার, পাথর, ইট খোয়া উঠে গিয়ে পানি জমেছে। ট্রাক চালকরা ওই সড়কে পণ্য বোঝাই ট্রাক চালাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করছেন বলে পরিবহন ঠিকাদারদের সূত্রে জানা জানা গেছে । ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্তাহারে নতুন আরেকটি সাইলো উদ্বোধনের জন্য আসলে সে সময় সড়কটি আংশিক সংস্কার করা হয় । এরপর প্রায় নয় বছর অতিবাহিত হলেও খাদ্য বিভাগ সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যেগ গ্রহণ করেনি । বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙাচুড়া এই সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা,নষ্ট হচ্ছে খাদ্য পণ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার সাইলো সড়ক দিয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি সাইলো (একটি গম ও একটি চাল) ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার গুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য অসংখ্য পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে । এছাড়া এই সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহর, সান্তাহার ইউনিয়ন ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করে। বর্তমানে সাড়ে তিন কিলোমিটার এই সড়কের সাইলো থেকে শুরু করে সান্তাহার শহরের খাঁড়ির ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেশিরভাগ স্থানে পাথর, ইট ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । বর্তমানে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায়র পর থেকে সড়কের গর্তগুলোতে সার্বক্ষণিক জমে থাকছে বৃষ্টির পানি। সান্তাহার শহরের ট্রাক মালিক মঞ্জু ইসলাম বলেন, সাইলো ও সার গুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য ওই সড়ক দিয়ে অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে । বর্তমানে সাইলো সড়কের যে বেহাল দশা তাতে করে কোন ট্রাক মালিক ওই সড়কে ট্রাক দিতে চায় না । তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তার একটি চাল বোঝাই ট্রাক সড়কের গর্তে পড়ে যায় । এতে করে ট্রাকের চালক ও সহযোগী আহত হন । এখন এই রাস্তা দিয়ে সার নিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে পড়তে হয় । কোন সময় সার বোঝাই ট্রাক গর্তে পড়ে গেলে সার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায় ।
ট্রাক চালক শামিম হোসেন বলেন, তিন কিলোমিটার পাড়ি দিতে এক ঘন্টা সময় লাগে । এর কারণে এক দিকে সময় অপচয় হয় অন্যদিকে ট্রাকের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় । সড়কটি সাইলোর হলেও প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে । বর্তমানে সড়কের যে হাল হয়েছে তাতে করে কোন যানবাহন সাইলো সড়ক দিয়ে যেতে চায়না । কিন্তু এই সকল গ্রামের মানুষের সান্তাহার শহরে যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন সড়ক নেই । তাই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটলেও কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক দিয়েই বিভিন্ন যানবাহনে স্কুল,কলেজ,ষ্টেশন ও হাটবাজারে যাতায়াত করে ।
সান্তাহার সাইলোর অধিক্ষক (সুপারিনটেনডেন্ট) শাহারিয়ার মো. সালাউদ্দীন জানান, সড়টির সংস্কারের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে করা হয়েছে । সড়কের অবস্থা নিয়ে সকলেই সংকটে রয়েছে । আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে ।
আদমদীঘি (বগুড়া) : সড়কে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধের পথে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার খাদ্য বিভাগের অতি গুরুত্বপূর্ণ সান্তাহার সাইলো সড়কের আরও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কজুড়ে একাধিক খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় সেগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পন্যবোঝাই ট্রাক চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের প্রায় অধিকাংশ জায়গার, পাথর, ইট খোয়া উঠে গিয়ে পানি জমেছে। ট্রাক চালকরা ওই সড়কে পণ্য বোঝাই ট্রাক চালাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করছেন বলে পরিবহন ঠিকাদারদের সূত্রে জানা জানা গেছে । ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্তাহারে নতুন আরেকটি সাইলো উদ্বোধনের জন্য আসলে সে সময় সড়কটি আংশিক সংস্কার করা হয় । এরপর প্রায় নয় বছর অতিবাহিত হলেও খাদ্য বিভাগ সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যেগ গ্রহণ করেনি । বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙাচুড়া এই সড়কে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা,নষ্ট হচ্ছে খাদ্য পণ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার সাইলো সড়ক দিয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি সাইলো (একটি গম ও একটি চাল) ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সার গুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য অসংখ্য পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে । এছাড়া এই সড়ক দিয়ে সান্তাহার পৌর শহর, সান্তাহার ইউনিয়ন ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করে। বর্তমানে সাড়ে তিন কিলোমিটার এই সড়কের সাইলো থেকে শুরু করে সান্তাহার শহরের খাঁড়ির ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের বেশিরভাগ স্থানে পাথর, ইট ও খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । বর্তমানে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায়র পর থেকে সড়কের গর্তগুলোতে সার্বক্ষণিক জমে থাকছে বৃষ্টির পানি। সান্তাহার শহরের ট্রাক মালিক মঞ্জু ইসলাম বলেন, সাইলো ও সার গুদামে মালামাল পরিবহনের জন্য ওই সড়ক দিয়ে অসংখ্য ট্রাক চলাচল করে । বর্তমানে সাইলো সড়কের যে বেহাল দশা তাতে করে কোন ট্রাক মালিক ওই সড়কে ট্রাক দিতে চায় না । তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তার একটি চাল বোঝাই ট্রাক সড়কের গর্তে পড়ে যায় । এতে করে ট্রাকের চালক ও সহযোগী আহত হন । এখন এই রাস্তা দিয়ে সার নিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে পড়তে হয় । কোন সময় সার বোঝাই ট্রাক গর্তে পড়ে গেলে সার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায় ।
ট্রাক চালক শামিম হোসেন বলেন, তিন কিলোমিটার পাড়ি দিতে এক ঘন্টা সময় লাগে । এর কারণে এক দিকে সময় অপচয় হয় অন্যদিকে ট্রাকের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় । সড়কটি সাইলোর হলেও প্রায় ২০ থেকে ২৫টি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করে । বর্তমানে সড়কের যে হাল হয়েছে তাতে করে কোন যানবাহন সাইলো সড়ক দিয়ে যেতে চায়না । কিন্তু এই সকল গ্রামের মানুষের সান্তাহার শহরে যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন সড়ক নেই । তাই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটলেও কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক দিয়েই বিভিন্ন যানবাহনে স্কুল,কলেজ,ষ্টেশন ও হাটবাজারে যাতায়াত করে ।
সান্তাহার সাইলোর অধিক্ষক (সুপারিনটেনডেন্ট) শাহারিয়ার মো. সালাউদ্দীন জানান, সড়টির সংস্কারের বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে করা হয়েছে । সড়কের অবস্থা নিয়ে সকলেই সংকটে রয়েছে । আশা করছি অল্প দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হবে ।