শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন
নওগাঁরর বদলগাছী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ চেয়ার দখল নিতে অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর মধ্যে চলছে রশিটানাটানি। কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে চেয়ারে বসে ছিলেন মাহাবুব আলম সেই অবস্থায় ঐ কলেজের জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন সে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবী করে অধ্যক্ষকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলেন তাকে। কিন্তু মাহাবুব আলম চেয়ার ছেড়ে না দিলে একটি চেয়ার নিয়ে অধ্যক্ষের পাশে বসে ইমামুল হোসেন বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি করেছে। তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, গত রবিবার বদলগাছী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসএসি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা খাতা জমা দিচ্ছে। এমন সময় জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে অধ্যক্ষ মাহবুব আলমেকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বললে তিনি চেয়ার না ছাড়লে তিনি তার পাশের চেয়ারে বসে পড়েন। ঠিক তখনই দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মহুর্তেই মধ্যেই রূপ নেয় হাতাহাতিতে। এর পর কলেজের দুই-চার জন শিক্ষক নিজেদের অধ্যক্ষ দাবি করে চেয়ারে বসে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইমামুল হোসেন কলেজ থেকে বেড়িয়ে যায়। দুই গ্রুপের অধ্যক্ষের চেয়ার দখল নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টির খবর বাহিরে ছড়িয়ে পড়লে আশে পাশের লোকজন এসে ভীড় করে কলেজ গেটে।
বদলগাছী মহিলা কলেজ সুত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ আগষ্ট বদলগাছী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মিছিল মিটিং করে ঐ কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুব হাসান অধ্যক্ষের পদ থেকে মাহবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কলেজের অধ্যক্ষর পদটি শূন্য দেখা দিলে নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান সহকারী অধ্যাপক মমতাজ জাহানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ মাহবুব আলম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এডহক কমিটির বিরদ্ধে আবেদন করলে জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয় জোরপূর্বক পদত্যাগ বিধি সম্মত নয় মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিধি মোতাবেক বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে অনুমোদন করে। সভাপতি হওয়ার পর এডহক কমিটির সভাপতি অন্য সব সদস্যদের নিয়ে গত ৮ মে সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ মাহবুব আলমকে তার পদে বহাল করেন।
এ বিষয়ে জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে বলেন, হাইকোর্টে রিট করলে বর্তমান এডহক কমিটিকে স্থগিত করে পূর্বের কমিটিকেই দায়িত্ব দিয়েছে। যার ফলে পূর্বের সভাপতি লুৎফর রহমান আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেই। তাই বদলগাছী মহিলা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়েছি।
তৎকালীন এডহক কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমান এডহক কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট এই এডহক কমিটিকে স্থগিত করে রায় দেন। এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পূর্বের এডহক কমিটির মেয়াদ ৩ মাস বৃদ্ধি করে। এ অবস্থায় আমি বৈধ সভাপতি হিসাবে জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছি।
বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব আলম বলেন, আমার কাছে তারা কোন পরিপত্র দেখাতে পারেনি। শুধু হাইকোর্টে রিট করেছে হাইকোর্ট বর্তমান এডহক কমিটির উপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে । রিট শুনানি না হতেই পূর্বের কমিটি কিভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারে। এছাড়া জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পূর্বের কমিটি পরিবর্তন করে গত ৭ মে ফজলে হুদা বাবুলকে এডহক কমিটির সভাপতি অনুমোদন দিয়েছেন। পূবর্রে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির কোন প্রমান নেই।
এডহক কমিটির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, হাইকোর্টে রিট করেছে দুই পক্ষের শুনানী হবে। রায় যার পক্ষে যাবে সেই ঐ চেয়ারে বসবে। তার আগেই চেয়ার দখলের চেষ্টা এটা সত্যিই দুঃখজনক।
শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
নওগাঁরর বদলগাছী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ চেয়ার দখল নিতে অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর মধ্যে চলছে রশিটানাটানি। কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে চেয়ারে বসে ছিলেন মাহাবুব আলম সেই অবস্থায় ঐ কলেজের জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন সে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবী করে অধ্যক্ষকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলেন তাকে। কিন্তু মাহাবুব আলম চেয়ার ছেড়ে না দিলে একটি চেয়ার নিয়ে অধ্যক্ষের পাশে বসে ইমামুল হোসেন বলেন, এডহক কমিটির সভাপতি তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি করেছে। তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, গত রবিবার বদলগাছী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসএসি পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা খাতা জমা দিচ্ছে। এমন সময় জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে অধ্যক্ষ মাহবুব আলমেকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বললে তিনি চেয়ার না ছাড়লে তিনি তার পাশের চেয়ারে বসে পড়েন। ঠিক তখনই দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মহুর্তেই মধ্যেই রূপ নেয় হাতাহাতিতে। এর পর কলেজের দুই-চার জন শিক্ষক নিজেদের অধ্যক্ষ দাবি করে চেয়ারে বসে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইমামুল হোসেন কলেজ থেকে বেড়িয়ে যায়। দুই গ্রুপের অধ্যক্ষের চেয়ার দখল নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টির খবর বাহিরে ছড়িয়ে পড়লে আশে পাশের লোকজন এসে ভীড় করে কলেজ গেটে।
বদলগাছী মহিলা কলেজ সুত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ আগষ্ট বদলগাছী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মিছিল মিটিং করে ঐ কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুব হাসান অধ্যক্ষের পদ থেকে মাহবুব আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কলেজের অধ্যক্ষর পদটি শূন্য দেখা দিলে নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান সহকারী অধ্যাপক মমতাজ জাহানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ মাহবুব আলম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এডহক কমিটির বিরদ্ধে আবেদন করলে জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয় জোরপূর্বক পদত্যাগ বিধি সম্মত নয় মর্মে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে । জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিধি মোতাবেক বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলকে এডহক কমিটির সভাপতি হিসাবে অনুমোদন করে। সভাপতি হওয়ার পর এডহক কমিটির সভাপতি অন্য সব সদস্যদের নিয়ে গত ৮ মে সভার সিদ্ধান্তের আলোকে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষ মাহবুব আলমকে তার পদে বহাল করেন।
এ বিষয়ে জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেন নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করে বলেন, হাইকোর্টে রিট করলে বর্তমান এডহক কমিটিকে স্থগিত করে পূর্বের কমিটিকেই দায়িত্ব দিয়েছে। যার ফলে পূর্বের সভাপতি লুৎফর রহমান আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেই। তাই বদলগাছী মহিলা কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়েছি।
তৎকালীন এডহক কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, বর্তমান এডহক কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট এই এডহক কমিটিকে স্থগিত করে রায় দেন। এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পূর্বের এডহক কমিটির মেয়াদ ৩ মাস বৃদ্ধি করে। এ অবস্থায় আমি বৈধ সভাপতি হিসাবে জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক ইমামুল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছি।
বর্তমান কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুব আলম বলেন, আমার কাছে তারা কোন পরিপত্র দেখাতে পারেনি। শুধু হাইকোর্টে রিট করেছে হাইকোর্ট বর্তমান এডহক কমিটির উপর ৩ মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে । রিট শুনানি না হতেই পূর্বের কমিটি কিভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারে। এছাড়া জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পূর্বের কমিটি পরিবর্তন করে গত ৭ মে ফজলে হুদা বাবুলকে এডহক কমিটির সভাপতি অনুমোদন দিয়েছেন। পূবর্রে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির কোন প্রমান নেই।
এডহক কমিটির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, হাইকোর্টে রিট করেছে দুই পক্ষের শুনানী হবে। রায় যার পক্ষে যাবে সেই ঐ চেয়ারে বসবে। তার আগেই চেয়ার দখলের চেষ্টা এটা সত্যিই দুঃখজনক।