গত কয়েক মাসে বরিশাল অঞ্চলে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে প্রায় ৪৭ হাজার টন চাল ও আটা বিক্রির পরও বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।
ভর্তুকি মূল্যে চাল-আটা বিক্রির পরেও বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ওএমএস কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাজারে নিয়মিত নজরদারি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো উপায়ে চালের বাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সরকার ওএমএস কর্মসূচির আওতায় খোলা বাজারে ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে। গত মাসে এ কারণে চালের দাম কিছুটা কমলেও জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আবারও দাম বেড়েছে।
বর্তমানে বরিশাল মহানগরীতে ১০টি ট্রাক ও ৩০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা দরে আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৫৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫৬ টন চাল ও ৯৩ টন আটা বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলে প্রায় ১৯ হাজার টন চাল ও ১০ হাজার টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া টিসিবির ৪ লাখ কার্ডধারী পরিবার প্রতি মাসে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন ৩০ টাকা দরে। গত ছয় মাসে এসব পরিবার পেয়েছে ১১ হাজার ৩৭৫ টন চাল। পাশাপাশি ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ১৫ টাকা দরে প্রায় ৫ লাখ পরিবারের মাঝে চাল সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গত অক্টোবরের ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, সমুদ্র ও নদীতে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা এবং ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বরিশাল অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ জেলে পরিবারকে প্রায় ২০ হাজার টন চাল বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
তবুও বোরো মৌসুমে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বরিশালে এখন মোটা চালের দাম কেজিতে ৫০ টাকার ওপরে, ব্রি-২৮ চালের দাম ৬০ টাকা এবং মিনিকেট চালের দাম প্রায় ৭৮ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চালের বাজারই বরিশালের বাজার পরিস্থিতির মানদ- হিসেবে বিবেচিত হয়। চালের দাম বাড়ায় জনমনে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা আবারও উবে গেছে।
স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির এত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
তারা মনে করছেন, বর্তমান কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা এবং মিল থেকে খুচরা বিক্রির প্রতিটি স্তরে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
গত কয়েক মাসে বরিশাল অঞ্চলে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে প্রায় ৪৭ হাজার টন চাল ও আটা বিক্রির পরও বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।
ভর্তুকি মূল্যে চাল-আটা বিক্রির পরেও বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ওএমএস কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাজারে নিয়মিত নজরদারি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো উপায়ে চালের বাজারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সরকার ওএমএস কর্মসূচির আওতায় খোলা বাজারে ভর্তুকি মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করছে। গত মাসে এ কারণে চালের দাম কিছুটা কমলেও জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আবারও দাম বেড়েছে।
বর্তমানে বরিশাল মহানগরীতে ১০টি ট্রাক ও ৩০ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা দরে আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৫৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৫৬ টন চাল ও ৯৩ টন আটা বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাসে এই অঞ্চলে প্রায় ১৯ হাজার টন চাল ও ১০ হাজার টন আটা বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া টিসিবির ৪ লাখ কার্ডধারী পরিবার প্রতি মাসে ৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন ৩০ টাকা দরে। গত ছয় মাসে এসব পরিবার পেয়েছে ১১ হাজার ৩৭৫ টন চাল। পাশাপাশি ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ১৫ টাকা দরে প্রায় ৫ লাখ পরিবারের মাঝে চাল সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গত অক্টোবরের ইলিশ প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, সমুদ্র ও নদীতে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা এবং ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বরিশাল অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ জেলে পরিবারকে প্রায় ২০ হাজার টন চাল বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।
তবুও বোরো মৌসুমে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বরিশালে এখন মোটা চালের দাম কেজিতে ৫০ টাকার ওপরে, ব্রি-২৮ চালের দাম ৬০ টাকা এবং মিনিকেট চালের দাম প্রায় ৭৮ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চালের বাজারই বরিশালের বাজার পরিস্থিতির মানদ- হিসেবে বিবেচিত হয়। চালের দাম বাড়ায় জনমনে যে স্বস্তি ফিরেছিল, তা আবারও উবে গেছে।
স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির এত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
তারা মনে করছেন, বর্তমান কার্যক্রম ইউনিয়ন পর্যায়ে বিস্তৃত করা এবং মিল থেকে খুচরা বিক্রির প্রতিটি স্তরে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে চালের ঊর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতে পারে।