রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনিকে ধরতে নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় রনি যুবদলের এক নেতাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। এত কষ্ট করে লাভ নেই, আমাকে পাবেন না।’
জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের পতনের দিন থেকেই আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগ নেতা রনি। এরপর তিনি দেশত্যাগও করেন। তবে সম্প্রতি তার অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়িয়ে পড়লে যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তার উপস্থিতির সন্দেহে ভবনটি ঘিরে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের একটি টহল দল এবং শুরু হয় তল্লাশি।
এ সময় রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোকে ফোন করেন রনি। ফোনে তিনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করছেন! আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না। সময় হলে আমি নিজেই আত্মসমর্পণ করব।’
জবাবে ডিকো বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আপনি আত্মসমর্পণ করুন। নিজের দোষ স্বীকার করুন। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি।’
এর জবাবে রনি বলেন, ‘যদি অন্যায় করি, আল্লাহ বিচার করবেন।
এরমধ্যে ডিকো রনিকে প্রশ্ন করেন, ‘সিটি করপোরেশনের অস্ত্র আপনার ছিল, না মেয়র সাহেবের আপনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে আছে।’
রনি পাল্টা জবাবে বলেন, ‘আমার হাতে অস্ত্র কোথায় দেখেছেন ভাই? ভিডিওতে দেখান, ছবিতে দেখান। বাজে কথা বলবেন না।’
ডিকো পাল্টা বলেন, ‘রাজশাহীতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরুই করেছেন আপনি।’ রনি তখন বলেন, ‘ঠিক আছে, ওপরে আল্লাহ আছেন। সত্য-মিথ্যা তিনিই জানেন।’
ফোনালাপটি বন্ধ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা ভবনের সামনের অবস্থান প্রত্যাহার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা ডিকো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এইমাত্র সে আমাকে ফোন করেছিল। আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে সে ব্যথিত হয়েছে বুঝতে পারছি। আমরা এখানে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা একসঙ্গে ছিলাম।’
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর রনির ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের তিন-চার মাস পরই আমি দেশের বাইরে চলে গেছি। যারা এখন মাঠে আছে, তারা কখনও সামনে আসার সাহস পায়নি। এখন সুযোগ বুঝে একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে, এতে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনিকে ধরতে নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় রনি যুবদলের এক নেতাকে ফোন করে বলেন, ‘আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। এত কষ্ট করে লাভ নেই, আমাকে পাবেন না।’
জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের পতনের দিন থেকেই আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগ নেতা রনি। এরপর তিনি দেশত্যাগও করেন। তবে সম্প্রতি তার অবস্থান সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে খবর ছড়িয়ে পড়লে যুবদল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি ফ্ল্যাটে তার উপস্থিতির সন্দেহে ভবনটি ঘিরে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশের একটি টহল দল এবং শুরু হয় তল্লাশি।
এ সময় রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোকে ফোন করেন রনি। ফোনে তিনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করছেন! আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না। সময় হলে আমি নিজেই আত্মসমর্পণ করব।’
জবাবে ডিকো বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আপনি আত্মসমর্পণ করুন। নিজের দোষ স্বীকার করুন। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি।’
এর জবাবে রনি বলেন, ‘যদি অন্যায় করি, আল্লাহ বিচার করবেন।
এরমধ্যে ডিকো রনিকে প্রশ্ন করেন, ‘সিটি করপোরেশনের অস্ত্র আপনার ছিল, না মেয়র সাহেবের আপনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে আছে।’
রনি পাল্টা জবাবে বলেন, ‘আমার হাতে অস্ত্র কোথায় দেখেছেন ভাই? ভিডিওতে দেখান, ছবিতে দেখান। বাজে কথা বলবেন না।’
ডিকো পাল্টা বলেন, ‘রাজশাহীতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরুই করেছেন আপনি।’ রনি তখন বলেন, ‘ঠিক আছে, ওপরে আল্লাহ আছেন। সত্য-মিথ্যা তিনিই জানেন।’
ফোনালাপটি বন্ধ হওয়ার পর নেতাকর্মীরা ভবনের সামনের অবস্থান প্রত্যাহার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা ডিকো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এইমাত্র সে আমাকে ফোন করেছিল। আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে সে ব্যথিত হয়েছে বুঝতে পারছি। আমরা এখানে যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা একসঙ্গে ছিলাম।’
ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর রনির ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের তিন-চার মাস পরই আমি দেশের বাইরে চলে গেছি। যারা এখন মাঠে আছে, তারা কখনও সামনে আসার সাহস পায়নি। এখন সুযোগ বুঝে একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে, এতে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’