হবিগঞ্জ : সড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে আছে। ফলে যানবাহন ও জনদুর্ভোগে বেহাল দশা -সংবাদ
হবিগঞ্জের হাওর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র অবলম্বন হবিগঞ্জ-সুজাতপুর আঞ্চলিক সড়ক। এটি বিভিন্ন স্থান ভেঙে বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগের সম্মূখীন হতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ লাগবে রাস্তা সংস্কার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০০১ সালে হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর, সুজাতপুর, মন্দরী, মুরাদপুর, পৈলারকান্দি ইউনিয়নসহ কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন উপজেলা ও হাওর এলাকার হাজার হাজার মানুষ হবিগঞ্জ জেলা সদরে যাত্রায়াত করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ২০০৩ সালে কাপেটিং কাজ করা হয়। এরপর রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেলে ২০২২ সালের দিকে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু ৩ বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা আঙ্গুয়ার রাস্তাটির।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কগুলো নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। মক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কসহ আগুয়া সড়কটি বর্তমানে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কের করুণ দশার ছবি পোস্ট করছেন এবং লেখালেখি করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা দক্ষিণ বানিয়াচং যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হুদা জানান, ফ্যাসিস্ট আমলে রাস্তায়
নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। কাজ ভালো না হওয়ায় ৩ বছরের ভিতরেই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি এখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না হলে জনদুর্ভোগ বাড়বেই। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হবিগঞ্জ -এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, খুব শ্রীঘই ওই সড়কটি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে মেরামতের জন্য সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হবে। অনুমোদন হলে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্রুত সড়কটি সংকার না করা হলেও জনদুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করবে। এ অবস্থায় শুকনো মওসুমের আগেই যেন সড়কটি সংস্কার করা হয় এমন দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হবিগঞ্জ : সড়কে বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে আছে। ফলে যানবাহন ও জনদুর্ভোগে বেহাল দশা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
হবিগঞ্জের হাওর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র অবলম্বন হবিগঞ্জ-সুজাতপুর আঞ্চলিক সড়ক। এটি বিভিন্ন স্থান ভেঙে বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগের সম্মূখীন হতে হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগ লাগবে রাস্তা সংস্কার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২০০১ সালে হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর, সুজাতপুর, মন্দরী, মুরাদপুর, পৈলারকান্দি ইউনিয়নসহ কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন উপজেলা ও হাওর এলাকার হাজার হাজার মানুষ হবিগঞ্জ জেলা সদরে যাত্রায়াত করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি ২০০৩ সালে কাপেটিং কাজ করা হয়। এরপর রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে গেলে ২০২২ সালের দিকে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। কিন্তু ৩ বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা আঙ্গুয়ার রাস্তাটির।
অভিযোগ রয়েছে, সড়কগুলো নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। মক্রমপুর গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কসহ আগুয়া সড়কটি বর্তমানে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কের করুণ দশার ছবি পোস্ট করছেন এবং লেখালেখি করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা দক্ষিণ বানিয়াচং যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হুদা জানান, ফ্যাসিস্ট আমলে রাস্তায়
নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। কাজ ভালো না হওয়ায় ৩ বছরের ভিতরেই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তাটি এখন যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না হলে জনদুর্ভোগ বাড়বেই। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হবিগঞ্জ -এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, খুব শ্রীঘই ওই সড়কটি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে মেরামতের জন্য সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হবে। অনুমোদন হলে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্রুত সড়কটি সংকার না করা হলেও জনদুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করবে। এ অবস্থায় শুকনো মওসুমের আগেই যেন সড়কটি সংস্কার করা হয় এমন দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।