ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : অবস্থান ধর্মঘটে মধ্যপাড়ার পাথর খনির শ্রমিকরা -সংবাদ
প্রোডাকশন প্রফিট বোনাসসহ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাজে বহালের দাবিতে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন খনি শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার থেকে খনির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া কঠিন শীলা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন তিন শিফটে শ্রমিকদের মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে কর্তৃপক্ষের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাথর উৎপাদন করেন শ্রমিকরা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও প্রাডাকশন প্রফিট বোনাস না দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় খনির ব্লাস্টার শফিকুল ইসলাম, লং ড্রিল অপারেটর রফিকুল ইসলাম, অপারেটর ওমর আলী এবং জুনিয়র হেলপার হাসান আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে এবং প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস’ এর দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত খনি শ্রমিক সোলাইমান ইসলামসহ চাকরিচ্যুত খনি শ্রমিকরা জানান, আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উৎপাদন করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ‘প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস’ দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আমরা এ ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেইসাথে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
এদিকে মধ্যপাড়া পাথর খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল থেকে খনির পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে পাথর বিক্রিসহ অন্যন্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা সরাসরি পেট্রোবাংলার অধীনে নয়, তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছে।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : অবস্থান ধর্মঘটে মধ্যপাড়ার পাথর খনির শ্রমিকরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
প্রোডাকশন প্রফিট বোনাসসহ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাজে বহালের দাবিতে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন খনি শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার থেকে খনির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া কঠিন শীলা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদিন তিন শিফটে শ্রমিকদের মাধ্যমে পাথর উত্তোলনের কাজ পরিচালনা করে আসছে। চলতি বছরের মে মাসে কর্তৃপক্ষের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাথর উৎপাদন করেন শ্রমিকরা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও প্রাডাকশন প্রফিট বোনাস না দেওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় খনির ব্লাস্টার শফিকুল ইসলাম, লং ড্রিল অপারেটর রফিকুল ইসলাম, অপারেটর ওমর আলী এবং জুনিয়র হেলপার হাসান আলীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরই প্রতিবাদে এবং প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস’ এর দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত খনি শ্রমিক সোলাইমান ইসলামসহ চাকরিচ্যুত খনি শ্রমিকরা জানান, আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পাথর উৎপাদন করেছি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ‘প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস’ দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আমরা এ ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেইসাথে চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া শ্রমিকদের পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
এদিকে মধ্যপাড়া পাথর খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে সকাল থেকে খনির পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে পাথর বিক্রিসহ অন্যন্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা সরাসরি পেট্রোবাংলার অধীনে নয়, তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি সমাধানের চেষ্টা করছে।