বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে ছবিটি তোলা -সংবাদ
বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে ভোর হলেই দেখা মেলে এক অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য। শত শত শালিক পাখির দলবদ্ধ আগমন। দিনের আলো ফুটতেই আশপাশের গাছ, বৈদ্যুতিক তার এবং দোকানের ছাদে বসে তারা অপেক্ষা করে। এরপরই দলবেঁধে তারা নেমে আসে খাবারের খোঁজে। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় তখন তৈরি হয় এক ভিন্ন আমেজ।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে ৭টার মধ্যে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। চায়ের দোকান, হোটেল, ফাস্টফুডের সামনের ফেলে দেওয়া খাবারের টুকরো কিংবা দোকানদারদের দেওয়া বিস্কুট, ভাত ও মুড়ি খেয়ে আত্মতৃপ্তিতে ঘোরে পাখিগুলো। অনেক দোকানদার এই পাখিদের আগমনের জন্য আগেভাগেই কিছু খাবার রেখে দেন। এসব দোকানদার দোকান খোলার পরপরই পাখিদের বিস্কুট,মুড়ি, কেক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। এসময় বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকা থেকে দলবেঁধে পাখি ছুটে আসে। মা বাবার সাথে ঘুরতে আসা শিশুরা পাখিদের এমন মনমুগ্ধ দৃশ্য দেখে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। অনেক পথচারী দাঁড়িয়ে মোবাইলে বন্দি করেন এসব দৃশ্য।
বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানদার খোকন হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন সকালে এমন দৃশ্য দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। পাখির কিচিরমিচিরে যেন এক মুহূর্তের জন্য শহরের কোলাহল থেমে যায়।
পরিবেশ সচেতন অনেকে বলছেন, শালিক পাখিরা সাধারণত এমন জায়গায় আসে, যেখানে তারা নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত খাবার পায়। এর মানে হলো বেতাগী শহরে এখনো পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ রয়েছে। তবে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে যত্রতত্র প্লাস্টিক ও আবর্জনা ফেলে দিলে এটি তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বেতাগী সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার সহকারি অধ্যাপক মানবেন্দ্র সাধক বলেন , শালিক পাখিদের নিয়মিত উপস্থিতি শহরের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। এটি প্রমাণ করে, মানুষ ও প্রকৃতির মাঝে এখনো একটি সেতুবন্ধন রয়ে গেছে। এই ধরনের দৃশ্য আমাদের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পশুপাখির প্রতি দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি সভাপতি মো. কামাল হোসেন খান বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পাখিদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। যাতে এমন মনোরম দৃশ্য ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া পাখি সংরক্ষণে মানুষে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গ্রামবাংলা থেকে বনজঙ্গল ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার(৩-৭-২০২৫) সকালে ছবিটি তোলা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে ভোর হলেই দেখা মেলে এক অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য। শত শত শালিক পাখির দলবদ্ধ আগমন। দিনের আলো ফুটতেই আশপাশের গাছ, বৈদ্যুতিক তার এবং দোকানের ছাদে বসে তারা অপেক্ষা করে। এরপরই দলবেঁধে তারা নেমে আসে খাবারের খোঁজে। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় তখন তৈরি হয় এক ভিন্ন আমেজ।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে ৭টার মধ্যে এই দৃশ্য চোখে পড়ে। চায়ের দোকান, হোটেল, ফাস্টফুডের সামনের ফেলে দেওয়া খাবারের টুকরো কিংবা দোকানদারদের দেওয়া বিস্কুট, ভাত ও মুড়ি খেয়ে আত্মতৃপ্তিতে ঘোরে পাখিগুলো। অনেক দোকানদার এই পাখিদের আগমনের জন্য আগেভাগেই কিছু খাবার রেখে দেন। এসব দোকানদার দোকান খোলার পরপরই পাখিদের বিস্কুট,মুড়ি, কেক ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। এসময় বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকা থেকে দলবেঁধে পাখি ছুটে আসে। মা বাবার সাথে ঘুরতে আসা শিশুরা পাখিদের এমন মনমুগ্ধ দৃশ্য দেখে আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। অনেক পথচারী দাঁড়িয়ে মোবাইলে বন্দি করেন এসব দৃশ্য।
বেতাগী বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানদার খোকন হাওলাদার বলেন, প্রতিদিন সকালে এমন দৃশ্য দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। পাখির কিচিরমিচিরে যেন এক মুহূর্তের জন্য শহরের কোলাহল থেমে যায়।
পরিবেশ সচেতন অনেকে বলছেন, শালিক পাখিরা সাধারণত এমন জায়গায় আসে, যেখানে তারা নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত খাবার পায়। এর মানে হলো বেতাগী শহরে এখনো পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ রয়েছে। তবে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে যত্রতত্র প্লাস্টিক ও আবর্জনা ফেলে দিলে এটি তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বেতাগী সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যার সহকারি অধ্যাপক মানবেন্দ্র সাধক বলেন , শালিক পাখিদের নিয়মিত উপস্থিতি শহরের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। এটি প্রমাণ করে, মানুষ ও প্রকৃতির মাঝে এখনো একটি সেতুবন্ধন রয়ে গেছে। এই ধরনের দৃশ্য আমাদের প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পশুপাখির প্রতি দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। উপজেলা শুভসংঘের সভাপতি সভাপতি মো. কামাল হোসেন খান বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পাখিদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। যাতে এমন মনোরম দৃশ্য ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া পাখি সংরক্ষণে মানুষে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গ্রামবাংলা থেকে বনজঙ্গল ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।