মোহনগঞ্জে শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্রে নেই কোন সাংস্কৃতিক কর্মকা-। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রটিতে কোন রকম কর্মসূচি না থাকায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতিক কেন্দ্রে আর যাচ্ছে না সংস্কৃতিপ্রেমি লোকজন। এতে জৌলুস হারাচ্ছে জেলার সবচেয়ে ব্যায়বহুল আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন নান্দনিক সংস্কৃতি কেন্দ্রটি। নেত্রকোনা জেলার ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত মোহনগঞ্জ পৌর শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাহাম গ্রাম। যে গ্রামে ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই জন্ম নিয়েছিলেন জন্ম নিয়েছিলেন সংগীতের এক মহাপুরুষ। সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে তার স্মরণে নিজ গ্রাম বাহামে নির্মিত হয় শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, এমফি থিয়েটার, কনফারেন্স হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, সবুজ চত্বর ও পুকুর সংবলিত একটি অত্যাধুনিক সংস্কৃতি কেন্দ্র। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.২০একর জমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ২০১৮ সালে নির্মিত হয় এই কেন্দ্রটি। রবীন্দ্র সংগীতের প্রখ্যাত ওস্তাদ ছিলেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, যার সুরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা অসংখ্য গান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সুরে মগ্ন হয়ে তাহার লেখা সকল গানে সুর করার দ্বায়িত্ব দেন তাকে। তিনি শান্তি নিকেতনে শিক্ষকতাও করেছেন। শৈলজারঞ্জন ভারতে চলে গেলে তার ভিটাসহ সকল সম্পত্তি বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তার জমি ভোগদখল করে আসছিল। ২০১৭ সালে বেদখল হওয়া সুরকারের পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে সরকার সেখানে এই সংস্কৃতি কেন্দ্রটি স্থাপন করে।
বাহাম গ্রামের বাসিন্দা সংস্কৃতি কর্মী তামজিদ তাওহীদ জানান, কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত থাকলেও বর্তমানে কোন কর্মকাণ্ড না থাকায় নির্জীব অবস্থায় রয়েছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ জানান , আপাতত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির কার্যক্রম একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। বিগত ছয় মাসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি আরও জানান স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীগণ এগিয়ে আসলে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে শৈলজারঞ্জন মজুমদার সংস্কৃতি কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
মোহনগঞ্জে শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতি কেন্দ্রে নেই কোন সাংস্কৃতিক কর্মকা-। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রটিতে কোন রকম কর্মসূচি না থাকায় শৈলজারঞ্জন সংস্কৃতিক কেন্দ্রে আর যাচ্ছে না সংস্কৃতিপ্রেমি লোকজন। এতে জৌলুস হারাচ্ছে জেলার সবচেয়ে ব্যায়বহুল আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন নান্দনিক সংস্কৃতি কেন্দ্রটি। নেত্রকোনা জেলার ভাটিবাংলার রাজধানী খ্যাত মোহনগঞ্জ পৌর শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাহাম গ্রাম। যে গ্রামে ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই জন্ম নিয়েছিলেন জন্ম নিয়েছিলেন সংগীতের এক মহাপুরুষ। সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে তার স্মরণে নিজ গ্রাম বাহামে নির্মিত হয় শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। তিনতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, এমফি থিয়েটার, কনফারেন্স হল, গ্রন্থাগার, জাদুঘর, সবুজ চত্বর ও পুকুর সংবলিত একটি অত্যাধুনিক সংস্কৃতি কেন্দ্র। প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২.২০একর জমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ২০১৮ সালে নির্মিত হয় এই কেন্দ্রটি। রবীন্দ্র সংগীতের প্রখ্যাত ওস্তাদ ছিলেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, যার সুরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা অসংখ্য গান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সুরে মগ্ন হয়ে তাহার লেখা সকল গানে সুর করার দ্বায়িত্ব দেন তাকে। তিনি শান্তি নিকেতনে শিক্ষকতাও করেছেন। শৈলজারঞ্জন ভারতে চলে গেলে তার ভিটাসহ সকল সম্পত্তি বেদখল হয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তার জমি ভোগদখল করে আসছিল। ২০১৭ সালে বেদখল হওয়া সুরকারের পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে সরকার সেখানে এই সংস্কৃতি কেন্দ্রটি স্থাপন করে।
বাহাম গ্রামের বাসিন্দা সংস্কৃতি কর্মী তামজিদ তাওহীদ জানান, কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত থাকলেও বর্তমানে কোন কর্মকাণ্ড না থাকায় নির্জীব অবস্থায় রয়েছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ জানান , আপাতত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির কার্যক্রম একটু ঝিমিয়ে পড়েছে। বিগত ছয় মাসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি আরও জানান স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীগণ এগিয়ে আসলে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে শৈলজারঞ্জন মজুমদার সংস্কৃতি কেন্দ্র।