দালালের প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে মৃত্যুবরণকারী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আমলসীদ গ্রামের আব্দুস সামাদের মরদেহ অবশেষে দেশে ফিরেছে। বুধবার বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছালে স্বজনরা তা গ্রহণ করেন।
পরিবারের দাবি, উপজেলার আমলসীদ গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের ছেলে সামাদকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন স্থানীয় দালাল কবির আহমদ অনিক। সেখানে পাঠানোর পর দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো কাজ না দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। এক সময় খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে শেষবারের মতো ফোনে বাবা-মাকে অনুরোধ করেন দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। সামাদের বাবা আব্দুল মতিন বলেন, ‘ছেলে বলেছিল- বাবা, আমাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করো। আমাকে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে, কাজও দিচ্ছে না, একবেলা খাবার দেয়।’
পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২৪ মে সামাদের মৃত্যু হলেও তা গোপন রাখে দালাল অনিক। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই অনিক ও তার পরিবার বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
একজন প্রবাসী জানিয়েছেন, সামাদ দীর্ঘদিন কাজ না পেয়ে প্রায় অনাহারে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো অভুক্ত থেকে মানসিক অবসাদে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে সামাদের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়ায় অনিকের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়- যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মরদেহ দেশে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আমলসীদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আব্দুস সামাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, সৌদিআরব থেকে এক যুবকের মরদেহ দেশে এসেছে, স্থানীয় লোকজন দালালের অবহেলায় মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন। তবে ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ করা হয় নাই। অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
দালালের প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি আরবে মৃত্যুবরণকারী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আমলসীদ গ্রামের আব্দুস সামাদের মরদেহ অবশেষে দেশে ফিরেছে। বুধবার বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার লাশ এসে পৌঁছালে স্বজনরা তা গ্রহণ করেন।
পরিবারের দাবি, উপজেলার আমলসীদ গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আব্দুল মতিনের ছেলে সামাদকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলেন স্থানীয় দালাল কবির আহমদ অনিক। সেখানে পাঠানোর পর দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো কাজ না দিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। এক সময় খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে শেষবারের মতো ফোনে বাবা-মাকে অনুরোধ করেন দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। সামাদের বাবা আব্দুল মতিন বলেন, ‘ছেলে বলেছিল- বাবা, আমাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করো। আমাকে অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছে, কাজও দিচ্ছে না, একবেলা খাবার দেয়।’
পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ২৪ মে সামাদের মৃত্যু হলেও তা গোপন রাখে দালাল অনিক। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারার পর থেকেই অনিক ও তার পরিবার বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
একজন প্রবাসী জানিয়েছেন, সামাদ দীর্ঘদিন কাজ না পেয়ে প্রায় অনাহারে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো অভুক্ত থেকে মানসিক অবসাদে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে সামাদের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়ায় অনিকের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মুচলেকা চাওয়া হয়- যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মরদেহ দেশে ফিরেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আমলসীদ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে আব্দুস সামাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, সৌদিআরব থেকে এক যুবকের মরদেহ দেশে এসেছে, স্থানীয় লোকজন দালালের অবহেলায় মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন। তবে ভিকটিমের পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ করা হয় নাই। অভিযোগ পেলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।