কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এক পরিবারের তিন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
নিহত রুবি বেগমের মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।
মামলায় আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনী শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় আকবপুর এলাকা থেকে মামলার দুই আসামি মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)–কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে একদল লোক কড়ইবাড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় নিহত হন খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৩), তাদের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)।
গুরুতর আহত রুবির আরেক মেয়ে রুমি আক্তার (৩০) ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলাকারীরা ‘মাদক কারবার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করলেও নিহতদের পরিবার বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। তারা জানায়, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী এ বর্বর হামলা চালায়।
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এক পরিবারের তিন সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
নিহত রুবি বেগমের মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা করেন।
মামলায় আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহসহ ৩৮ জনের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনী শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় আকবপুর এলাকা থেকে মামলার দুই আসামি মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)–কে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে একদল লোক কড়ইবাড়ি গ্রামের একটি বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় নিহত হন খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৩), তাদের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)।
গুরুতর আহত রুবির আরেক মেয়ে রুমি আক্তার (৩০) ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলাকারীরা ‘মাদক কারবার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করলেও নিহতদের পরিবার বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। তারা জানায়, মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী এ বর্বর হামলা চালায়।
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।